বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ Archives - Proshikkhon

Posts Tagged "বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ"

18Jan2022

Evaluation: Objectives, Types and Strategies

মূল্যায়ন: উদ্দেশ্য, প্রকারভেদ ও কৌশল

শিখন-শেখানো কার্যাবলির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মূল্যায়ন (Assessment)। একটি সফল শিখন-শেখানো কার্যাবলি পরিচালনার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য মূল্যায়ন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যায়নের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান/দক্ষতা/দৃষ্টিভঙ্গি তথা যোগ্যতার মান যাচাই করা যায়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়নকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়েছে। গাঠনিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন হলো মূল্যায়নের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শ্রেণিবিভাগ। শিক্ষার্থীকে শিখনে সহায়তা করার জন্য শিখন শেখানো চলাকালীন যে মূল্যায়ন করা হয়, উহাই হলো গাঠনিক মুল্যায়ন (Formative Assessment); আর শিক্ষার্থী যা শিখেছে উহা মূল্যায়ন করাকে বলা হয় সামষ্টিক মূল্যায়ন (Summtive Assement)। বাংলাদেশে প্রচলিত যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অর্জিত যোগ্যতা সার্থকভাবে পরিমাপের জন্য গাঠনিক মূল্যায়নের ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য গাঠনিক মূল্যায়নের কৌশলগুলো ভালভাবে জেনে শিখন শেখানোর কাজে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা গেলে শিখন শেখানোর প্রচষ্টা সফল হবে বলে ধরে নেয়া যায়।

মূল্যায়ন

শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ/উপাদান হলো শিক্ষার্থী মূল্যায়ন (assessment) যা শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি নিরূপণের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেক শিক্ষকের পেশাগত দায়িত্বের অংশ হলো শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা কী শিখতে পারছে, কী মাত্রায় এবং কতটা ভালোভাবে শিখতে পারছে সে সম্পর্কে অবহিত হয়ে সর্বোচ্চ শিখন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

সাধারণভাবে মূল্যায়ন বলতে কোন কিছুর উপর মূল্য আরোপ করাকে বুঝায়। Gronlund & Linn (১৯৯০) এর মতে, শিক্ষণ উদ্দেশ্যের কতটুকু শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পেরেছে তা নির্ণয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হল মূল্যায়ন। ঋৎববসধহ এবং খবরিং (১৯৯৮) এর মতে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখন – এর মাত্রা বা স্তর যাচাই করা হয়। এর কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থী কী জানে, বা কী করতে সক্ষম তা নিরূপণ করা। অর্থাৎ, মূল্যায়ন হলো একটি উপকরণ বা কৌশল যার দ্বারা শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য নির্ধারিত শিখন ফল (learning outcome) কতটা ভালভাবে অর্জন করতে পেরেছে তা নিরূপণ করা বা মাপা যায়। তবে শিখন মূল্যায়ন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে শিক্ষার্থীর শিখন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা, তা পর্যালোচনা করা এবং পর্যালোচনার ফসল শিক্ষার্থীদের শিখন মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হয়।

সাধারণভাবে শিক্ষাক্রম ও বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট যোগ্যতা শিক্ষার্থী কতখানি অর্জন করতে পেরেছে, বা কতটা অগ্রসর হয়েছে তা যাচাই করা হয় মূল্যায়নের মাধ্যমে। অর্থাৎ, কোন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর জ্ঞান, বোধগম্যতা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা ইত্যাদি মূল্যায়ন করা হয়। আর তা করতে হবে নির্ধারিত শিখন উদ্দেশ্যের (learning intention) ভিত্তিতে।

মূল্যায়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

মূল্যায়নের প্রধান লক্ষ্য হলো পাঠের বিষয়বস্তু শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে উৎসাহিত বা উদ্বুদ্ধ করা। এটি প্রধানত শিক্ষার্থীর শিখন মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীদের শিখন অভিজ্ঞতা অর্জনে মূল্যায়ন তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(ক) মূল্যায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান। শিক্ষার্থী কতখানি অগ্রসর হয়েছে বা কতটা পিছিয়ে পড়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য জানা যায়; এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে তার শিখন মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা যায়।

(খ) বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে সাধনের লক্ষ্যে মূল্যায়নের ফল ব্যবহার করে থাকে। যেমন: শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টি বা শিখনে আগ্রহ বৃদ্ধি, শিখনের সুযোগ প্রসারিত করা, শিক্ষার্থীকে শিখন সহায়ক পরামর্শ বা ফলাবর্তন দেয়া, শিক্ষককে শিক্ষণ পদ্ধতি যাচাই করার সুযোগ প্রদান, গ্রেড প্রদান, উপরের শ্রেণিতে পদোন্নতি, শিখন মান নিশ্চিত করা ইত্যাদি ।

