Children with special needs
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর পরিচয় এবং তাদের শিখন চ্যালেঞ্জ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু
প্রতিবন্ধী শিশু
শিশুর শারীরিক, বুদ্ধিগত বা ইন্দ্রিয়গত ঘাটতি থাকলে তার পক্ষে যে কোনো কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে অসুবিধা হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এই ঘাটতি এতটা গুরুতর যে সহায়ক উপকরণ ও অন্যের সাহায্য নিয়েও চলাচলে ও লেখাপড়ায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। যেসব শিশুর অঙ্গহানি, শ্রবণে প্রতিবন্ধকতা, দর্শনে প্রতিবন্ধকতা, আবেগীয় নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি, কম বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য থাকলে সেসব শিশুকে প্রতিবন্ধী শিশু বলা হয়।
ওয়ার্কশীট-১
কেস নং | চরিত্রের নাম | চ্যালেঞ্জের প্রকৃতি | প্রতিবন্ধিতার ধরন |
১ | রিফাত | হাত পায়ের স্বাভাবিক নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। হুইলচেয়ারে ভর করে চলাফেরা করে। | শারীরিক প্রতিবন্ধী (physical disability) |
২ | রাইমা | ব্লাকবোর্ডের লেখা এবং পাঠ্যবই এর ছোট ছোট লেখা ভালভাবে না দেখার কারণে পড়তে পারত না। | দৃষ্টিগত চ্যালেঞ্জসম্পন্ন শিশু (Visual Problems/disability/impairment) |
৩ | কামরান | আগ্রাসী বা উদ্বিগ্ন আচরণ করে। অন্যের আদেশ পালনে অপারগতা প্রকাশ করে। | গুরুতর ব্যবহারগত/আবেগিক চ্যালেঞ্জ (Severe Behavioural/Emotional Problem/disability) |
৪ | আরিফা | বুদ্ধিমত্তার বিকাশটা অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুদের থেকে ধীরগতি সম্পন্ন এবং তার মানসিক ও অন্যান্য বিকাশও কিছুটা বিলম্বিত। সে তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের মত আচরণ করে। | বুদ্ধিগত চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Intellectual Problems/disability) |
৫ | রাতুল | কানে কম শুনত। | শ্রবণগত চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Hearing Problems/disability/impairment) |
৬ | রীমা | কথা বলায় জড়তা (তোতলামি) ছিল। ফলে তার উচ্চারণ ও ভাষা বুঝতে অন্যদের একটু সমস্যা হতো। | যোগাযোগ চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Communication Problems/disability) |
ক) শারীরিক চ্যালেঞ্জসম্পন্ন শিশু (Physical Challenges/disability):
শিশুর অঙ্গহানী বা শারীরিক এমন সমস্যা যা অন্যের সাহায্য নিয়ে ছাড়া চলাচল করতে পারেনা; এমনকি সমস্যা এতটা গুরুতর যে সহায়ক উপকরণ ও অন্যের সাহায্য নিয়েও চলাচলে ও লেখাপড়ায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। কিছু কিছু শিশু হুইলচেয়ার, ক্র্যাচ ইত্যাদি এবং অন্যের সাহয্যে লেখাপড়া বা চলাচল করতে পারে। শরীরের কোনো কোনো সম্ভাবনা রয়েছে বা কোনো কোনো অঙ্গ বেশি বা ভালোমত কাজ করতে পারে তার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। সেগুলোকে বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে পারার জন্য প্রয়োজনে হুইল চেয়ার, ক্র্যাচ, সাদা ছড়ি, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী দেয়া দরকার।
শ্রেণিকক্ষে শিখনে বাধা
১। লিখতে সমস্যা হয়। কেননা অনেকেই হাতের পরিবর্তে পা ব্যবহার করে।
২। শ্রেণিতে ব্যবহারিক কাজে সমস্যা হয়।
খ) দৃষ্টিগত চ্যালেঞ্জসম্পন্ন শিশু (Visual Problems/disability/impairment):
