৪র্থ টার্ম Archives - Proshikkhon

Posts Tagged "৪র্থ টার্ম"

4Jul2021

DPEd Oral examination (Viva Voce) And Subject Board

মৌখিক পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি মৌখিক পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে সামগ্রিকভাবে মূল্যায়নের একটি সর্বজনীন ও কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত। ডিপিএড কোর্সে ৪র্থ টার্মে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে পিটিআই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মৌখিকভাবে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীর বিষয়জ্ঞান ও শিক্ষণবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা ও উপলব্ধি যথাযথভাবে পরিমাপ করার সুযোগ রয়েছে।

[…]
4Jul2021

Lesson Study : Objectives, Implementation and How to do

আলোচ্য বিষয়:

  • পাঠ সমীক্ষা (Lesson Study) কী?
  • পাঠ সমীক্ষার উদ্দেশ্যসমূহ।
  • পাঠ সমীক্ষা সফল বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনাসমূহ।
  • পাঠ সমীক্ষা সম্পাদনে প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের করণীয়।
[…]
4Jul2021

Action Research : Steps, Rubric and How to write

কর্মসহায়ক গবেষণা (Action Research) বলতে কী বোঝায়?

অনুবাদ করলে অ্যাকশন রিসার্চ কথাটার অর্থ দাঁড়ায় কর্মসহায়ক গবেষণা (Action Research)। ইংরেজিটা বহুল প্রচলিত হলেও বাংলা “কর্মসহায়ক গবেষণা” রাখা হয়েছে সহজে বোঝার জন্য। অ্যাকশন বলতে কোনো কার্যক্রম বুঝায় এবং রিসার্চ অর্থ গবেষণা। গবেষণা বলতে প্রকৃতপক্ষে বোঝায় উদ্ভূত কোনো সমস্যার বিষয়ে অনুসন্ধান এবং অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সমাধান বের করার কার্যক্রম। সুতরাং কর্মসহায়ক গবেষণা (Action Research) বলতে প্রকৃতপক্ষে বোঝায় কোনো সমস্যার কারন বের করে সমাধান খুঁজে পাওয়ার কার্যক্রম।

[…]
4Jul2021

How to write a log book

লগ বুক কী?

লগ বুক হলো বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। প্রতিদিনের কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পর্কিত রেজিস্টারকেই মূলত লগ বই (log book) বলা যেতে পারে। ডিপিএড কোর্সে প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় ও নিজ বিদ্যালয়ে কাজ করার সময় সমাবেশ থেকে শুরু করে বিদ্যালয় ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত সকল কর্মকান্ড একটি রেজিস্টারে (লগ বুক) এর নির্ধারিত ছকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিপিবদ্ধ করাই হলো লগ বইয়ের মূল উদ্দেশ্য। লগ বুক দেখে খুব সহজেই একজন পর্যবেক্ষক উক্ত শিক্ষকের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।

লগ বই কখন লিখতে হয়?

[…]
4Jul2021

Reflective Journal

রিফ্লেকটিভ জার্নাল কী?

ডিপিএড কোর্সে প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় ও নিজ বিদ্যালয় কার্যক্রম চলাকালিন করার সময় রিফ্লেক্টিভ জার্নাল লেখা বাধ্যতামূলক। রিফ্লেকটিভ জার্নাল হলো শিক্ষক কর্তৃক শ্রেণিপাঠদান শেষে তার শিখন শেখানো কার্যক্রম সম্পর্কে নিজস্ব অনুচিন্তন (Self-Reflection) একটি রেজিস্টারে নির্ধারিত ছক অনুসরণপূর্বক লিপিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়া। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিক্ষক নিজেই নিজের পাঠের সবল ও দূর্বল দিক চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। নিম্নে কীভাবে জার্নাল লিখবে হবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:

[…]
4Jul2021

Assignment : Characteristics, Rubric and How to write

অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment) কী?

অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment) বলতে সাধারণত কোনো বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন বুঝায়। সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষক কোন বিশেষ বিষয়বস্তু সম্পর্কে গভীরভাবে শিক্ষার্থীদের ধারণা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment) প্রদান করে থাকেন। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment) টার্মটি বহুল আলোচিত সেই সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এ সম্পর্কে প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্যক ধারণা রাখা আবশ্যক।

অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment) এর বৈশিষ্ট্য

[…]
4Jul2021

DPED Course Evaluation

১২টি বিষয়ের কোর্স মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সর্বমোট ১২০০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে। ১২০০ নম্বরের মধ্যে পিটিআই কর্তৃক গাঠনিক মূল্যায়ন ৬১০ নম্বর এবং নেপ কর্তৃক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৫৯০ নম্বর। ডিপিএড কোর্স মূল্যায়নে গাঠনিক এবং সামষ্টিক উভয় প্রকার মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোর্স চলাকালীন সকল পর্যায়ে গাঠনিক মূল্যায়ন ব্যবহার করা হবে।

পিটিআই কর্তৃক কোর্স মূল্যায়ন (গাঠনিক)