(গ) মূল্যায়নের একটি বহুল ব্যবহৃত বা গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীকে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেয়া। অর্থাৎ, শিক্ষার্থী কোন কোর্স বা বিষয়ে নির্ধারিত মানদন্ড (Particular standard) অর্জন করতে পেরেছে কিনা তার একটি প্রমাণ বা সনদ প্রদান করা হয় মূল্যায়নের মাধ্যমে।

(ঘ) শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা/কৃতিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ নথিবদ্ধ করা, অন্য কথায় শিক্ষার্থীর প্রোফাইল বর্ণনা করা শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য।

(ঙ) মূল্যায়নের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর শিখনকে সহায়তা করা। যেমন: প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ বৃদ্ধি করা, শিক্ষার্থীর কাজ বা পারদর্শিতার ওপর ফলাবর্তন (ভববফনধপশ) দেয়া যার দ্বারা শিক্ষার্থী তার দূর্বলতা দূর করে শিখন মান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে, শিক্ষার্থীকে তার অগ্রগতি চিহ্নিত করতে সহায়তা করা।

(চ) শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়নের তথ্য শিক্ষককে তার শিক্ষণ পদ্ধতি ও কলা-কৌশল পর্যালোচনা করার সুযোগ প্রদান করে। যেমন, শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা কোন প্রশ্নের উত্তর কতটা সঠিকভাবে দিতে পারছে; সব শিক্ষার্থী উত্তর দিতে পারছে কিনা ইত্যাদি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষক তার শিক্ষণ পদ্ধতির মান যাচাই করতে পারেন।

(ছ) শিক্ষার্থীর কতটা অগ্রগতি হয়েছে, বা শিক্ষার্থী কোন কাজের জন্য কতটা যোগ্য – এ বিষয়ে অভিভাবককে অবহিত করা মূল্যায়নের একটি উল্লখযোগ্য কাজ।

মূল্যায়নের প্রকারভেদ:

১. অনানুষ্ঠানিক মূল্যায়ন (Informal Assessment) ও আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন (Formal Assessment):

শ্রেণীকক্ষের প্রতিদিনের শিখন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত না করে যে মূল্যায়ন করা হয়, তাই অনানুষ্ঠানিক মূল্যায়ন । যেমন: শিক্ষার্থীর উত্তর ও উপস্থাপন শুনে, শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে, বাড়ির কাজ বা নির্ধারিত কাজ যাচাই করে তাকে মূল্যায়ন করা।

পক্ষান্তরে, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে শ্রেণীকক্ষের শিখন কাজ বন্ধ রেখে নির্দিষ্ট সময়ে ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় যে মূল্যায়ন করা হয়, তাই আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন । যেমন: ষান্মাসিক পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা ইত্যাদি।

২. গাঠনিক (Formative) ও সামষ্টিক মূল্যায়ন (Summative):

শিখন শেখানো কাজ চলাকালীন যে মূল্যায়ন করা হয়, তাকে গাঠনিক মূল্যায়ন বলে। যেমন: শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা (পড়া, লেখা, বলা, অভিনয়, আবৃত্তি, আঁকা ইত্যাদি) পর্যবেক্ষণ করে, মৌখিক প্রশ্ন করে । 

অন্যদিকে একটি ইউনিটের / সাময়িকের/ বছরের কার্যক্রমের শেষে শিক্ষার্থী কী অর্জন করল তা যাছাই এর জন্য যে মূল্যায়ন করা হয়, তাকে সামষ্টিক মূল্যায়ন বলে। যেমন: সাপ্তহিক পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা ইত্যাদি ।

৩.  ধারাবাহিক মূল্যায়ন (Continuous Assessment) ও প্রান্তিক মূল্যায়ন (Terminal Assessment):

শিখন শেখানো কার্যাবলিতে অবিরতভাবে যে মূল্যায়ন করা হয়, তাকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বলে। অন্যদিকে একটি কোর্সের শেষে শিক্ষার্থী কী অর্জন করল তা যাছাই এর জন্য যে মূল্যায়ন করা হয়, তাকে প্রান্তিক মূল্যায়ন বলে।

৪. নির্ণায়ক মূল্যায়ন বা দুর্বলতা সনাক্তকরণ মূল্যায়ন (Diagnostic Assessment):

