বিটিপিটি

রূপকল্প ও অভিলক্ষ্যের গুরুত্ব

রূপকল্প ও অভিলক্ষ্যের গুরুত্ব

Importance of Vision and Mission
রূপকল্পের গুরুত্ব

জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর) এ শিক্ষাক্রমের যে রূপকল্পটি উল্লেখ করা হয়েছে তার মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিখনের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উঠে এসেছে। যেমন-

  • রূপকল্পটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরনের পাশাপাশি তাদের জীবনাচারনের মধ্যে যেন তা ফুটে উঠে সে বিষয়টি দেশপ্রেম ও উৎপাদনশীলতার মাধ্যমে স্পষ্ট করে তোলা হয়েছে।
  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ব্যাপারে সচেতন থাকেন। ব্যক্তির মধ্যে দেশপ্রেম যদি শক্তিশালী হয় তাহলে তার দ্বারা জাতি-রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বরং দেশের যেকোন সংকটে তারা তাদের সর্বো‪চ্চ সামর্থ দিয়ে দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসে।
  • ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যদি উৎপাদনশীল করে তোলা যায় তাহলে রাষ্ট্রের অর্থনীতির ভীত মজবুত হয়ে উঠে।
  • বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। যার ফলে গড়ে উঠবে অর্থনীতিতে স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
  • একবিংশ শতাব্দি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বাস্তবতায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সমন্বয় করে বিশ্বের যেকোন স্থানে বা পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে তথা অভিযোজনে সক্ষম হয়ে উঠে সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে।
অভিলক্ষ্যের গুরুত্ব

শিক্ষাক্রমে উল্লেখিত রূপকল্পটির সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক স্তরের জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ এ উল্লেখিত অভিলক্ষ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা-

  • প্রতিটি শিক্ষার্থী সম্ভামনাময় এবং সঠিক পরিচর্যা এবং সহযোগীতার মাধ্যমে (বিদ্যালয়ের ভিতরে ও বাইরে থেকে) তাকে যোগ্য, উৎপাদনশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
  • সমসাময়িক ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় নমনীয় শিক্ষাক্রমের প্রবর্তন এবং প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
  • শিক্ষণ-শিখনে আধুনিক ও আকর্ষণীয় পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখন আচরণকে যথার্থ ও স্থায়ী করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এরই জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে।
  • শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদাতা ও দায়িত্ববাহককে পারস্পরিক সহযোগীতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে সকলের জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে।
  • শিক্ষাক্রমে উল্লেখিত অভিলক্ষ্যগুলো অর্জনের মাধ্যমে রূপকল্প সহজেই নিশ্চিত করা যাবে।

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।