বি.এড

লেভ ভিগটস্কির সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব

Socio-cultural theory of Lev Vygotsky

লেভ ভিগটস্কির সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব

শিশুর বিকাশ সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত রাশিয়ান শিক্ষাবিদ লেভ ভিগস্কি (Lev Semyonovich Vygotsky) যে তত্ত্ব প্রদান করেন তা ‘Social Learning Theory’ বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব নামে পরিচিত । এ তত্ত্বের মূল প্রতিপাদ্য হলো শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে তার পরিবার, পরিবেশ ও তাকে দেওয়া শিক্ষা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে। লেভ ভিগটস্কির সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব মতে একজন শিশু সমাজ হতে প্রাপ্ত জ্ঞানকে একত্রিত করে তার কাজ সম্পাদন করে। শিশুর জ্ঞানমূলক বিকাশের সাথে দৈহিক বিকাশ জড়িত থাকলেও সামাজিক ভূমিকাও অস্বীকার করা যায় না।

লেখ ভিগটস্কি (১৮৯৬-১৯৩৪) সালে রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইন বিষয়ে পড়াশুনা করলে পুরো জীবদ্দশায় তিনি ২৭০টি বৈজ্ঞানিক আর্টিকেল, অসংখ্য লেকচার এবং মার্ক্সভিত্তিক মনোবৈজ্ঞানিক শিখন তত্ত্ব প্রদান করে।  লেভ ভিগটস্কির সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব মতে- চিন্তন (thinking) এবং শিক্ষণ (learning) শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ (inside) এবং স্বতন্ত্র (individual) প্রক্রিয়া নয়৷ বুদ্ধিবৃত্তীয় বিকাশে ভাষা, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া (social interaction) এবং সংস্কৃতির দ্বারা উচ্চমাত্রায় প্রভাবিত হয়৷ সংস্কৃতি (মূল্যবোধ, বিশ্বাস, রীতি-নীতি, দক্ষতা, সামাজিক দল বা গোত্রের কার্য সম্পাদন প্রক্রিয়া) কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হয় সেই বিষয়ের ওপরই ভিগস্কির মানব বিকাশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব আলোকপাত করেছেন৷ ভিগস্কির মতে, সমাজের পূর্ণবয়স্ক জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছ থেকেই বুদ্ধিবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং দক্ষতাসমূহ সামাজিক উপায়ে শিশুদের কাছে হস্তান্তরিত হয়৷ তিনি বিশ্বাস করেন, চিন্তা করার ধরন এবং সে অনুযায়ী আচরণ করার উপায় আয়ত্তের জন্য সামাজিকভাবে মেলামেশা, বিশেষ করে শিশু এবং পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে সহযোগিতামূলক কথোপকথন অত্যাবশ্যকীয়৷ শিশুরা ভাষার ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জনের সাথে সাথেই অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয় এবং তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার ফলে বুদ্ধিবৃত্তীয় বিকাশে ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে৷ বিকাশকে তিনি অপেক্ষাকৃত সক্ষম শিশুর সাথে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মেলামেশা বা আদান-প্রদানের ফলাফল হিসেবে দেখেন৷ লেভ ভিগস্কির তত্ত্বের আলোকে, শিশুকে আমরা একজন ‘খুদে সামাজিক বিজ্ঞানী’ হিসেবে অভিহিত করতে পারি, যেখানে পিয়াজের তত্ত্বের আলোকে শিশুকে শুধু ‘খুদে বিজ্ঞানী’ বলা যেতে পারে।

