শিক্ষকমান কী? শিক্ষকমান অর্জনের উপায়

শিক্ষকমান ও পারদর্শিতার সূচক

শিক্ষকমান কী?

শিক্ষকমান হলো শিক্ষকের পেশাগত পারদর্শিতা মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কিছু আদর্শের (Standard) সমন্বয়। যার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে শিক্ষকের পারদর্শিতার অবস্থা/মাত্রা যাচাই করা হয়। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য শিখনের ৩টি ক্ষেত্রের (পেশাগত জ্ঞান এবং উপলব্ধি, পেশাগত অনুশীলন ও পেশাগত মূল্যবোধ এবং সম্পর্ক স্থাপন) আলোকে মোট ০৯টি শিক্ষকমান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষকমানের জন্য নির্দেশক ও পরিমাপের জন্য পারদর্শিতার সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।

সহকারী শিক্ষকদের জন্য ০৯টি শিক্ষকমান

১.         শিক্ষার্থী ও তাদের শিখন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা;

২.         শিক্ষার্থীর প্রতি গভীর আস্থা ও উচ্চাশা পোষণ এবং তাদের উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করা;

৩.         বিষয়বস্তু এবং শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে জানা;

৪.         কার্যকর শিখন-শেখানো কার্যক্রম বাস্তবায়ন;

৫.         সহায়ক এবং নিরাপদ শিখন পরিবেশ তৈরি ও বজায় রাখা;

৬.         শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়ন, ফলাবর্তন এবং প্রতিবেদন প্রণয়ন;

৭.         পেশাগত উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখা;

৮.         সকল অংশীজনের সাথে পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখা;

৯.         শুদ্ধাচার ও পেশাগত অঙ্গীকার।

প্রধান শিক্ষকের জন্য শিক্ষকমান

১.         শিক্ষার্থী ও তাদের শিখন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা;

২.         শিক্ষার্থীর প্রতি গভীর আস্থা ও উচ্চাশা পোষণ এবং তাদের উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করা;

৩.         বিষয়বস্তু এবং শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে জানা;

৪.         কার্যকর শিখন-শেখানো কার্যক্রম বাস্তবায়ন;

৫.         সহায়ক এবং নিরাপদ শিখন পরিবেশ তৈরি ও বজায় রাখা;

৬.         শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়ন, ফলাবর্তন এবং প্রতিবেদন প্রণয়ন

৭.         পেশাগত উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখা;

৮.         সকল অংশীজনের সাথে পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখা;

৯.         শুদ্ধাচার ও পেশাগত অঙ্গীকার;

১০.       একাডেমিক তত্ত্বাবধান, মেন্টরিং ও মনিটরিং;

১১.       বিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ, দাপ্তরিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা;

১২.       মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্ব।

 শিক্ষকমান অর্জনের উপায়

  • Ø  আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে নিজের শিক্ষকমানের কোন ঘাটতি রয়েছে কিনা তা যাচাই করে উন্নয়নের পন্থা নির্ধারণ;
  • Ø  ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা;
  • Ø  সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষকমানের কোন ঘাটতি রয়েছে কিনা তা যাচাই করা;
  • Ø  ঘাটতি পূরণের জন্য দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে কর্মপরিকল্পনা করা;
  • Ø  শিক্ষকমান অর্জনে লক্ষ্য নির্ধারণ করা;
  • Ø  কিছুদিন পরপর অগ্রগতি মূল্যায়ন করা;
  • Ø  যেসব ক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণ হয়নি তা সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করে ঘাটতির কারণ চিহ্নিত করা;
  • Ø  চিহ্নিত কারণের আলোকে পুনরায় কর্মপরিকল্পনা করা। 

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।