শিশুতোষ ছড়া : প্রাক-প্রাথমিকের ২৬টি ছড়া

শিশুতোষ ছড়া : প্রাক-প্রাথমিকের ২৬টি ছড়া

Kids Rhyme : Pre-Primary 26 Rhymes

ছড়া-১

বাক বাকুম পায়রা

মাথায় দিয়ে টায়রা

বৌ সাজবে কালকি

চড়বে সোনার পালকি।

ছড়া-২

আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা ।

চাঁদের কপালে চাঁদ

টিপ দিয়ে যা ।

ধান ভানলে কুঁড়ো দেব,

মাছ কাটলে মুড়ো দেব,

কালো গাইয়ের দুধ দেব,

দুধ খাবার বাটি দেব

চাঁদের কপালে চাঁদ

টিপ দিয়ে যা।

ছড়া-৩

হাট্টিমা টিম্‌ টিম্‌

তারা মাঠে পাড়ে ডিম

তাদের খাড়া দুটো শিয়

তারা হাট্টিমা টিম্‌ টিম্‌ ।

ছড়া-৪

খোকন খোকন ডাক পাড়ি

খোকন মোদের কার বাড়ি?

আয়রে খোকন ঘরে আয়,

দুধ মাখা ভাত কাকে খায় ।

ছড়া-৫

আম পাতা জোড়া জোড়া

মারব চাবুক চড়ব ঘোড়া

ওর বুবু সরে দাঁড়া

আসছে আমার পাগলা ঘোড়া ।

পাগলা ঘোড়া ক্ষেপেছে

চাবুক ছুঁড়ে মেরেছে ।

ছড়া-৬

নোটন নোটন পায়রা গুলো

ঝোটন বেঁধেছে,

ওপাড়েতে ছেলেমেয়ে

নাইতে নেমেছ

দুই ধারে দুউ রুই কাতলা

ভেসে উঠেছে!

কে দেখেছে? কে দেখেছে?

দাদা দেখেছে ।

দাদার হাতে কলম ছিল

ছুঁড়ে মেরেছে,

উহঃ বড্ড লেগেছে ।

ছড়া-৭

সিংহমামা সিংহমামা

করছ তুমি কি

এই দেখনা কেমন তোমার

ছবি এঁকেছি ।

ছড়া-৮

এক দুই তিন

মায়ের সাথে ইঁদুর ছানা নাচছে তা ধিন ধিন

চার পাঁচ ছয়

বিড়াল এলো, ছুটল সবাই পেয়ে ভীষণ ভয় ।

সাত আট নয়

একটি ছানা আটকে গেছে কি হয়! কি হয়!

আট নয় দশ

ইঁদুর ছানা পালিয়ে গেছে

বিড়ালের আফসোস্‌!

ছড়া-৯

ঐ দেখা যায় তাল গাছ

ঐ আমাদের গাঁ,

ঐ খানেতে বাস করে

কানা বগীর ছা।

ও বগী তুই খাস্ কি?

পান্তা ভাত চাস্ কি?

পান্তা আমি খাই না

পুঁটি মাছ পাই না,

একটা যদি পাই

অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই।

ছড়া-১০

আতা গাছে তোতা পাখি

ডালিম গাছে মৌ

এত ডাকি তবু কেন

কওনা কথা বউ।

ছড়া-১১

খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো

বর্গী এলো দেশে,

বূলবুলিতে ধান খেয়েছে

খাজনা দেব কিসে?

ধান ফুরালো পান ফুরালো

খাজনার উপায় কি?

