সমাজসদস্যদের সাথে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্ক সৃষ্টির কৌশল
Strategies for building good school relations with community members
সমাজসদস্যদের সাথে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্ক সৃষ্টির কৌশল
বিদ্যালয় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান৷ এখানে সেতু বন্ধনে আছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক৷ যেখানে শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রাণ; সেখানে শিক্ষক ও অভিভাবক হচ্ছেন বিদ্যালয়ের দেহ স্বরূপ৷ একক প্রচেষ্টায় কখনো কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সাধন সম্ভব নয়৷ প্রত্যেক বিদ্যালয়ের একটি নির্ধারিত এলাকা (Catchment area) আছে৷ বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য ঐ এলাকার জনগোষ্ঠির বিদ্যালয়ের সাথে সুসম্পর্ক একান্ত প্রয়োজন৷ বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সংগে এলাকার অভিভাবক শ্রেণি ও বিদ্যোত্সাহী ব্যক্তিবর্গের সুসম্পর্ক অপরিহার্য৷ যে প্রতিষ্ঠানের সংগে সমাজের সদস্যদের যত ভাল সম্পর্ক, সে প্রতিষ্ঠান তত লেখাপড়ায় উন্নত৷ সমাজে বসবাসকারিগণই মূলত বিদ্যালয় উন্নয়নে এগিয়েআসেন ৷ ব্যক্তিগত নয়, সমষ্টিগত প্রচেষ্টাই কোন বিদ্যালয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত ৷ কাজেই বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য সমাজসদস্যদের সাথে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্কের কোন বিকল্প নেই ৷এইঅধিবেশনে সমাজসদস্যদের সাথে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্ক কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সেই কৌশলসমূহ আলোচনা করা হবে৷
সমাজ সদস্যদের সাথে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যম :
- শ্রেণিওয়ারি মা সমাবেশ;
- এস এম সি;
- অভিভাবক দিবস;
- উঠান বৈঠক;
- শিশু র্যালি;
- গণ্যমান্যব্যক্তিদের নিয়ে সভা;
- শিক্ষোপকরণ প্রদর্শন;
- গৃহ পরিদর্শন;
- সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান;
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পুরস্কার;
- দরিদ্র, অসহায় শিশুদের জন্য পুরস্কার;
- একীভথত শিক্ষা সম্পর্কে অবহিতকরণ;
- বিদ্যালয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন;
- শিক্ষা সপ্তাহ/ক্রীড়াসপ্তাহ;
- প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় যুবক;
- বিদ্যালয় সম্পর্কে মালিকানাবোধ;
- পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ;
- বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি।
সমাজসদস্যদের সাথে বিদ্যালয়ের সুসম্পর্ক সৃষ্টির কৌশল:
- শ্রেণিওয়ারি মা সমাবেশের ব্যবস্থা করা;
- এস এম সি সদস্যদের সাথে নিয়মিত সভা করা;
- নির্ধারিত দিনে অভিভাবক দিবস পালন করা;
- নিয়মিত ভাবে উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করা;
- নির্ধারিত দিনে শিশুর্যালির ব্যবস্থা করা;
- মাঝে মাঝে গণ্যমান্যব্যক্তিদের নিয়ে সভা করা;
- শিক্ষার্থী কর্ত্তৃক তৈরিকৃত শিক্ষোপকরণ প্রদর্শনীতে অভিভাবকদের আমন্ত্রণ করা;
- রুটিন অনুযায়ী গৃহ পরিদর্শন করা;
- সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এলাকার ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ করা;
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা;
- দরিদ্র, অসহায় শিশুদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা;
- এলাকার জনগণকে একীভূত শিক্ষা সম্পর্কে অবহিত করা;
- বিদ্যালয়ের পরিকল্পনা প্রণয়নে এলাকার জনগণকে সম্পৃক্ত করা;
- শিক্ষা সপ্তাহে ও ক্রীড়াসপ্তাহে স্থানীয় জনগণকে আমন্ত্রণ করা;
- প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় যুবকদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা;
- বিদ্যালয়টি সম্পর্কে এলাকাবাসীর মনে মালিকানাবোধ সৃষ্টি করা;
- পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো;
- এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠা/ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির হাত দিয়ে পুরস্কার প্রদান।
মতামত দিন