ভিগস্কি লক্ষ করেছেন যে কিছু কিছু কাজ শিশুদের জন্য একা করা একটি দুরূহ ব্যাপার কিন্তু এই কাজটিই কোনো পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি অথবা একজন অপেক্ষাকৃত অধিক দক্ষ শিশুর সহায়তা নিয়ে তারা সহজে করতে পারে৷ শিশুর এই জ্ঞানের দুইটি মুহূর্তের ব্যবধানকে তিনি ‘জোন অব প্রক্সিমাল ডিভলপমেন্ট’ (zone of proximal development) হিসেবে আখ্যায়িত কছেন৷ জোন অব প্রক্সিমাল ডেভেলপমেন্টের সর্বনিম্ন পরিসীমা হলো সমস্যা সমাধানের স্তর যেখানে কোনো শিশু একা একা কাজ করে পৌঁছাতে পারে৷ আবার, সর্বোচ্চ পরিসীমা হচ্ছে বাড়তি দক্ষতার স্তর যেখানে শিশু তার নিজের থেকে অধিক দক্ষ কোনো ব্যক্তির সহায়তা নিয়ে কাজ করতে পারে৷ যখন শিশু কোনো বিমূর্ত (abstract) বিষয় থেকে সমস্যা সমাধান করে তখন তারা নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে৷ তবে ভিগস্কি বরাবরই বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বাইরের প্রভাব, যেমন-ভাষা, সামাজিক মিথস্কিয়া (social interaction)এবং বৃহত্তর সমাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷ তিনি মনে করেন, শিশুরা অবাচনিক (non-verbal) এবং ধারণাহীন এ দুই ধরনের ভিন্ন এবং স্বতন্ত্র মানসিক প্রক্রিয়ায় জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে নিজেদেরকে সংযুক্ত রাখে৷

‘লেভ ভিগটস্কির সামাজিক-সাংস্কৃতিক তত্ত্ব’ -এর মূল ধারণাসমূহ (Concepts) অবাচনিক চিন্তা (non-verbal) :

এটি হলো প্রাথমিক স্তরের একটি মানসিক ক্রিয়া, যেখানে শিশু কোনো ঘটনা বা বস্তুকে দেখে এবং ভাষা ব্যবহার না করেও কাজ করে৷

বাচনিক চিন্তা (verbal) :

ভাষা এবং চিন্তা শিশুকে সুসংহত হতে এবং পরস্পরকে জানতে সহায়তা করে৷ বাচনিক চিন্তা জটিল ধারণাগুলো শেখার ক্ষমতা গঠন করে৷

ধারণাহীন কথামালা :

এটি হলো প্রাথমিক স্তরের একটি ভাষা, যেখানে শিশু কোনো কিছুর অর্থ চিন্তা না করেই শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে৷ যা পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে ধারণাগত শব্দ হিসেবে তৈরি হয়৷

স্বপরিচালিত কথামালা:

বড় শিশুরা কোনো কিছুর শিক্ষণকে পরিচালনা করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে৷ এ সময় শিশুরা নিজের সাথে কথা বলে, প্রায়ই জোরে শব্দ করে কথা বলে৷

স্ক্যাফোল্ডিং (Scalfolding) :

ভিগসস্কির তত্ত্বে স্ক্যাফোল্ডিং শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বিশেষ আবিষ্কার হিসেবে দেখা হয়৷ যেখানে শিশুর সাথে সরাসরি বড়দের কাজ করার বা সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে৷ তাঁর মতে, স্ক্যাফোল্ডিং হলো শিশুর কোনো সমস্যার সমাধান বা উত্তরণের জন্য প্রদত্ত ধারাবাহিক সহায়তা, যা শিশুর অবস্থান বুঝে ধাপে ধাপে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রদান করা হয়৷ শিখনের ক্ষেত্রে শিশুর অবস্থান বুঝে শিক্ষক বা বড়দের দ্বারা অথবা অপেক্ষাকৃত সক্ষম সঙ্গীর দ্বারা বিভিন অবস্থায় স্ক্যাফোল্ড করা হয়৷ শিক্ষক (প্রাপ্তবয়স্করা) শিশুকে পরোক্ষভাবে সূত্র, ইঙ্গিত, উপকরণ/পরিবেশ দিয়ে ও প্রশড়ব করে সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করবেন, কিংবা সমস্যার সরাসরি সমাধান করে দেবেন, কিংবা তাদেরকে সুযোগ করে দেবেন নিজে থেকে সমস্যাটির সমাধান করতে পারার, যার পুরোটাই নির্ভর করবে শিশুর বিকাশের অবস্থানের ওপর৷ তবে, এ প্রক্রিয়ায় শিশুর নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ধারণা/দক্ষতা অর্জনের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই মুখ্য হবে, তাকে কোনো কাজ সরাসরি করে দেয়া নয়৷