আসন বিন্যাসের কারণে এ ধরণের শিশুদের দেখতে বা পড়তে আরও সমস্যা হয়। আবার কেউ কেউ চশমা ছাড়া দেখতে পারে না। এদের সহায়ক উপকরণ যেমন: চশমা, আতশী কাঁচ, বড় লেখার বা ছাপার অক্ষরের বই, মোটা দাগের কলম, আসন পুনর্বিন্যাসের ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু শিশুর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চশমার সাহায্যের পরও কাছের/দুরের লেখা বা কিছু দেখতে বা পড়তে সমস্যা হয়। অল্প সংখ্যক শিশু আছে যারা একেবারেই দেখতে পারে না। এদের সহায়ক শিক্ষা পদ্ধতি যেমন: ব্রেইল পদ্ধতি প্রয়োজন হয়। যারা দেখতে পায় না তাদের জন্য ট্যাকটাইল গ্রাফ, টকিং ক্যালকুলেটর, টকিং সফটওয়ার, বাস্তব বা অর্ধবাস্তব উপকরণ ইত্যাদি বেশ সহায়ক হতে পারে। যাদের দেখার সমস্যা রয়েছে তাদের চোখ পরীক্ষা করে চশমা প্রদান করা দরকার।
পাঠ্যপুস্তকে যে সকল ছবি দেয়া হয়েছে তা আরও স্পষ্ট, গাঢ় ও উজ্জ্বল রংয়ের হওয়া প্রয়োজন। স্বল্পমাত্রার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাসহ সকলের জন্য তা প্রয়োজন। এছাড়া ছবি দৃষ্টি নন্দন না হলে বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভূল ধারণাও আসতে পারে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের বিরক্তির উেদ্্রক করতে পারে। কোনো একটি ছবিতে অসংখ্য বিষয় ও উপ-বিষয় না রাখা উত্তম।
গ) ব্যবহারগত/আবেগিক চ্যালেঞ্জসম্পন্ন শিশু (Behavioural/Emotional Problem/disability):
গ-১) মৃদু ব্যবহারগত/আবেগিক চ্যালেঞ্জ (Mild Behavioural/Emotional Problem): এ ধরণের শিশুরা প্রায়ই আগ্রাসী বা উদ্বিগ্ন আচরণ করে। এরা সাধারণত অন্যের আদেশ অনুসরণ করতে পারে না বা চায় না। তাদেরকে অন্যান্য শিশুদের বা শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
গ-২) গুরুতর ব্যবহারগত/আবেগিক চ্যালেঞ্জ (Severe Behavioural/Emotional Problem/disability): এ ধরণের শিশু আগ্রাসী বা উদ্বিগ্ন আচরণ করে। প্রায় সময় শব্দ করা, হাত-পা নাড়তে থাকা, অনিচ্ছাকৃত ভাবে নিজের বা অন্যের শারীরিক ক্ষতি করার চেষ্টা করা। অন্যান্য শিশুদের বা শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে বেশ কষ্ট হয়, তবে অনেক শিশুই স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হয়। এ শিশুদের আচরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এ ধরণের আবেগিক চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। এদের সাথে খুব বেশি বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ধৈর্য্য সহকারে এদের শিখানোর চেষ্টা করতে পারলে নিম্নের ব্যবহারগত বৈশিষ্ট্য দেখে শিখন সমস্যাসম্পন্ন শিশুদের চিনতে পারা যায় :
গ-২.১) ব্যক্তিগত/সামাজিক বিকাশ (Personal/Social Development):
- অন্য শিশুর সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়;
- দুর্বল শরীর এবং অবয়ব;
- অপরিপক্ক সামাজিক আচরণ;
- ব্যর্থ হবার ভয়।
গ-২.২) জ্ঞানীয় বিকাশ (Cognitive Development):
- জ্ঞানীয় বিকাশে ধীর বা ঘাটতি;
- জ্ঞানীয় পরিপক্কতা এবং কৃতিত্বে ব্যাপক ব্যবধান।
গ-২.৩) ভাষার বিকাশ (Language Development):
- কোনো কিছু বোঝার জন্য একই জিনিস/ নির্দেশনার পুনরাবৃত্তি;
- স্বাভাবিক শিক্ষার্থীরা দুই বা ততোধিকবার বোঝালে যা বুঝতে পারে, তা তারা পারে না;
- পঠনের ক্ষেত্রে কোনো শব্দ বা লাইনকে বাদ দিয়ে পড়া;
- অর্থ না বুঝে বার বার পুনরাবৃত্তি বা মুখস্ত করা;
- বানানে ভূল বা পারেই না;
- কোনো কিছু দেখে লিখতেও সমস্যা।
গ-২.৪) চলাচল বা গতীয় বিকাশ (Motor Development):
- শিশু অঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে একই জিনিসের বারবার পুনরাবৃত্তি করে;
- শ্রেণিকক্ষে অতি সক্রিয়শীলতা;
- স্থুল কাজ (দৌড়ানো, দড়ি লাফ ইত্যাদি) বা সূক্ষ্ম কাজ (সুইয়ে সুতা পরানো) বা উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা;
- বাম থেকে ডান, সামনে থেকে পেছনে পার্থক্য নির্ণয়ে অক্ষমতা।
গ-২.৫) প্রত্যক্ষণমূলক বিকাশ (Perceptual Development):
- দৃষ্টিগত প্রত্যক্ষণমূলক সমস্যা;
- শ্রবণগত প্রত্যক্ষণমূলক সমস্যা;
- ষ্পর্শকাতর অর্থাত্ সংস্পর্শ অপছন্দ;
- প্রত্যক্ষণমূলক গতি সমন্বয় সমস্যা।
