প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক শিক্ষা

প্রশিক্ষণ কাকে বলে?

যে কোন কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্দিষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন হয়। সাধারণত দুটি উপায়ে আমরা জ্ঞান ও দক্ষতা লাভ করে থাকি। তার একটি হলো শিক্ষা আর অন্যটি প্রশিক্ষণ। শিক্ষা একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে এবং স্বল্প সময়ের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা সরবরাহের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তা-ই প্রশিক্ষণ।

Dale S. Beach প্রশিক্ষণের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হলো, ‘প্রশিক্ষণ এমন সংগঠিত পদ্ধতি যার মাধ্যমে ব্যক্তির নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে’। সুতরাং প্রশিক্ষণ বলতে বোঝায় যে কোনও প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নির্দিষ্ট কাজ এবং সংস্থার প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা, দক্ষতা এবং মনোভাব অর্জন এবং প্রয়োগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হিসাবে পরিচালিত শিক্ষাদান এবং শেখার কার্যক্রমগুলি বোঝায়।

জরুরি কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক দক্ষতা সরবরাহের প্রয়োজন হলেও প্রশিক্ষণ দরকার হয়। যেমন- হঠাৎ করে কোনো বিশেষ ধরনের রোগ ধরা পড়ল, যার শনাক্তকরণ পদ্ধতি এবং চিকিৎসা পদ্ধতি বাংলাদেশে নেই। এক্ষেত্রে ডাক্তারদের জরুরি ভিত্তিতে ঐ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে।

শিক্ষক প্রশিক্ষণ কী?

প্রশিক্ষণ হচ্ছে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা সরবরাহের জন্য স্বল্পকালীন আয়োজন। শিক্ষকতা পেশার জন্য প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা বা দক্ষতা সরবরাহের জন্য স্বল্পকালীন আয়োজনই হচ্ছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ।

শিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষক যেন আবশ্যক শিক্ষণ দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারেন তাতে সমর্থ করে তোলা। স্বল্প সময়ে কোনো বিষয়ে দক্ষতা সরবরাহের প্রয়োজন হলে তখন প্রশিক্ষণ দরকার হয়। আবার কখনো কখনো নতুন একটা বিষয়ে শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক দক্ষতা সরবরাহ করার প্রয়োজন হলে প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম ব্যবস্থা। যেমন- সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন বিষয়ে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন করা।

শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে অর্জন করা যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু রয়েছে। যেমন-

  • বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ,
  • সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ,
  • বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ,
  • পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ,
  • চাকুরিপূর্ব প্রশিক্ষণ,
  • চাকুরিকালীন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।

শিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য

  • শিক্ষক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের শিখন-শিখানো কলাকৌশল সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা।
  • শিক্ষকদের পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং সময়ের সঙ্গে যুগোপযোগীকরণে সহায়তা দান।
  • শিক্ষকদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব, উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি এবং নেতৃত্বের গুনাবলী জাগ্রত করা।
  • শিক্ষকদেরকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দেশের জরুরী সমস্যাগুলোর সাথে পরিচিত করা এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত করতে সাহায্য করা।
  • শিক্ষকদের আচরনিক দক্ষতা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং দুর্বলতার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করা।
  • শিক্ষণের জন্য আধুনিক উপকরণ ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন এবং তা ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
  • নতুন নতুন শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে দক্ষতা ও কৌশল বৃদ্ধি করা।
  • গবেষণাপত্র তৈরী ও প্রতিবেদন পেশের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব অর্জনে সহায়তা করা।
  • সমাজের সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতিসত্ত্বা, আর্থ-সামাজিক শ্রেণীর শিক্ষাথীকে সমান সুযোগ দিয়ে পাঠদানে উৎসাহিত করা।
  • সমাজের সুবিধা বঞ্চিত ক্ষুদ্রজাতিসত্ত্বা এবং প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েদের বিশেষ শিখন চাহিদা অনুসারে শিখন সেবা প্রদানের কলাকৌশল অর্জনে সহায়তা করা।
  • সমস্যাদি বিশ্লেষণে দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা বৃদ্ধি করা।
  • তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় সকল স্তরের শিক্ষককে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করে উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এর সর্বোচ্চ অনুশীলনে উৎসাহিত করা।
  • দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতন থেকে কার্য সম্পাদনের জন্য শিক্ষকদেরকে উৎসাহিত করা।
  • গবেষণা কাজে অংশগ্রহণের জন্য আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি এবং গবেষণা কাজে উৎসাহিত করা।

শিক্ষক শিক্ষা কাকে বলে?

অতিপ্রাচীনকাল থেকেই শিক্ষকতা সমাজে একটি সুপরিচিত পেশা। প্রত্যেক পেশার মানুষের কিছু পেশাগত দায়িত্ব-কর্তব্য থাকে যা তার পেশাগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। একইভাবে যাঁরা শিক্ষক, তাঁদের কিছু পেশাগত বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। শিক্ষকদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও পেশাগত জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রায়োগিক জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়াই হলো শিক্ষক শিক্ষা।

শিক্ষকতা পেশার জন্য মানবসম্পদ গঠন এবং তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির উত্তেরোত্তর বিকাশ সাধনের নিমিত্তে যে শিক্ষা পরিচালনা করা হয় তাকে ‘শিক্ষক শিক্ষা’ বলা হয়। উন্নত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন উন্নত শিক্ষক। উন্নত শিক্ষক পাওয়ার জন্য প্রয়োজন উচ্চ মানসম্পন্ন চাকুরি-পূর্ব শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম। অনেকেই প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক শিক্ষাকে এক করে দেখেন; তবে আসলে এই দুটি বিষয় ধারণা বা প্রকৃতিগতভাবে পুরোপুরি আলাদা।

