আমার সোনার বাংলা গানের পটভূমি, লিরিক্স ও ভিডিও
আমার সোনার বাংলা গানের পটভূমি, লিরিক্স ও ভিডিও
আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা ও সুরকার কে? জাতীয় সংগীত কত লাইন গাইতে হয়?
আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা ও সুরকার হলেন বিশ্বকবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জাতীয় সংগীত কত লাইন গাইতে হয়?
১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এ গানটির প্রথম দশ লাইন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
জাতীয় সংগীতের পটভুমি
কুষ্টিয়া জেলার শিলাইদহ এলাকার ডাকঘরের গগন হরকরা বাউল গানের সুরে ‘আমি কোথায় পাব তারে/আমার মনের মানুষ যে রে’ গানটি গেয়ে চিঠি বিলি করতেন। রবীন্দ্রনাথ এই বাউল গানের সুরে এতটাই মুগ্ধ হলেন যে, তিনি এই সুরকে গ্রহণ করে এই দেশাত্মবোধক ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি রচনা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পূর্বকালে অর্থাৎ তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি সকল মহলেই সমাদৃত হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশপ্রেম ও গণজাগরণমূলক সভা-সমাবেশ ও মিছিলে বাঙালি কন্ঠে তুলে নিয়েছিল এই গান।
রবীন্দ্রনাথের এই গানটিতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনার পাশাপাশি রয়েছে সেই অপূর্ব রূপময়তায় বাঙালির মুগ্ধতা ও দেশপ্রেমের এক আবেগঘন প্রকাশ। ১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধে গানটির দ্বারা মুক্তিযোদ্ধারা চেতনার ভাষা খুঁজে পেয়েছিল, পেয়েছিল স্বদেশ-মুক্তির প্রেরণা। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাই এই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে মর্যাদা দান করে।
জাতীয় সংগীতের লিরিক্স
কথা ও সুর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুর : গগন হরকরার গান অবলম্বনে
তাল : দাদরা
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ওমা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায়রে
ওমা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কী দেখেছি
আমি কি দেখেছি মধুর হাসি ।।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর ক‚লে ক‚লে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায়রে-
মা, তোর বদন খানি মলিন হলে,
ওমা, আমি নয়ন জলে ভাসি।।
মতামত দিন