ঘ) বুদ্ধিগত চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Intellectual Problems/disability):
এ ধরণের শিশুর বুদ্ধিমত্তা ও মানসিক বিকাশ অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুদের থেকে একটু ধীরগতি সম্পন্ন। এদেরকে সামান্য সহায়তার মাধ্যমে সাধারণ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাগ্রহণ ও শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানো সম্ভব। শারীরিক অপেক্ষা মানসিক বয়স কম হওয়ায় শিশু তার বয়সের চেয়ে কমবয়সী শিশুর মত আচরণ করে। শিক্ষকের আন্তরিক সহযোগিতা এদের শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।অন্যদিকে কিছু সংখ্যক শিশু আছে যাদের বুদ্ধিমত্তার ও মানসিক বিকাশ বেশ চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন। এসকল শিশুর সাধারণ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা লাভে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রয়োজন। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের পক্ষেও এ ধরনের দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।
ঙ) শ্রবণগত চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Hearing Problems/disability/impairment):
এ ধরণের শিশুর সামান্য শ্রবণ সমস্যার কারণে কথা শুনতে/বলতে/বুঝতে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কিছু কিছু শিশু একেবারেই শুনতে পারে না। এদেরকে ইশারা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় একটু উচ্চস্বরে কথা বলে বা আসন ব্যবস্থার সমন্বয় করলে তারা সহজেই লেখাপড়া করতে পারে। অনেক শিশু শ্রবণ যন্ত্র ব্যবহার করে শুনতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু স্বল্প মাত্রার অর্থাত্ ৪৫-৬৫dB শ্রবণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। অনেক শিশু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শ্রবণ যন্ত্রের সাহায্যেও শুনতে পারে না।এদের জন্য উচ্চস্বরে কথা বলা, দৃষ্টিগত উদ্দীপনা, ঠোঁট নাড়াচাড়া ও মুখভঙ্গির ব্যবহার, ইশারা ভাষা ও কথন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভাব বিনিময় নিশ্চিত করা যায়।
যাদের শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে তাদের কান পরীক্ষা করে প্রয়োজনে শ্রবণ যন্ত্র প্রদান করতে হবে যেন তারা শুনতে পায় এবং ভালো করে কথা বলতে পায়। স্পষ্ট উচ্চারণে উচ্চ স্বরে পড়ালে/বললে যাদের শোনার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বেশ সহায়ক হবে। উপস্থাপন পদ্ধতি ও কৌশলের পরিবর্তন করতে হবে যেন সব কৌশলগুলি মিলিতভাবে সকলের জন্য সমানভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে আলাদা আলাদা পদ্ধতি ও কৌশলের প্রয়োগ করা যেতে পারে।
চ) যোগাযোগ চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Communication Problems/disability):
এ ধরণের শিশুরা সামান্য তোতলা। এদের উচ্চারণে এবং ভাষা বুঝতে সামান্য সমস্যা হয়। তবে এরা প্রায়ই স্বাভাবিকভাবে যোযাযোগ করতে পারে। কিছু কিছু শিশু অধিক তোতলানো, জড়তা, উচ্চারণে এবং ভাষা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে ভাব বিনিময় করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ইশারার ভাষা, অঙ্গ-ভঙ্গী এবং লেখার মাধ্যমে যোগাযোগ বা ভাব বিনিময় করতে পারে।
ছ) শিখন চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন শিশু (Learning Problems/disability):
