Music Training Program Schedule (6 day)
সংগীত বিষয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী তথা রুটিন (Training Schedule) দেখে আপনি এই প্রশিক্ষণটিতে কী কী বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা আছে সহজেই জানতে পারবেন। নিম্নে সংগীত বিষয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী দেওয়া হলো:
[…]সংগীত বিষয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী তথা রুটিন (Training Schedule) দেখে আপনি এই প্রশিক্ষণটিতে কী কী বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা আছে সহজেই জানতে পারবেন। নিম্নে সংগীত বিষয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী দেওয়া হলো:
[…]এটি একটি প্রসিদ্ধ লোকসংগীত৷ গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদে খরা হ’লে বৃষ্টির জন্য আমাদের গ্রামীন সমাজে যে হাহাকার তার ছবি এই গানটিতে ধরা পড়েছে৷ পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ কাব্যে বৃষ্টির জন্য মাগন গানের যে বর্ণনা আছে তার সঙ্গে এই গানের মিল রয়েছে৷ আমাদের দেশে চাষবাসের অসুবিধা আর গরমের কষ্টের একটি বাস্তব ছবি ফুটে উঠেছে গানটিতে৷ ‘আল্লাহ্ মেঘ দে’ কথাটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা সুরে বলতে চাওয়ার আকুলতাটুকু চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে লোকসুরের এই গানে৷
+ | ০ | ||||||||
ধা | গে | তে | টে | না | গে | ধি | না | ৷ | |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৷ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৷ |
আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে গানটির ভিডিও দেখে অনুশীলন করুন।
ভিডিও লিংক: গান আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে
ভজনাঙ্গের এই গানটিতে স্রষ্টার বিভিন্ন সৃষ্টিকে বন্দনার মধ্যমে হিংসা-বিদ্বেষহীন একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে৷ বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকল সৃষ্টি একমাত্র স্রষ্টারই অবদান৷ সৃষ্টার সকল সৃষ্টিই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে পৃথিবীর কল্যাণ সাধনে রত৷ স্রষ্টার আশির্বাদ হিসেবে মানবতার কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন তা এই পৃথিবীতে করা হয়েছে সহজলভ্য৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রার্থনা সংগীতটিতে সৃষ্টিকর্তার এই অসীম কর“ণার দানকে সমবন্টনের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস পেয়েছেন৷
+ | ৩ | ০ | ১ | ||||||||||||
ধিন | ধিন | ধা | ধাগে | থুন | না | কৎ | তে | ধাগে | তেরকেটে | ধিন | ধা | ||||
১ | ২ | ৩ | ৷ | ৪ | ৫ | ৬ | ৷ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ৷ |
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে গানটির ভিডিও দেখে অনুশীলন করুন।
ভিডিও লিংক: গান আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে
কন্ঠে সুর না লাগলে গান গাওয়া যায় না। গান গাইবার জন্য সর্বপ্রথমে প্রয়োজন স্বরলিপির সুরগুলি কন্ঠে ধারণ ও তার নিয়মিত অনুশীলন। একজন শিল্পী প্রতিদিন নিয়ম করে স্বর সাধনা করবেন। স্বার্থক শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চাইলে অথবা মনের আনন্দেও যদি কেই গান করতে চান তার জন্যও দরকার একটি সুরেলা কন্ঠ। সরগম অনুশীলন একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া।
গান বা আলাপের সময় কিছু অংশ সা, রে, গা, মা ইত্যাদি স্বরোল্লেখের মাধ্যমে রাগ প্রকাশার্থে বা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গীত হয় ইহাকে সরগম বলে।
সংগীতের মোট ১২টি স্বরের মধ্যে ৭টি শুদ্ধ স্বর ও ৫টি বিকৃত স্বর। সা ও পা ছাড়া বাকি ৫টি স্বর বিকৃত। ৭টি শুদ্ধ স্বরের সংক্ষিপ্ত নাম সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি। সা থেকে নি পর্যন্ত এই ৭টি শুদ্ধ স্বরকে এক কথায় সপ্তক বলে। সপ্তক সাধারণত ৩ প্রকার। যেমন- উদারা, মুদারা ও তারা।
৫টি বিকৃত স্বর হলো- রে=ঋ, গা=জ্ঞা, মা=ক্ষা, ধা=দা, নি= ণা। ৫টি বিকৃত স্বরের মধ্যে ৪টি স্বরকে (ঋ, জ্ঞা, দা, ণা) কোমল স্বর বলা হয় এবং বাকি ১টি স্বর “মা”কে (ঋা) কড়ি বা তীব্র মধ্যম বলা হয়।
স্বরের ক্রমান্বয়ে উর্দ্ধ গতির নাম ‘আরোহণ’। যেমন- সা রে গা মা পা ধা নি র্সা।
নিম্নগতির নাম ‘অবরোহন’। যেমন- র্সা নি ধা পা মা গা রে সা
