ব্লেন্ডেড লার্নিং কী? এর প্রকারভেদ ও গুরুত্ব
ব্লেন্ডেড লার্নিং কী? এর প্রকারভেদ ও গুরুত্ব
ব্লেন্ডেড লার্নিং কী?
ব্লেন্ডেড
লার্নিং এর চিন্তাটা শুরু হয়েছে ১৯৬০ সালে। ব্লেন্ডেড লার্নিং প্রথমবার
বাস্তবায়ন হয়েছে ১৯৯০ সাল থেকে। তরে ২০০৬ সালে গ্রাহাম এবং বঙ্কের ‘হ্যান্ডবুক
অভ ব্লেন্ডেড লার্নিং’ পাবলিকেশনে গ্রাহাম বলেন, ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ এমন একটি
সমন্বিত শিক্ষা প্রক্রিয়া যেখানে মুখোমুখি ইন্সট্রাকশন (ফেস টু ফেস) ও কম্পিউটার
ব্যবহার করে ইন্সট্রাকশনের ব্লেন্ডেড মডেল ‘ডিফাইনিং ব্লেন্ডেড লার্নিং’ শিরোনামে
একটি গবেষণায় নর্ম ফ্রিজেন এর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে
ফেস টু ফেস টিচিং আর অনলাইন টিচিং-কে একসাথে মিশিয়েই ব্লেন্ডেড লার্নিং মেথডে
লেখাপড়া করানো হয়। ব্লেন্ডেড লার্নিং মূলত ট্র্যাডিশনাল টিচিং মেথডের সাথে
ই-লার্নিং-এর সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড টিচিং মেথড তৈরি করে।
কিন্তু
আমরা ডিজিটাল ক্লাসরুম বলতে যা বুঝি তার সাথে ব্লেন্ডেড লার্নিং-এর পার্থক্য আছে।
এই সিস্টেম গতানুগতিক শেখার পদ্ধতির বেসিক টেকনিককে পরির্বতন করেছে। প্রত্যেক
মানুষের শেখার স্টাইল আলাদা, কেউ শুনে শেখে, কেউ দেখে শিখে, কেউ হাতে-কলমে না করে
শিখতে পারে না, আবার কেউ কেউ দলের মধ্যে বেশ ভালভাবে শিখে। ব্লেন্ডেড লার্নিং মডেল
সব ধরণের মানুষকে স্বাধীনভাবে নিজের ইচ্ছেমত লেখাপড়া করাকে সাপোর্ট দেয়।
ব্লেন্ডেড লার্নিং কত প্রকার ও কি কি?
ব্লেন্ডেড
লার্নিং এর প্রকারভেদ
বিভিন্ন ধরণের
ব্লেন্ডেড লার্নিং মডেল রয়েছে। এই লার্নিং মেথডগুলোর মধ্যে ৬ ধরণের মডেল সবচেয়ে
জনপ্রিয়। যেমন-
১. রোটেশন মডেল
২. ফ্লেক্স মডেল
৩. এ লা কার্টে বা সেল্ফ ব্লেন্ড মডেল
৪. এনরিচড ভার্চুয়াল মডেল।
৫. অনলাইন ল্যাব
তবে অনেকে রোটেশন
মডেলের সাব-মডেলকে ভেঙে ছোট ছোট ৬ টি, কেউ আবার ১২ টি মডেলের কথাও বলেছেন।
ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা লিখুন।
ট্র্যাডিশনাল লেখাপড়ায় এক দিনে কী শেখানো হবে, কতটুকু শেখানো হবে- সেটা টিচার ঠিক করেন। ব্লেন্ডেড লার্নিং মডেল স্টুডেন্টের সামর্থ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। ব্লেন্ডেড লার্নিং এর প্রয়োজনীয়তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
>Ø
যারা
কুইক লার্নার, যারা স্লো লার্নার, যারা একটু বিরতি দিয়ে, নোট নিয়ে পড়াশোনা করতে
চায়- তারা সবাই এই মেথডে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
>Ø
ব্লেন্ডেড
মডেলে প্রত্যেক স্টুডেন্টের শিখতে যত সময় লাগে, টাইম লিমিট সবার আলাদাও হলেও-
প্রত্যেককে যথেষ্ট সময় দেওয়া যায়।
>Ø
টিচার
লেসন প্র্যাকটিসের সময় কোন কিছু নিয়ে চিন্তার গভীরে কিভাবে ঢুকতে হয় তা শেখান।
Ø
স্টুডেন্টের
লার্নিংকে মূল্যায়ন করার জন্য এই মেথড এখনও পর্যন্ত সবচাইতে ইফেক্টিভ।
>Ø যেহেতু টিচার যা যা শেখান, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টেশন থাকে, তাই কেউ পরবর্তীতে কোন ইন্সট্রাকশন ভুলে গেলেও সমস্যা হয় না।
মতামত দিন