প্রক্সিমাল বিকাশের জোন/অঞ্চল (Zone of proximal development) :

কোনো পরিস্থিতি বা সমস্যা যখন শিশুর সামর্থ্য বা চিন্তা ক্ষমতার কিছুটা ওপরের স্তরে অবস্থান করে থাকে তখন শিক্ষক বা পিতা-মাতা অথবা অপেক্ষাকৃত সক্ষম সাথি ইশারা, ইঙ্গিত, উপকরণ, সূত্র ধরিয়ে দিয়ে বা প্রশড়ব করে নিজে থেকে সমাধান খুঁজে পেতে শিশুকে সহায়তা করেন৷ এই অবস্থাকে ভিগস্কি বলেছেন ‘জোন অব প্রক্সিমাল ডেভেলপমেন্ট’৷ ভিগস্কির ত্বরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো Zone of Proximal Development (ZPD)৷ শিশুর একা কোনো কাজ করার সামর্থ্য এবং অন্যের সাহায্য নিয়ে কাজ করার সামর্থ্যের মধ্যে যে এলাকা বা স্তর তা-ই তচউ৷ শিশুর শিখনকে যদি একটি স্কেলের সাথে তুলনা করি, তাহলে এই স্কেলের কোনো একটি পয়েন্টে শিশুর বর্তমান যোগ্যতাগুলো (current abilities)আছে, যা সে নিজে নিজে সম্পন্ন করতে পারে৷ আর এর ওপরে আরো কিছু যোগ্যতা আছে, যা শিশুর সামর্থ্য বা চিন্তা ক্ষমতার কিছুটা ওপরে (potential abilities), যা সে একা একা করতে পারে না৷ কিন্তু যদি পিতা-মাতা বা শিক্ষক সূত্র ধরিয়ে দেন বা প্রশ্ন করে সমাধান খুঁজতে সাহায্য করেন, তবে সেই কাজগুলো শিশুর জন্য করা সম্ভব হয়ে ওঠে৷ এই যে শিশুর current abilities এবং potential abilities-এর মধ্যবর্তী যে এলাকা বা যে দূরত্ব, এটাই জোন অব প্রস্কিমাল ডেভেলপমেন্ট৷ ভিগস্কির মতে, এই জোনের মাঝেই শিশুর শিখন ঘটে এবং এই জোন সর্বদা পরিবর্তনশীল৷

ভিগটস্কি প্রস্তাব অনুযায়ী, শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে শিক্ষক ও পিতা-মাতা শিশুর শিখন প্রμিয়া বা তার চিন্তন প্রμিয়াকে ভাষা এবং সামাজিক মিথস্ঙিঊয়ার (interaction)মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করতে পারেন৷ এই অবস্থাটিকে ইংরেজিতে স্ক্যাফোল্ডিং বলে, যাকে আমরা রাজমিস্ত্রি ও তার জোগানদাতার সঙ্গে তুলনা করতে পারি৷ এক্ষেত্রে শিশু হলো রাজমিস্ত্রি আর শিক্ষক বা বাবা/মা হলো জোগানদাতা৷ ভিগস্কি বলেছেন, শিশু যখন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হবে তখন তাকে নিজ থেকেই সেটি সমাধানের সুযোগ দিতে হবে৷ কারণ শিখন বা সন্তান লালন-পালনের মূল লক্ষ্য হলো শিশুর স্বাধীন চিন্তার ক্ষমতা তৈরি হওয়া৷ কিন্তু কোনো সমস্যা যদি শিশুর জন্য অনতিμম্য হয় সেক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করা সেটি সমাধান করে দেবেন৷ আবার সমস্যাটি যদি এমন হয় যে একটু সূত্র ধরে দিলেই শিশু নিজের মতো করে সমস্যাটির সমাধান করতে পারবে সেক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের দায়িত্ব হলো ইঙ্গিত দেয়া বা সূত্র ধরিয়ে দেয়া৷ শিশুর শিখন-চাহিদার ওপর নির্ভর করেই সে অনুযায়ী স্ক্যাফোল্ড করতে হবে৷ তবে কোনো পরিস্থিতি বা সমস্যা যখন শিশুর সামর্থ্য বা চিন্তা ক্ষমতার কিছুটা ওপরের স্তরে থাকে তখন শিক্ষক ও পিতা-মাতা সূত্র ধরিয়ে দিয়ে বা প্রশড়ব করে নিজে থেকে সমাধান খুঁজে পেতে শিশুকে সহায়তা করবেন৷