আর কটা দিন সবুর করো

রসুন বুনেছি।

ছড়া-১২

খোকন খোকন ময়না

পরিয়ে দিব গয়না

খোকন যাবে শ্বশুর বাড়ি

আর যে দেরি সয়না।

ছড়া-১৩

খোকা যাবে মাছ ধরতে

ক্ষীর নদীর কূলে,

ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে

মাছ নিয়ে গেল চিলে।

ছড়া-১৪

নায়ে ভরা দিয়ে,

না নিয়ে গেল বোয়াল মাছে

তাইনা দেখে ভোঁদর নাচে।

ওরে ভোঁদর ফিরে চা

খোকার নাচন দেখে যা।

ছড়া-১৫

গোল করোনা গোল করোনা

ছোটন ঘুমায় খাটে,

এই ঘুমকে কিনতে হলো

নওয়াব বাড়ীর হাটে।

সোনা নয় রূপা নয়

দিলাম মোতির মালা,

তাইতো ছোটন ঘুমিয়ে আছে

ঘর করে উজালা।

ছড়া-১৬

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি

সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি

আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে

আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে

ছড়া-১৮

ভোর হোলো দোর খোলো

খুকুমনি উঠ রে ,

ঐ ডাকে জুঁই শাখে

ফুল খুকি ছোটরে।

খুলি হাল তুলি পাল

ঐ তরী চলল,

এইবার এইবার

খুকু চোখ খুলল।

আলসে নয় সে

উঠে রোজ সকালে,

রোজ তাই চাঁদা ভাই

টিপ দেয় কপালে।

ছড়া-১৯

ওয়ান গেল মাছ ধরতে

টু গেল তার সাথে,

থ্রি বসে নৌকা চালায়

বৈঠা নিয়ে হাতে।

ফোর পড়ল গাছ থেকে

ফাইভ বসে কাঁদে,

সিক্স বসে রকেট চালায়

পূর্নিমারই চাঁদে।

সেভেন জলে সাঁতার কাটে

এইট কাটে ধান,

নাইন বসে তবলা বাজায়

টেন ধরেছে গান।

ছড়া-২১

পিঁপড়া পিঁপড়া কয়টা ডিম?

একটা, দুইটা, তিনটা ডিম।

পিঁপড়া পিঁপড়া কয়টা ছাও?

চারটা, পাঁচটা, ছয়টা ছাও,

পিঁপড়া পিঁপড়া কয়টা নাও?

সাতটা,আটটা, নয়টা নাও,

পিঁপড়া পিঁপড়া কয়টা লাউ?

এক, শূন্য, দশটা লাউ।

ছড়া-২২

জাম, জামরুল, কদবেল

আতা, কাঠাল, নারকেল

তাল, তরমুজ, আমড়া

কামরাঙা, বেল, পেয়ারা

পেপে, ডালিম, জলপাই

বড়ই দিলাম আর কি চাই।

ছড়া-২৩

নখ কাঁটি চুল ছাটি

থাকব মোরা পরিপাটি

ভালো করে দাঁত মাজি

জামা কাপড় পরে সাজি

হাত ধুয়ে খাবার খাই

জুতা পরে স্কুলে যাই।

ছড়া-২৪

লাল শাক কচুশাক

ফুল কপি খাই,

লাউ আর সিম খেয়ে

বড় মজা পাই।

মিষ্টি কুমড়া খাই

আরো খাই শসা,

টুকটুকে লাল গাজর

খেতে ভারী মজা।

করলা তেঁতো লাগে

তবু খেতে হয়,

টমেটোর কতগুণ

জানো নিশ্চয়!

ছড়া-২৫

কমলাফুলি কমলাফুলি

কমলা লেবুর ফুল,

কমলাফুলির বিয়ে হবে

কানে মতির দুল।

কমলা ফুলির বিয়ে,

দেখতে যাবে ফলার খাবে

চন্দনা আর টিয়ে।

ছড়া-২৬

চড়ুই ডাকে কিচির মিচির

হলদে পাখির বিয়ে

শেয়াল মামা বর সেজেছে

টোপর মাথায় দিয়ে।

ময়না বলে গয়না কই?

শালিক বলে আয়না কই?

পেঁচা বলে থামরে এবার

গান শোনাবে টিয়ে।

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।