এ ধরণের শিশু মৌখিক ভাষা ব্যবহারে, লিখতে, বুঝতে, উপলদ্ধিতে, শ্রবণে অথবা গাণিতিক হিসাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কিছু কিছু শিশুর শিখনে বেশ চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন: বানান ভুল করা, পঠনের সময় পুরো লাইন বাদ দিয়ে পড়া, কথার অর্থ না বুঝে বার বার পুনরাবৃত্তি বা মুখস্থ করার চেষ্টা, শ্রেণীকক্ষে অতি সক্রিয়শীলতা, উল্টা লেখা ইত্যাদি। বিশেষ শিখন কৌশল ও যত্ন নিলে এ ধরণের চ্যালেঞ্জ থেকে পরিত্রাণ লাভ করা সম্ভব। এই ধরনের শিশুদের প্রথম প্রথম হাত ধরে লিখা শিখানোর কাজ করলে, লিখার জন্য ফ্রেম ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। মাটিতে গভীর দাগ কেটেও লেখানো যেতে পারে।
নির্দিষ্ট শিখন সমস্যার প্রকারভেদ:
এ ধরনের সমস্যা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। প্রচলিত কয়েকটি রূপ নিচে উল্লেখিত হলো:
- এ্যাফাসিয়া (Aphasia): ভাষা, কথা বলা, লিখন এমনকি ইশারার মাধ্যমে যোগাযোগ করার সমস্যা।
- ডিসলেক্সিয়া (Dyslexia): পঠনের সমস্যা, অক্ষর উল্টাপাল্টা দেখা।
- ডিসগ্রাফিয়া (Dysgraphia): লেখার সমস্যা, লিখতে গিয়ে রেখা ঠিকমত দিতে না পারা।
- ডিসারথিরিয়া (Dysarthria): কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণে স্পষ্টভাবে শব্দ উচ্চারণে সমস্যা।
- ডিসক্যালকুলিয়া (Dyscalculia): গাণিতিক হিসাব করার (যুক্তি নির্ভর কাজের ক্ষেত্রে) সমস্যা।
- ডিসইনহিবিশন (Dysinhibition):পরিবেশের সকল উদ্দীপক এবং প্রত্যক্ষণে সমস্যা ফলে অতিচঞ্চলতা, বিক্ষিপ্তচিত্ততা এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠ্য বিষয়ের প্রতি অমনোযোগিতা।
- ডিসওরিয়েন্টেশেন (Dysorientation): সময় এবং অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের সমস্যা।
জ) ভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য চ্যালেঞ্জ (Language Problems/disability)
বিভিন্ন ভাষাভাষী সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য মুলস্্রোতধারার শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা একটি কঠিন কাজ। এই ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষা ও কৃষ্টিগত সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ ধরনের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। একীভুত শিক্ষার সফলতার জন্য আমাদের সে বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে। সেভাবে প্রয়োজনে পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে। শিক্ষকদেরও সে বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। প্রয়োজনে প্রাক-প্রাথমিক, ১ম শ্রেণি, ২য় শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ট্রানজিশন সময় বিবেচনা করে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। দৈত ভাষায় বই রচনা করা এবং পড়ানো একটি সহজ উপায়। শিক্ষক ও সহপাঠিদের বন্ধুত্বসুলভ আচরণ অনেক বেশি সহায়ক হতে পারে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ এর ৩ ধারায় প্রতিবন্ধিতার ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে -এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিগত, বিকাশগত, ইন্দ্রিয়গত ক্ষতিগ্রস্থতা এবং প্রতিকুলতার ভিন্নতা বিবেচনায় প্রতিবন্ধিতার ধরনসমূহ হইবে নিম্নরূপ, যথা-
(ক) অটিজম (autism)
(খ) শারীরিক প্রতিবন্ধী (physical disability)
(গ) মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা (mental illness leading to disability)
(ঘ) দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা (visual disability)
(ঙ) বাক প্রতিবন্ধিতা (speech disability)
(চ) বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা (intellectual disability)
(ছ) শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা (hearing disability)
(জ) শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা (deaf-blindness)
(ঝ) সেরিব্রাল পালসি (cerebral palsy)
(ঞ) বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা (multiple disbility)
(ট) ডাউন সিনড্রোম