আরোহন- সা রে গা মা পা ধা নি র্সা।
অবরোহন- র্সা নি ধা পা মা গা রে সা।
১। ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮
সা রে গা মা পা ধা নি র্সা
র্সা নি ধা পা মা গা রে সা
২। ১ ২ ৩ ৪
সরা গমা পধা নর্সা
র্সনা ধপা মগা রসা
*এক মাত্রায় একটি স্বর উত্তমরূপে চর্চার পরে একটি মাত্রায় দুইটি করে স্বর শেখাবেন। যেমন-
৩। ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮
“সসসা রররা গগগা মমমা পপপা ধধধা নননা র্সর্সর্সা
র্সর্সর্সা নননা ধধধা পপপা মমমা গগগা রররা সসসা”
*একটি মাত্রায় একটি স্বর তিনবার করে দাদ্রা তালের ছন্দে গেয়ে শোনাবেন ও শেখাবেন।
৪। ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮
“সসসসা ররররা গগগগা মমমমা পপপপা ধধধধা ননননা র্সর্সর্সর্সা
র্সর্সর্সর্সা ননননা ধধধধা পপপপা মমমমা গগগগা ররররা সসসসা”
*৩নং সারগাম এর নিয়মানুযায়ী কাহাররা তালের ছন্দ শেখাবেন।
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে উপরোক্ত সরগম গুলো অনুশীলণ করতে হবে।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি জনপ্রিয় ইসলামী গান “এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল”৷ এটি আল্লাহর গুনবাচক গান বা হাম্দ৷ তিনি মানুষকে বহু মূল্যবান সম্পদ দান করেছেন, যা মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ এবং মহিমান্বিত করেছে৷ আমরা আল্লাহকে মানি বা না মানি, তিনি তার দয়াপ্রবাহ বন্ধ করেন না৷ তার অসীম দয়া-দাক্ষিন্য ভালবাসার ভক্তিপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে এই গানে৷
এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল গানটির ভিডিও দেখে অনুশীলন করুন।
ভিডিও লিংক: গান এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অন্যতম দেশাত্মবোধ ভিত্তিক উদ্দীপনামূলক গান চল্ চল্ চল্৷ এই গানটি বাংলাদেশের রণ সংগীত সৈনিকদের তালে তালে পা ফেলে মার্চ করার সময় উদ্দীপনা সৃষ্টিমূলক বানী রয়েছে এই গানে৷ তরুণ প্রজন্ম যে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে মৃত্যুর দুয়ারে জীবনের আলো জ্বালাতে পারে তারই উচ্ছসিত প্রকাশ এই গানটিকে সমৃদ্ধ করেছে৷ ১৯২৮ সালে ঢাকা সফরকালে কবি গানটি রচনা করেন৷ ঐ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক অধিবেশনে সমবেত কন্ঠের এই গানটি উদ্বোধনী সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়৷
+ | ০ | ||||||
ধা | ধি | না | ৷ | না | তি | না | ৷ |
১ | ২ | ৩ | ৷ | ৪ | ৫ | ৬ | ৷ |
রণ সংগীত: ‘গান চল্ চল্ চল্’ গানটির ভিডিও দেখে অনুশীলন করুন।
ভিডিও লিংক: গান চল্ চল্ চল্
আকর্ষণীয় এবং শ্রুতিমধুর করে গান গাইবার জন্য গানের প্রকৃতি বা ধরণ জানা খুবই প্রয়োজন৷ রচয়িতা কোন পরিবেশ বা ভাবকে ভিত্তি করে গানটি রচনা করেছেন সেটা উপলব্ধি করতে পারলে যথাযথ ভাব এবং অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলে গানটি গাওয়া যায়৷ তাই যে কোনো গান শেখা বা গাইবার পূর্বে তার প্রকৃতি/ধরণ বুঝে নেওয়া অপরিহার্য৷ এছাড়া কিছু বাদ্যযন্ত্রের পরিচিতি এবং ব্যবহার সম্পর্কেও প্রশিক্ষণার্থীদের জানা দরকার৷ এর ফলে গানের সাথে সঠিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার এবং তার গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ ধারনা সৃষ্টি হবে৷ পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্রের প্রতি সকলের বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হবে৷
প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির সংগীত বিষয়ক পুস্তকে মোট তেরটি গান স্থান পেয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংগীত, শহীদ দিবসের গান, ছড়াগান রয়েছে তিনটি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম বাবু রচিত, এছাড়া লোক সংগীত, শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কিত সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, হাম্দ বা খোদার প্রশস্তিতমূলক গান, প্রার্থনা সংগীত, রণ সংগীত, বিশ্ব সংগীত এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গান রয়েছে একটি করে৷ গানের প্রকৃতি জানলে এবং উপলব্ধি করতে পারলে তা যথাযথ ভাব এবং অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলে গাওয়া সম্ভব হয়৷ তাই গানের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরী৷