যে মূল্যায়ন বিশেষ ক্ষেত্রে কোন শিক্ষার্থীর শিখন সমস্যা, ভুল ধারণা সনাক্ত করতে তৈরি করা হয়, তাকে নির্ণায়ক মূল্যায়ন বলে। যেমন: সব বর্ণমালা না চেনা এবং কম শব্দ ভাণ্ডারের কারণে স্বাভাবিক গতিতে লেখায় অসুবিধা হয়। নির্ধারিত শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে এ মূল্যায়ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

গাঠনিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের কৌশল:

গাঠনিক মূল্যায়নের কৌশল:

এ প্রক্রিয়ার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে ফলাবর্তন (feedback) করা। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ই ফলাবর্তন লাভ করে এবং তা ব্যবহার করে তাদের শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। গাঠনিক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীর শিখনে সহায়তা করে বলে আন্তর্জাতিক অনেক শিক্ষাবিদ বা বিশেষজ্ঞ এর নাম দিয়েছেন ‘শিখনের জন্য মূল্যায়ন’ (Assessment for Learning)। সুতরাং গাঠনিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় তা হলো-

(ক) শিক্ষার্থীদের সমস্যা সনাক্ত করা;

(খ) সমস্যা কখন/কোন সময়ে দেখা দিয়েছে;

(ঘ) সমস্যার কারণ সনাক্ত করা এবং

(ঙ) সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় ইত্যাদি।

সুতরাং বহুমুখী কৌশল, পদ্ধতি ও কার্যাবলীর সমন্বয়ে গাঠনিক মূল্যায়ন সংঘটিত হয়। এ কার্যাবলির মধ্যে থাকতে পারে- কুইজ, বিষয়ভিত্তিক মৌখিক ও লিখিত প্রশ্ন, দলীয় কাজ ও উপস্থাপন, জোড়া কাজ, বা ব্যাক্তিগত পঠন, এসাইনমেন্ট ইত্যাদি।

গাঠনিক মূল্যায়নের জন্য  একজন শিক্ষার্থীকে একাকী অথবা দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে, প্রশ্ন করে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখতে দিয়ে অথবা বলতে দিয়ে তার  অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এজন্য শিক্ষক কী টুলস বা প্রক্রিয়া ব্যবহার করবেন অর্থাৎ কী প্রশ্ন করবেন, কী বলতে দেবেন, কী লিখতে দেবেন অথবা কী কাজ করতে দেবেন সে সম্পর্কে একটি লিখিত পরিকল্পনা তৈরি করে নিতে পারেন। প্রশ্ন করলে তা হতে হবে বুদ্ধিদীপ্ত এবং চিন্তা উদ্রেককারী। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করতে হবে। প্রশ্নোত্তর ছাড়াও মিলকরণ, শূন্যস্থান পূরণ, চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি ব্যবহার করেও শিক্ষার্থীর অবস্থান জানা যেতে পারে।

সামষ্টিক মূল্যায়ন:

যখন একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিক্ষার্থী কী জানে বা জানেনা তা নিরূপণ করার জন্য যে মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে সামষ্টিক মূল্যায়ন বলা হয়। যেমন, বাংলাদেশের বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় সাময়িক (তিন/চার মাস পর পর) এবং বছরের শেষে যে মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণভাবে কোন কোর্স, ইউনিট, অধ্যায়, সেমিস্টার বা টার্মের শেষে এ মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। এ থেকে শিক্ষার্থী কোন কোর্স বা পাঠের বিষয়বস্তু কতখানি আয়ত্ব করতে বা শিখতে পেরেছে তা জানা যায়।

 Gipps (1994: p.vii) এর মতে- “Summative assessment takes place at the end of a term or a course and is used to provide information about how much students have learned and how well a course has worked.”

সামষ্টিক মূল্যায়ন কৌশল:

এ মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীকে সাধারণতঃ গ্রেড বা নম্বর প্রদান করা হয় এবং শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেমন: শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ; কিংবা পাশ-ফেল হিসেবে ফলাবর্তন দেয়া হয়। শিক্ষার্থীর শিখন সমস্যা সমাধান বা উন্নয়নের সুযোগ থাকেনা। এ ধরনের মূল্যায়ন একাডেমিক বছরের নির্ধারিত কিছু সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। যেমন, ৩ মাস পর পর, বা একাডেমিক বছরের শেষে।

এ মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞান বা শিখন পরীক্ষা করা হয় যা তার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্জন করার কথা। শ্রেণীকক্ষ পর্যায়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন তথ্য কাজে লাগিয়ে শিক্ষণ বা শিখন প্রক্রিয়ায় কোন পরিবর্তন আনা যায় না। 