১২টি বিষয়ে পেশাগত বিষয়ে ১১০ নম্বর, বাংলা ৮০, ইংরেজি ৮০, গণিত ৮০, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ১০০, বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় ১০০ এবং এক্সপ্রেসিভ আর্ট বিষয়ের ২০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে। সকল প্রমাণপত্র পোর্টফোলিওতে সংরক্ষণ করতে হবে। বিস্তারিত নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • পেশাগত শিক্ষা বিষয়ে ১১০ নম্বরের মধ্যে ইনকোর্স ৫০, কেস স্টাডি উপস্থাপন ১৫ নম্বর, অ্যাসাইনমেন্ট ১৫ নম্বর, আইসিটি (অনুশীলন) ২০ নম্বর এবং লাইব্রেরি ব্যবহার ২০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে। যেসব পিটিআইতে এ বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তাঁরাই আইসিটি বিষয়টি পাঠদান ও মূল্যায়ন করবেন। একইভাবে চতুর্থ খণ্ডের গ্রন্থাগার অংশের ৫টি অধিবেশনে শিক্ষাদান করবেন পিটিআই গ্রন্থাগারিক/সহকারী গ্রন্থাগারিক এবং তাঁরা সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি ব্যবহারের ২০ নম্বর মান মূল্যায়ন করবেন।
  • ৪টি বিষয়ের প্রতিটি (বাংলা বিষয়জ্ঞান, বাংলা শিক্ষণবিজ্ঞান, ইংরেজি বিষয়জ্ঞান, ইংরেজি শিক্ষণবিজ্ঞান) মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অ্যাকশন রিসার্চ/কেস স্টাডি ১৫ নম্বর এবং অ্যাসাইনমেন্ট ১৫ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে।
  • ৪টি বিষয়ের প্রতিটি (প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়জ্ঞান, প্রাথমিক বিজ্ঞান শিক্ষণবিজ্ঞান, গণিত বিষয়জ্ঞান এবং গণিত শিক্ষণবিজ্ঞান) মূল্যায়নের ক্ষেত্রে লেশনস্টাডি ১৫ নম্বর মূল্যায়ন করা হবে।
  • অনুশীলনের ক্ষেত্রে পেশাগত শিক্ষায়-আইসিটি অনুশীলন ২০ নম্বরর এবং লাইব্রেরি ব্যবহার ২০ নম্বর; প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়জ্ঞান, প্রাথমিক বিজ্ঞান শিক্ষণবিজ্ঞান এ পরীক্ষা ২০ নম্বর, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের ক্ষেত্রে আচার-আচরণ-৫ নম্বর, অনুষ্ঠান পরিচালনা-৫ নম্বর এবং সামাজিক কাজ-১০ নম্বর) ২০ নম্বর এবং এক্সপ্রেসিভ আর্ট (শাশি-৮, আর্ট এন্ড ক্রাফট-৮ এবং সংগীত-৪) ২০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে।
  • প্রতিটি বিষয়ের পাস নম্বর ৪০%।
এক নজরে পিটিআই কর্তৃক গাঠনিক মূল্যায়ন

ফলাফল (Result)

  • গ্রেডিং পদ্ভতিতে ফলাফল প্রদান করা হবে।
  • গাঠনিক ও সামষ্টিক কোর্স মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শতকরা ৪০ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ (Pass) এবং শতকরা ৪০ নম্বরের নিচে পেলে অনুত্তীর্ণ (Fail) হবে।

গাঠনিক মূল্যায়ন

ইনস্ট্রাক্টর শিক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে পারেন-

  • শিক্ষার্থীকে তার নিজের শিখনলাভ বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফিডব্যাক দিয়ে;
  • ফিডব্যাক দেয়ার ক্ষেত্রে তার অর্জিত জ্ঞান বা দক্ষতার ঘাটতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়ে;
  • সে ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা যায় সে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলে অর্থাৎ এ জন্য কী কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়ে।

কীভাবে গাঠনিক মূল্যায়ন করা যেতে পারে

  • একজন শিক্ষার্থীকে একাকী অথবা দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে;
  • প্রশ্ন করে অথবা প্রশ্ন করার সুযোগ দিয়ে;
  • বিভিন্ন কাজ দিয়ে যথা-প্রজেক্ট করতে দিয়ে, কোনো বিষয়ে লিখতে বা বলতে দিয়ে;
  • কোনো বিষয়ে অনুসন্ধান পর্যবেক্ষণ করতে দিয়ে।

উপকরণ

প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীর পাঠ সম্পর্কিত কাজ সম্পাদন সম্পর্কে ফিডব্যাক দেবেন। ফিডব্যাক অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। যেমন “তোমার কাজ ভালভাবেই এগোচ্ছে, তবে এ জায়গাটা তুমি পরিবর্তন করতে চাও কী না? ভুল শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে “আচ্ছা, আমি কিন্তু এভাবে বলব/লিখব। অথবা ডিকশনারী দেখে, তুমি যে শব্দটি লিখেছ, তা সঠিক কীনা যাচাই করে নিবে।

ইনস্ট্রাক্টরগণ এভাবে ধারাবাহিক এবং পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীর বিভিন্ন কাজ পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিখন অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। এ জন্য ইনস্ট্রাক্টরগণ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তা হলো-

  • নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি সম্পর্কে ডায়েরিতে অথবা শিক্ষার্থীর পোর্টফোলিওতে মন্তব্য লিখে রাখবেন।
  • কী টুলস ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে একটি লিখিত পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
  • কী প্রশ্ন করবেন, কী বলতে দেবেন, কী লিখতে দেবেন অথবা কী কাজ করতে দেবেন সে সম্পর্কে পরিকল্পনা করবেন।
  • ফিডব্যাক সব ক্ষেত্রে হবে লিখিত এবং শিক্ষার্থী কী ব্যবস্থা নিল তাও মনিটর করতে হবে।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে হবে।
  • ডিপিএড কর্মসূচিতে অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন অথবা অ্যাকশন রিসার্চে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের যথাযথ প্রমাণ রাখতে হবে।

ডিপিএড কোর্সের গাঠনিক মূল্যায়নের জন্য যে কয়েক টুলস ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হলো:

১) অ্যাসাইনমেন্ট,

২) কেস স্টাডি উপস্থাপন,

৩) অ্যাকশন রিসার্চ,

৪) লেসন স্টাডি

Ad

error: Content is protected !!