বিটিপিটি

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন (Experiential learning)

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন কী?

শিক্ষার্থীর চাহিদা, রুচি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সংগঠিত বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পরিচালিত শিখনকে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন বলা যেতে পারে । এর মূল কথা হল, শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ কাজের মাধ্যমে পরিবেশন করা। শিক্ষার্থীরা সেই কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের সাথে সাথেই শিখবে।

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মূল দিক হলো শিক্ষার্থীর দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে শিখনের বিষয়গুলোর সমন্বয় ঘটানো হয় যাতে শিখন সহজ, আনন্দময় ও অর্থবহ হয় এবং তারা বাস্তব জীবনের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ ঘটাতে পারে। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন কার্যক্রমকে এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ, সুষ্ঠুভাবে পরিবেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং সূক্ষ্ণচিন্তনের প্রতিফলনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে পারে।

অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের ধাপ

মোট চারটি ধাপে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন কার্যক্রম অনুশীলন করা হয়:

১. বাস্তব অভিজ্ঞতা (Concrete Experience): শিক্ষার্থী পাঠের বিষয়ের সম্পর্কিত তার নিজস্ব ধারণা, মতামত ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

২. প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণ (Reflective Observation): পর্যবেক্ষণ, আলোচনা ও অনুশীলনের মাধ্যমে অন্যের সঙ্গে নিজের ধারণা, মতামত ও অভিজ্ঞতা যাচাই করবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে চিন্তা করবে।

৩. বিমূর্ত ধারণায়ন (Abstract Conceptualization): পাঠের বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থী নিজস্ব ধারণায় উপনীত হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানবে।

৪. সক্রিয় পরীক্ষণ (Active Experimentation): অর্জিত ধারণা কোনো নতুন বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাতে-কলমে অনুশীলন করবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা নিজে প্রয়োগ করবে।

ভিডিও লিংক: অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন


মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।