এ মূল্যায়ন শিক্ষার্থীর শিখন অবস্থা এবং মান সম্পর্কে শুধু তথ্য প্রদান করে বলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষাবিদগণ এর নাম দিয়েছেন ‘শিখন বা পারদর্শিতার মূল্যায়ন’ অথবা Assessment of Learning । সাধারণতঃ আনুষ্ঠানিক এবং বিশেষ পরিবেশে (যেমন, পরীক্ষার হল) এ ধরনের মূল্যায়ন সংঘটিত হয়। তাই একে আনুষ্ঠানিক মূল্যায়নও (Formal Assessment) বলা হয়।

সামষ্টিক মূল্যায়নের কার্যাবলী ও সময়:

সাধারনতঃ বিভিন্ন অভীক্ষা ও পরীক্ষার মাধ্যমে সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। মূল্যায়নের ফল স্কোর বা গ্রেডের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যেমন, ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি। অর্থাৎ, মূল্যায়নের ফল শিক্ষার্থীকে সাংখ্যিকভাবে শ্রেণীবিভক্ত (যেমন, সিরিয়াল করা; বা রোল নং প্রদান অথবা গ্রেড প্রদান) করা এবং শিক্ষার্থীদের পরস্পরের সাথে তুলনা করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

মূল্যায়নে গাঠনিক এবং সামষ্টিক মূল্যায়নের ভূমিকা:

এই দুই ধরনের মূল্যায়ন কৌশলের মধ্যে কোন একটি অপরটির চেয়ে অধিক কার্যকর নয়। শিক্ষার্থীদের শিখন সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য দুটি পদ্ধতিরই প্রয়োজন রয়েছে (Garrison & Ehringhaus, ২০০৭)। পদ্ধতি দুটিকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। যে কোন একটি ওপর অত্যধিক নির্ভরতা বাস্তব শ্রেণীকক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণার জন্ম দিবে।

আরও পোস্ট দেখুন:

নৈর্ব্যক্তিক ও কাঠামোবদ্ধ অভীক্ষা প্রনয়ন কৌশল

27Oct2021

Information and Communication Technology

তথ্য :

অর্থবহ কোন খবরই হলো তথ্য৷ সাধারণ অর্থে তথ্য হলো অর্থ বোধক বাক্য, সংকেত, সংখ্যা বা সংখ্যার সমষ্টি ৷ তথ্য হতে হলে একে অবশ্যই অর্থবহ হতে হবে৷

যোগাযোগ :

যোগাযোগ হচ্ছে তথ্য বা ভাবের আদান প্রদান করা৷ সংক্ষেপে বলতে গেলে-যোগাযোগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ কথা,আকার-ইঙ্গিত বা প্রতীকের মাধ্যমে অর্থবহ উপায়ে এবং প্রয়োজনে কার্যকরভাবে তথ্য, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, আবেগ, মত বিনিময় করে থাকে৷ 

ই.সি.আয়ার (E.C EYrc)-এর মতে ‘‘অন্যে বুঝতে পারেন এবং সে মতে কাজও করতে পারেন এরুপ  বক্তব্য বা ভাব প্রেরক হতে গ্রাহক এর নিকট পৌঁছনকে যোগাযোগ বলা হয়”৷

ICT বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি :

[…]
16Sep2021

Introduction Teaching and Learning Materials of Elementary Science

নবায়নকৃত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের আলোকে ইতোমধ্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ন পূর্বক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে৷ কিন্তু শিক্ষকগণের জন্য কোন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়নি৷ ফলে নব প্রনয়নকৃত বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু, পরিসর, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়ে কোন ধারণা পাননি৷ এমতাবস্থায়, শিক্ষকগণের পাঠ্য পুস্তক পরিচিতি অতীব জরুরী৷তাই এই অধিবেশনের আয়োজন অতীব গুরুত্বপূর্ণ ৷

প্রাথমিক বিজ্ঞান শিখন শেখানো সামগ্রী পরিচিতি

[…]
4Sep2021

The purpose of elementary science training

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। প্রযুক্তির উন্নয়নে বিজ্ঞানের অবদান সর্বাধিক। বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রাথমিক স্তরের প্রত্যেক শিক্ষকের ধারণা থাকা আবশ্যক। নিম্নে প্রাথমিক বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো:

[…]
1Jan2019

Training House Rules

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণারী উভয়ের কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। একটি পোস্টার পেপারে নিয়মাবলীসমূহ টানিয়ে রাখা উচিত। প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুসরণীয় নিয়মাবলীগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

[…]

Ad

error: Content is protected !!