শিক্ষক শিক্ষার জন্য সাধারণত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান থাকে এবং এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার পেশাগত ডিগ্রি প্রদান করে। বাংলাদেশে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট/ অনুষদ এ ধরনের প্রতিষ্ঠান, যারা শিক্ষা বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান), ১ বছর/ ২ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়া কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের পেশাগত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের পেশাগত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে এ ধরনের পেশাগত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে, যেখানে ১ বছর মেয়াদি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত এসব পেশাগত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও ডিগ্রি প্রদান করে, যেখানে শিক্ষা সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা ও দক্ষতা দেয়ার পাশাপাশি তার অনুশীলন করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলো এতদিন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবেই বিবেচিত হতো। তবে সম্প্রতি এর কার্যক্রমে পরিবর্তনের আনার মাধ্যমে পেশাগত শিক্ষা বা পেশাগত ডিগ্রি প্রদানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতদিন এখানে এক বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো, যা প্রশিক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে বর্তমানে কার্যক্রম ও এর শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন সংক্রান্ত বড় ধরনের পরিবর্তনের মাধ্যমে দেড় বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এখানে কেবল প্রশিক্ষণের পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষকদের সামগ্রিক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশের প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।

একজন আদর্শ শিক্ষকের ভুমিকা ও দায়িত্ব

শিক্ষকের দায়িত্বকে নির্ধারিত ফ্রেমে আবদ্ধ করা যায় না। একজন শিক্ষক হলেন সমাজে আদর্শ ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। শিক্ষকের দায়িত্ব বিষয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বলা আছে, ‘শিক্ষার্থীদের মনে সুকুমার বৃত্তির অনুশীলনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি, তাদের মধ্যে শ্রমশীলতা, সহনশীলতা, ক্সধর্য্য, নিজ ও অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা এবং অধ্যবসায়ের অভ্যাস গঠন; কুসংস্কারমুক্ত, দেশপ্রেমিক ও কর্মকুশল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকদের প্রধান কর্তব্য।’

একজন আদর্শ শিক্ষক, আদর্শ মানব সৃষ্টির শৈল্পিক কারিগর। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, নির্দেশনা এবং আদর্শ, স্থান, কাল, পাত্র, জাতি, ধর্ম ও বর্ণভেদের উর্ধ্বে উঠে মানবতার কল্যাণে ব্যাপৃত হয়। তিনি সমাজ এবং রাষ্ট্রের পর্যায়েও বহুবিদদায়িত্বপূর্ণ কর্তব্য সম্পন্ন করে থাকেন। তাই আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব কর্তব্য বর্ণনা করা হল:

শিক্ষকের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য:

শিক্ষকের মূল কাজ হলো তার পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে তাঁকে কঠিন, জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ মহান দায়িত্ব পালন করতে হয়। একজন আদর্শ শিক্ষকের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্যের কয়েকটি দিক নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • শিখন-শেখানো কার্যাবলি পরিচালনা করা,
  • শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়ন ও ফলাবর্তন প্রদান করা,
  • শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে নিরাময় প্রদান করা,
  • পেশাগত মূল্যবোধ ও নৈতিকতা অনুশীলন করা,
  • পেশাগত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সহকর্মী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এবং অভিভাবকদের সাথে পেশাগত সম্পর্ক স্থাপন করা,
  • পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সচেষ্ট প্রতিনিয়ত সচেষ্ট থাকা।

সমাজ সংস্কারক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য:

একজন আদর্শ শিক্ষক একজন আদর্শ সমাজ সংস্কারক। সমাজ সংস্কারক হিসেবে শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নরূপ:

  • শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার, গোঁড়ামি এবং অন্ধবিশ্বাস দূরীভূত করা প্রচেষ্টা চালানো,
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে আদর্শবোধ তৈরি করা,
  • কুসংস্কার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে বিভিন্ন বাস্তবচিত্র তুলে ধরা,
  • সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও কুসংস্কার দূরীকরণ করা,
  • পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা,
  • মূল্যবোধ জাগ্রত করতে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি।

সমাজে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য:

শিক্ষক সমাজেরই একজন প্রভাবশালী সচেতন প্রতিনিধি। সমাজে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নরুপ হতে পারে:

  • সামাজিক ঝগড়া-বিবাদ মীমাংসা করা,
  • সামাজিক অপরাধে কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা,
  • সামাজিক কর্মকান্ডে নেতৃত্বদান,
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা,
  • সমাজের মধ্যে সংগঠনমূলক মনোভাব সৃষ্টি করা,
  • প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান আদর্শ শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব।

পরিশেষে বলা যায় যে, একজন আদর্শ শিক্ষক পেশাগত মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবেন। তিনি তাঁর পেশার প্রতি সৎ, দায়বদ্ধ ও দায়িত্ব সচেতন হবেন। শিক্ষক হবেন অত্যন্ত দক্ষ ও কুশলী। তাঁর এই দক্ষতা ও কুশলতার ব্যবহার করে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে জানার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করবেন, তাদেরকে ভাবতে এবং খুঁটিয়ে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করবেন। তিনি হবেন ধৈর্যশীল, বিনম্র ও ইতিবাচক জীবনবোধের অধিকারী। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি বিরক্ত না হয়ে বরং ধৈর্য ধরে তাদের কথা শুনবেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন। তাদের ভেতর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দেবেন। 

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।