(ঠ) অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা (other disability)
অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার
কিছু শিশু নিজের জগতে ডুবে থাকতে পছন্দ করে। অন্যের সাথে মেশা এমনকি কথা বলতে আগ্রহী হয় না। অনেকে আবার কথা বলতে শেখে না, ডাকলে সাড়া দেয় না, চোখে-চোখে তাকায় না। অনেক ক্ষেত্রে এসব শিশু একই রুটিন অনুসরণ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, কোনো একটি আচরণ একটানা একঘেয়েমিমূলকভাবে করতে থাকে। যোগাযোগ, সামাজিকতা ও আচরণে মৃদু থেকে গ্রর“তর মাত্রার বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকলে সেসব শিশুকে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু সংক্ষেcে অটিজম বলে। এই ধরণের শিশুদেও ৪০% এর বুদ্ধিমত্তা থাকে স্বাভাবিকের থেকে কম, আবার অনেকের স্বাভাবিক ও কিছু কিছু শিশু অতি মেধাবী হয়। মস্তিষ্কের বিকাশজনিত জটিল অবস্থার কারনে শিশুর জন্মের দেড় থেকে তিন বছরের মধ্যে এধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব শিশুরা বিশেষ ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে। যেমন, ছবি আঁকা, গান গাওয়া, গাণিতিক সমাধান ইত্যাদি (নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩)
বাক প্রতিবন্ধী (speech disability)
যেসব শিশুর কথা বলতে বা স্পষ্ট করে কথা বলতে অসুবিধা হয় তাদের বাক প্রতিবন্ধী শিশু বলে। এরা গুছিয়ে শব্দ ও বাক্য বলা, উচ্চারণে, শব্দের সঠিক ব্যবহারে, একজনের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলতে, গুছিয়ে মনের ভাব প্রকাশে ও অন্যের সাথে অর্থবহ যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়তে পারে। সময়মতো সঠিক চিকিত্সা না পেলে এসকল শিশুর শ্রবণ প্রতিবন্ধীতাও দেখা দিতে পারে। যোগাযোগ করতে পারে না বলে শ্রেণিকক্ষেও এসব শিশুরা পিছিয়ে পড়তে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিত্সা, শিক্ষাক্রমে ও নির্দেশনা পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা প্রভৃতি কৌশলের মাধ্যমে এদের শিখন উপযোগী পরিবেশ দেওয়া যায়।
শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধতা
কোনো শিশুর মাধ্যে একই সঙ্গে শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তির আংশিক বা পূর্ণ সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান থাকলে এবং এর ফলে ঐ ব্যক্তির যোগাযোগ, বিকাশ এবং শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যার সন্মূখীন হলে তাকে শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা শিশু বলে। শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার মাত্রা অনুযায়ী শ্রবণ-দৃষ্টি চার ধরণের: ১। মাঝারি থেকে গুর“তর মাত্রার শ্রবণ এবং গুরুতর মাত্রার দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা, ২। মাঝারি থেকে গুর“তর মাত্রার শ্রবণ এবং গুর“তর মাত্রার দৃষ্টি ও সাথে অন্য প্রতিবন্ধিতা, ৩। দৃষ্টি এবং শ্রবণ ইন্দ্রিয়গত প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা, ৪। দৃষ্টি এবং শ্রবণ শক্তির ক্রমানবতি (প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩)
সেরিব্রাল পালসি
অপরিনট মস্তিষ্কের কোনো আঘাত বা রোগের আক্রমণের কারণে যদি কোন শিশুর সাধারণ চলাফেরা ও দেহভঙ্গিতে অস্বাভাবিকতা যা তার দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সীমাবদ্ধ করে তাকে সেরিব্রাল পালসি শিশু বলে। এধরণের ব্যক্তির মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ততার পরিমাণ পরবর্তীতে হ্রাস বা বৃদ্ধি না হয় এবং উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে দৈনন্দিন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। সেরিব্রাল পালসিতে শিশুর এক হাত বা দুই হাত অথবা এক পা বা দুই পা অথবা এক পাশের হাত ও পা বা উভয় পাশের হাত বা পা আক্রান্— হয়ে পারে। পেশী খুব শক্ত বা শিথিল থাকা, হাত বা পায়ের সাধারণ নাড়াচড়ায় অসামঞ্জস্যতা বা সীমাবদ্ধতা, বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্—তা এবং আচরগত ও যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধিতার বৈশিষ্ট্য (প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩)
