বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু কারা?
যে সকল শিশু সমবয়স্ক শিশুদের তুলনার বুদ্ধি সংবেদন, ভাব বিনিময় ক্ষমতা ও সামাজিক দক্ষতা প্রকাশের মাত্রা কম বা বেশি এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্য কিছুটা ব্যতিক্রমী তাদেরকেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বলা হয়। এ ধরণের শিশুদের ইন্দ্রিয় ক্ষমতা বুদ্ধি বা শারীরিক ক্ষমতা এতটাই ভিন্ন যে কারণে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা বা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন হয়। বুদ্ধাংকের দিক থেকে বলা যায় যাদের বুদ্ধাংক ৭৫ এর নিচে এবং ১২০ এর উপরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। যেমন- দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতা।
শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার ও জাতিগত বৈষম্য দূর করার উপায় লিখুন।
একটি বিদ্যালয় বিভিন্ন পরিবার, জাতি ও গোষ্ঠীর বিভিন্ন ধরণের শিশুদের আগমন ঘটে। নানা জাতি ও পেশাজীবি পরিবারের সন্তানরা একটি শ্রেণিতে একই সাথে একই পরিবেশে শিক্ষার সুযোগ পায়। এর ফলে শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার ও জাতিগত বৈষম্য সৃষ্টি হয়। শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার ও জাতিগত বৈষম্য দূর করার উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- সকল ধরণের শিক্ষার্থীদের জাতি-বর্ণ ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা,
- বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মৌখিক নিগ্রহের দমন করা,
- শিক্ষার্থীরা যাতে তিরস্কার ও বিব্রতকর অবস্থার শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা,
- শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের নৃ-তাত্ত্বিক, জাতিগত বা অর্থনৈতিক ভিন্নতাকে স্বীকৃতি প্রদান, যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং সমর্থন প্রদান করা,
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রতা করা,
- বন্ধুত্বপূর্ণ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
- ভিন্নতার প্রতি স্বীকৃতিদানে অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও উদ্বুদ্ধ করা।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমস্যা কমিয়ে এনে একই শ্রেণিতে পাঠদান করার কৌশল ব্যাখ্যা করুন।
শ্রেণিকক্ষে কিছু শিক্ষার্থী আছে যাদের প্রয়োজন সাধারণ শিশুদের থেকে ভিন্ন। সচরাচর শ্রেণিকক্ষের সুযোগ-সুবিধাদি ও নিয়ম তাদের জন্য অনুকূল নাও হতে পারে। এ ধরণের শিশুদের চাহিদার প্রতি যথাযথ সাড়া দান বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমস্যা মাথায় রেখে পাঠদান করার কৌশল নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো:
- বসার ব্যবস্থা সুবিধাজনক স্থানে রাখা যাতে তাদের সাথে কথা বলা যায়,
- এ ধরনের শিশুদের একসাথে না বসিয়ে অন্য শিশুদের সাথে বসানো,
- শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকলে তার বসার ও কাজ করার জন্য সুবিধাজনক ব্যবস্থা করা,
- কোন বিষয় আলোচনা বা ব্যাখ্যার সাথে সাথে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বুঝানো,
- তাদের উপযোগী ও দর্শনযোগ্য উপকরণ ব্যবহার করা,
- সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা,
- পাশের শিশুদের দ্বারা তাদেরকে সঠিক আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করা ও সহায়তা করা।
- তাদের প্রতি আগ্রহী ও তাদের মতামতকে গুরুত্ব প্রদান করা,
- সমস্যাপূর্ণ আচরণ করলে কাজটি থামানোর জন্য সরাসরি আদেশ না দিয়ে অন্য কাজ দিয়ে সমস্যাপূর্ণ আচরণ থেকে তাদের বিরত করা।
- বিভিন্ন সংকেত বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বোঝানো যে অন্যদের সমস্যা হচ্ছে।
মতামত দিন