বাল্যকাল থেকেই শিশুদের মনে শ্রমের প্রতি মর্যাদাবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে তৃতীয় শ্রেণিতে আবদুল লতিফ রচিত ও সুরারোপিত ‘নিজের হাতে কাজ কর কাজতো ঘৃণার নয়’ এই গানটি সংযোজন করা হয়েছে৷ গানটিতে নিজের হাতে কাজ করলে কাউকে ছোট করে বা ঘৃণাভরে দেখার কোন অবকাশ নেই এই বোধটি শিশুদের মনে জাগ্রত করার কথা বলা হয়েছে৷ কাজের মাধ্যমেই মানুষের পরিচয়, প্রত্যেক কাজই সম্মানজনক৷ আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সালাম নিজের হাতে কাজ করতেন এবং তিনি কাজের মানুষদেরকে বিশেষভাবে সম্মান দেখাতেন৷ এ ছাড়া এই পৃথিবীতে কোন মানুষই অমর নন৷ কিন্তু একজন মানুষ তার মৃত্যুর পর একমাত্র তার কাজের পরিচয়ের মাধ্যমেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারেন৷ সুতরাং কাজকে কখনই ঘৃণা করা উচিত নয়৷ ‘গান নিজের হাতে কাজ কর’ -শ্রেণিকক্ষে শেখানোর কৌশল ও গানটির তাল সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :
[…]মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা যোগানোর উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিলো অনেক মুক্তিযুদ্ধের গান৷ ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’ গানটি তারই একটি৷ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বহুল প্রচারিত এই গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের মনে যুগিয়েছে অসীম সাহস ও উদ্দীপনা৷ গানটিতে জীবন পণ করে রক্তের বদলে মেধকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে৷ গানটিতে সংকটময় মুহূর্তে সকলের মাঝে একতা, রক্ত ও অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার মাধ্যমে মুক্ত স্বাধীন দেশ গড়ার দৃপ্ত মনষ্কামের কথা ব্যক্ত হয়েছে৷
‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’ গানটি এই গানটির স্থায়ী এবং অন্তরা কাহারবা তালে এবং সঞ্চারী দ্রুত দাদরা তালে গাওয়া হয়। তাল দু’টি নিম্নরূপ:
কাহার্বা তাল : ৮ মাত্রা, মাত্রা বিভাগ ৪৷ ৪৷ ৩
+ | ০ | ||||||||
ধা | গে | তে | টে | না | গে | ধি | না | ৷ | |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৷ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৷ |
+ | ০ | ||||||
ধা | ধি | না | ৷ | না | তি | না | ৷ |
১ | ২ | ৩ | ৷ | ৪ | ৫ | ৬ | ৷ |
গান রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি গানটির ভিডিও দেখে অনুশীলন করুন।
ভিডিও লিংক: গান রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি
বাঙালি মায়ের মুখের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য উনিশশো বাহান্ন সালে ভাষা আন্দোলনে শহিদ বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলেছিলো৷ তাদের সেই আন্দোলন আর আত্মত্যাগের ফলে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার সম্মান আদায় করে নিতে পেরেছিলো৷ আজকের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পিছনে আছে সেদিনের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের শহিদদের দেশপ্রেম৷ আজো আমরা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখে স্মরণ করি সেই ভাইদের৷ স্মরণ করি আমাদের মায়ের শোকের অশ্রুধোয়া ঐ দিনটিকে৷ বাংলাভাষা প্রেমিক ভাইদের রক্তে রঞ্জিত এই একুশে ফেব্রুয়ারি চিরস্মরণীয়৷ বছর বছর সেই দিন আমাদের কাছে নতুন হয়ে ফিরে আসে স্বজন হারানোর শোক বহন করে৷ বাংলাভাষার প্রতি ভালবাসার অমর স্মৃতি হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি চিরভাস্বর হয়ে থাকবে৷
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর একটি কবিতার কয়েকটি ছত্র নিয়ে রচিত হয়েছে এই গানটি৷ আরও খানিকটা অংশও সুরে গাওয়া হয়৷ কিন্তু এখানে যে চরণ দেওয়া হয়েছে, সেটুকুই ফিরে ফিরে গাওয়া হয় একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরী আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে৷ এ গানে সুর দিয়েছিলেন শহিদ আলতাফ মাহমুদ৷ তিনিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে চিরতরে নিখোঁজ হয়ে যান৷
+ | ০ | ||||||
ধা | ধি | না | ৷ | না | তি | না | ৷ |
১ | ২ | ৩ | ৷ | ৪ | ৫ | ৬ | ৷ |
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির ভিডিও দেখে অনুশীলন করুন।
ভিডিও লিংক: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’
Ad