শিশুর শিখনে এ তত্ত্বের প্রভাব ও শিক্ষক হিসেবে করণীয়: শিশু শিক্ষা ও বিকাশে এ তত্ত্বের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে৷ বেশিরভাগ গবেষক এই তত্ত্বটিকে শিশু শিক্ষায় সরাসরি শিশুর সাথে কাজ করাকে উত্সাহিত করে৷ এ তত্ত্বটিকে অনেকে শিশুর বিকাশে সরাসরি কাজের তথা শ্রেণিকক্ষে বা বিভিন্ন পরিবেশে শিশুর সাথে কাজ করাকে উত্সাহিত করেছে বলে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন৷ কারণ, একজন শিশু শুধু নিজের বয়স ও জ্ঞানের বিভিন্ন স্তর অনুযায়ী কোনো ধারণা অর্জন করে না; এর জন্য তার বড়দের ধারাবাহিক সহায়তা (স্ক্যাফোল্ডিং) প্রয়োজন৷ এ সহায়তা ছাড়া তার কোনো জ্ঞান অর্জনের চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারা সম্ভব হয় না৷ শিশুর প্রতিটা স্তরে তার বিকাশের বিশেষ বিশেষ চাহিদা ও স্তর রয়েছে৷ তাছাড়া, একটি বিশেষ বিষয়েও সে উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে না যদি তুলনামূলকভাবে সক্ষম সঙ্গী বা বড়দের ধারাবাহিক সহায়তা (স্ক্যাফোল্ডিং) না পায়৷ শিশুদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানাকে এখানে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে৷ একজন শিশু বিশেষ কোনো স্তরে অবস্থান করছে এবং তার পরবর্তী কোনো স্তরে যেতে হবে তা জানা জরুরি৷ এজন্য তার জোন অব প্রক্সিমাল ডেভেলপমেন্ট (জেপিডি) জানা ও বোঝা একজন শিক্ষক ও যতড়বকারীর জন্য আবশ্যক৷ আবার, তার অবস্থান অনুযায়ী তাকে স্ক্যাফোল্ডিং করার কৌশল জেনে তার সঠিক প্রয়োগ করাও বেশ জরুরি৷ সর্বোপরি, একজন শিক্ষক হিসেবে শিশুর শিখন ও বিকাশে কার্যকর সহায়তা প্রদান করতে এ তত্ত্বের ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

সমাজের পূর্ণবয়স্ক জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছ থেকেই বুদ্ধিবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং দক্ষতাসমূহ সামাজিক উপায়ে শিশুদের কাছে হস্তান্তরিত হয়৷ তিনি বিশ্বাস করেন, চিন্তা করার ধরন এবং সে অনুযায়ী আচরণ করার উপায় আয়ত্তের জন্য সামাজিকভাবে মেলামেশা, বিশেষ করে শিশু এবং পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে সহযোগিতামূলক কথোপকথন অত্যাবশ্যকীয়৷ শিশুরা ভাষার ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জনের সাথে সাথেই অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয় এবং তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার ফলে বুদ্ধিবৃত্তীয় বিকাশে ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে৷ লেভ ভিগস্কির তত্ত্বের আলোকে শিশুকে আমরা একজন খুদে সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে অভিহিত করতে পারি, যেখানে পিয়াজের তত্ত্বের আলোকে শিশুকে শুধু খুদে বিজ্ঞানী বলা হয়েছে৷ এ তত্ত্বে শিশু শুধু শিশু নয় সে, একজন সামাজিক শিশু৷ সে সমাজের অন্যদের সাথে মিলেমিশে ও সহাযতা নিয়ে শেখে৷ তাই, শিক্ষক হিসেবে আমাদের এসব তত্ত্ব সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে সে অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে শিশুদের সহায়তা করতে হবে৷

গঠনবাদ ও সামাজিক গঠনবাদ, ZPD ও স্ক্যাফোল্ডিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে প্রেস করুন।

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।