বিটিপিটি

শিক্ষাক্রম ২০২১ মূলনীতি ও মূল যোগ্যতা

মূলনীতি বলতে কী বোঝায়? 

মূলনীতি শব্দটির সমার্থক শব্দ হলো প্রধান নীতি, যার উপর ভিত্তি করে কাজ করা হয়। মূলনীতি বলতে অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচীকে বোঝায় যার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনার দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা থাকে।

যেমন- শিক্ষাক্রম তৈরির মুলনীতি তৈরির সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর)-এর মূলনীতি কী কী?
প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২১ এর মূলনীতি

শিক্ষাক্রমের মূলনীতি শিক্ষাক্রম রূপরেখার রূপকল্প, অভিলক্ষ্যসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন ও অনুসরণের মাধ্যমে সঠিকভাবে অর্জন নিশ্চিত করতে দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কিছু মূলনীতি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে যা এই শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে, সেগুলো হলো:

  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ ,
  • যোগ্যতাভিত্তিক,
  • প্রাসঙ্গিক ও নমনীয়,
  • একীভূত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক,
  •  বৈষম্যহীন,
  •  বহুমাত্রিক,
  •  সক্রিয় ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন,
  • জীবন ও জীবিকা-সংশ্লিষ্ট,
  • অংশগ্রহণমূলক,
  • শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ও আনন্দময়।


প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ২০২১ এর মূল যোগ্যতা

দশটি মূল যোগ্যতা

১. অন্যের মতামত ও অবস্থানকে সম্মান ও অনুধাবন করে, প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজের মতামত যথাযথ মাধ্যমে সৃজনশীলভাবে প্রকাশ করতে পারা।

২. যেকোনো ইস্যুতে সূক্ষ্ম চিন্তার মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়সমূহ বিবেচনা করে সকলের জন্য যৌক্তিক ও সর্বোচ্চ কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে পারা।

৩. ভিন্নতা ও বৈচিত্রকে সম্মান করে নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক হয়ে নিজ দেশের প্রতি ভালোবাসা ও বিশবস্ততা প্রদর্শনপূর্বক বিশব নাগরিকের যোগ্যতা অর্জন করা।

 ৪. সমস্যার প্রক্ষেপণ, দ্রুত অনুধাবন, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ এবং ভবিষ্যত্ তাত্পর্য বিবেচনা করে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে যৌক্তিক ও সর্বোচ্চ কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে ও সমাধান করতে পারা।

৫. পারস্পারিক সহযোগিতা, সম্মান ও সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারা।

৬. নতুন দৃষ্টিকোন, ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগের মাধ্যমে নতুনপথ, কৌশল ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করে শৈল্পিকভাবে তা উপস্থাপন এবং জাতীয় ও বিশবকল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারা।

৭. নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়ে নিজ অবস্থান ও ভূমিকা জেনে ঝুঁকিহীন নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং বৈশিবক সম্পর্ক ও যোগাযোগ তৈরি করতে ও বজায় রাখতে পারা।

৮. প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে ঝুঁকি ও দূর্যোগ মোকাবেলা এবং মানবিক মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে নিরাপদ ও সুরক্ষিত জীবন ও জীবিকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারা।

 ৯. পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে দৈনন্দিন উদ্ভূত সমস্যা গাণিতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে সমাধান করতে পারা।

১০. ধর্মীয় অনুশাসন, সততা ও নৈতিক গুণাবলি অর্জন এবং শুদ্ধাচার অনুশীলনের মাধ্যমে প্রকৃতি ও মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারা।

এ ধরনের আরও পোস্ট দেখুন:

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।