ডাউন সিনড্রোম
কোন শিশুর মধ্যে বংশানুগতিক কোন বিশেষ অবস্থা যা তার ২১তম ক্রমোসোম জোড়ায় একটি অতিরিক্ত ক্রমোসোম উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং যার মধ্যে মৃদু হতে গুরুতর মাত্রার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা, দুর্বল পেশীক্ষমতা, খর্বাকৃতি ও মঙ্গোলয়েড মুখাকৃতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তাকে ডাউন সিনড্রোমজনিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বলা হয় (প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩)।
অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা
কোন শিশুর মধ্যে যদি ধারা উলেখখিত প্রতিবন্ধিতা ব্যতীত এইরূপ অন্য কোন অস্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য বিদামান থাকে যা তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন, বিকাশ ও চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে, তা হলে জাতীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করলে উক্ত শিশুও, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিবন্ধী শিশু বলে বিবেচিত হবে (প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩)।
প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক আইন
১। শিশু আইন, ২০১৩: http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1119.html
২। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩: http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1126.html
৩। প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯: http://nddtrust.gov.bd/site/view/law/
৪। নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫: http://nddtrust.gov.bd/site/view/law/
৫। নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩: http://nddtrust.gov.bd/site/view/law/
শিশুর শিখন চ্যালেঞ্জ
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়:
- গুছিয়ে কাজ করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়
- একই ধরনের বা সীমাবদ্ধ কিছু কাজ বা আচরণের পুনরাবৃত্তি সংক্রান্— চ্যালেঞ্জ
- মৌখিক উপায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষাগত চ্যালেঞ্জ
- খেলাধুলায় সমবয়সীদের সাথে মিশতে অনাগ্রহ প্রকাশ করা
- প্রত্যাশিত সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিন্নতা/ চ্যালেঞ্জ
- বয়স উপযোগী দৈনন্দিন জীবন দক্ষতা অর্জনে চ্যালেঞ্জ (যেমন, নিজে নিজে টয়লেট ব্যবহার)
- পেশিগত বিকাশে চ্যালেঞ্জ (যেমন, হাঁটা, দৌঁড়ানো)
- আবেগ প্রকাশ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ
- মনোযোগ ধরে রাখতে চ্যালেঞ্জ
- তুলনামূলক জটিল বিষয়গুলোর প্রতি নিবিড় মনোযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ
- শ্রবণে চ্যালেঞ্জ থাকায় পাঠে অমনোযোগী
- মৌখিক/লিখিত/ইশারা ইত্যাদি অনুসরণে চ্যালেঞ্জ
- বাড়িতে, বিদ্যালয়ে বা সামাজিক পরিসরে হাইপার এক্টিভ
- দীর্ঘ সময়ের জন্য এক জায়গায় না বসতে চাওয়া/ছোটাছুটি
- বয়স অনুযায়ী বিকাশের মাইলফলক অর্জনে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগে
- সহপাঠির সাথে সংগতিপূর্ণ উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ
- ভাষাগত বিকাশে চ্যালেঞ্জ
- শব্দ তৈরি ও উচ্চারণ করতে চ্যালেঞ্জ
- পেছন থেকে আসা শব্দ শোনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ
