সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি ও এর প্রকাভেদ
Co-curricular activities and its types
সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি ও এর প্রকারভেদ
শ্রেণিপাঠদান কার্যক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলির গুরুত্ব অপরিসীম। ফলপ্রসূ পাঠদান করতে প্রত্যেক শিক্ষককে সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি ও এর প্রকারভেদ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা জরুরী। নিম্নে সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি ও এর প্রকাভেদ সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো :
সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী (Co-curricular Activities) বলতে কী বুঝায়?
বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদানের পাশাপাশি যে সকল কর্মকান্ড শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকাশ ও নানারকম সংগঠনমূলক কাজের সুযোগ থাকে তাকেই সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি বা Co-curricular Activities বলা হয়। পূর্বে এ সকল কার্যাবলিকে শ্রেণি বহির্ভূত কার্যাবলি (Extracurricular activities) বলা হতো। তখন এ সব কার্যাবলির স্বীকৃতি ছিল না।
Co-curricular activities facilitate in the development of various domains of mind and personality such as intellectual development, emotional development, social development and aesthetic development.
Co-currular activities are defined as the activities that enable to supplement and complement the curriculum.
সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি ও এর প্রকাভেদ :
সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি ২ ধরণের। যথা:
১. শ্রেণিকক্ষের ভিতরের কার্যাবলি: বিতর্ক প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি।
২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যাবলি: বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, বাগান পরিচর্চা ইত্যাদি।
প্রাথমিক স্তরে সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি কী এবং কেন ?
প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য শিশুর দৈহিক, মানসিক, নৈতিক, আধ্যাত্ন্যিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক বিকাশ সাধন এবং উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্ধুদ্ধকরণ। উক্ত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য শিক্ষাক্রমের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত যে সমস্ত কার্যক্রম তাকে সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি বলা হয়৷ শিক্ষাক্রমের আওতাভূক্ত গণিত, বাংলা, ইংরেজি, সমাজ, বিজ্ঞান, ধর্ম ইত্যাদি ছয়টি বিষয় ছাড়াও সংগীত, চারু ও কারুকলা এবং শারীরিক শিক্ষা এই তিনটি বিষয়কে ইতিমধ্যে শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷ উক্ত বিষয়গুলোকে সমৃদ্ধশালী ও পরিপূর্ণ করার জন্য এবং শিশুর বহুমুখী বিকাশসাধনের জন্য বিশেষ করে শিশুর দৈহিক, মানসিক, নান্দনিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম৷
সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলি শিশুর সার্বিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে৷ যেমন- খেলাধুলা ও শবীর চর্চার বিষয়টি শিশুর দৈহিক বিকাশে বা শারীরিক বর্ধনে সহায়ক ভূমিকা রাখে৷ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অনুশীলণন শিশুমনের সুকুমার বৃত্তির উন্মেষ ঘটায় এবং শিশুর নান্দনিকতার বিকাশ সাধন করে৷ সাহিত্য বিষয়ক কর্মকান্ডের অনুশীলন শিশুর লেখালেখির হাত মজবুত করে সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ সাধন করে৷ শিশুর সামাজিকতা ও নৈতিকতার বিকাশ সাধনে ভূমিকা রাখতে প্রয়োজন সামাজিক কর্মকান্ড বিষয়ক কার্যাবলি৷ বিদ্যালয় এবং সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি দায়িত্ব সচেতনতার বোধ জাগায় ও শিশুর মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটায়৷
বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রচলিত সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলিসমূহ :
১. সাংস্কৃতিক কার্যাবলি :
কবিতা আবৃত্তি, গান, নাচ, গল্প বলা, অভিনয়, বক্তৃতা, বির্তক ইত্যাদি৷
২. খেলাধুলা বিষয়ক কাজ :
বার্ষিক ক্রীড়া, বিভিন্ন ধরণের ইনডোর ও আউটডোর গেমস যেমন: দাবা, ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি৷
৩. সাহিত্য বিষয়ক কাজ (লিখিত) :
ছোট গল্প, কবিতা, ছড়া, শিক্ষামূলক নাটিকা ও প্রবন্ধ রচনা
৪. সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজ :
নিজ এবং বিদ্যালয় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, যৌথ উদ্দ্যোগে বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্চা,
মতামত দিন