- তোতলামভাবে কথা বলায় চ্যালেঞ্জ
- প্রয়োজনীয় শব্দ সাজিয়ে এবং স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলায় চ্যালেঞ্জ
- শিক্ষা উপকরণ ধরতে চ্যালেঞ্জ
- হাতে-কলমে কাজ করতে চ্যালেঞ্জ
- শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণে চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি।
ওয়ার্কশীট-২
শ্রেণিকক্ষে শিশুর শিখন চ্যালেঞ্জ | কোন পর্যায়ে চ্যালেঞ্জটি সমাধানযোগ্য |
হাতে-কলমে কাজের সুযোগ, দলগত কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ, মতামত প্রকাশের সুযোগ ইত্যাদি | ১। বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ২। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ৩। জাতীয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য |
আসন ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পারস্পারিক অবস্থান, আলো-বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ইত্যাদি | ১। বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ২। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ৩। জাতীয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য |
শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার | ১। বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ২। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ৩। জাতীয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য |
শিক্ষার্থীর আর্থিক চ্যালেঞ্জ, শিক্ষকের দক্ষতার ঘাটতি ইত্যাদি | |
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে অধিক সময় দিতে না পারা | |
প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণের কার্যকর ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ | |
কার্যকর যোগাযোগ ও ভাববিনিময়ের কৌশলের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ |
ওয়ার্কশীট-৩
শিশুর শ্রেণিকক্ষ বহির্ভূত শিখন চ্যালেঞ্জ | কোন পর্যায়ে চ্যালেঞ্জটি সমাধানযোগ্য |
বিদ্যালয়ের ভৌত-অবকাঠামো | ১। বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ২। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ৩। জাতীয় পর্যায়ে সমাধানযোগ |
শ্রেণিকক্ষের বিন্যাস ও অবকাঠামো | ১। বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ২। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ৩। জাতীয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ৪। আপাতত সমাধানযোগ্য না |
বিদ্যালয় ও পরিবারের মধ্যে যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা | ১। বিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধানযোগ্য, ২। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন পর্যায়ে সমাধানযোগ্য |
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের মধ্যে সম্পর্ক ও সমন্বয়ের অভাব | |
শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ | |
কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক দুযোর্গ | |
বিশেষচাহিদা সম্পন্ন শিশুর শিক্ষা নিয়ে ভুল ধারণা |
তথ্যসূত্র:
১। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এবং সুচনা ফাউন্ডেশন (২০২২), একীভূতকরণের কৌশল: শিখন-শেখানো এবং মূল্যায়ন।
২। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেইজ-২ প্রকল্প (এপ্রিল, ২০২১), মডিউল-এম ৭০৬, শিশু ও জেন্ডার সংবেদনশীলতা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
৩। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ), ময়মনসিংহ (২০১৯), ডিপিএড পেশাগত শিক্ষা (১ম খন্ড)।
৪। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই), ঢাকা (২০১৪), একীভূত শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল।