পেশাগত শিক্ষা Archives - Proshikkhon

Category "পেশাগত শিক্ষা"

31Jul2021

Inclusive education

একীভূত শিক্ষা কী?

সকল শিশুর শিখন চাহিদা পূরনের একটি টেকসই মাধ্যম হল একীভূত শিক্ষা। একীভূত শিক্ষাকে শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রীক উন্নয়নের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকেই একীভূত শিক্ষাকে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের একটি পদ্ধতি বা উপায় মনে করে থাকেন। কিন্তু এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। প্রকৃতপক্ষে একীভূত শিক্ষা এমন একটি শিক্ষা দর্শন যার নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যদল নেই, যে কোনো শিশুই শিক্ষাব্যবস্থার যে কোনো প্রেক্ষিতে (যেমন: ভর্তি, অংশগ্রহণ, অর্জন ইত্যাদি) বৈষম্যের স্বীকার হলেই তারা একীভূত শিক্ষার লক্ষ্যদল হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইউনেস্কোর (২০০৯) নির্দেশনা অনুযায়ী একীভূত শিক্ষা হলো :

[…]
15May2020

অধ্যায়: শিক্ষা ও গ্রন্থাগার, সেকশন-১.৮: গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা

ক্লাস-১০: গ্রন্থাগার স্টক টেকিং, ক্যাটালগ, আদর্শ গ্রন্থাগারের বিধিবিধান, এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

৭) স্টক টেকিং কী?

৮) গ্রন্থাগার স্টক টেকিং এর প্রয়োজনীয়তা কী?

৯) মজুত যাচাই বা স্টক টেকিং এর সুবিধাগুলো লিখুন।

১০) ক্যাটালগ কী? ক্যাটালগ কয় প্রকার ও কী কী? ক্যাটালগে কী কী বিষয় লিপিবদ্ধ থাকে?

১১) লাইব্রেরির ক্ষেত্রে ক্যাটালগ কেন প্রয়োজন হয়? এর সুবিধা ও অসুবিধা লিখুন।

১২) আদর্শ গ্রন্থাগারের বিধিবিধানসমুহ উল্লেখ করুন। লাইব্রেরি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় লিখুন।

১৩) ডিজিটাল লাইব্রেরি কি? এর  সুবিধা ও অসুবিধা লিখুন।

১৪) ডিজিটাল লাইব্রেরি এর পরিধি লিখুন।

১৫) ডিজিটাল লাইব্রেরি ও প্রচলিত লাইব্রেরির মধ্যে পার্থক্য লিখুন।

৭) স্টক টেকিং কী?

[…]
15May2020

পেশাগত শিক্ষা (৪র্থ খন্ড)

অধ্যায়: শিক্ষা ও গ্রন্থাগার, সেকশন-১.৮: গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা

ক্লাস-০৯: গ্রন্থাগার ও এর প্রকারভেদ, গ্রন্থাগারের গুরুত্ব, গ্রন্থাগার এবং সংযোজন রেজিস্ট্রার ব্যবহারবিধি

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

১) গ্রন্থাগার কী? গ্রন্থাগারের প্রকারভেদ লিখুন।

২)  ব্যক্তিগত ও গণ লাইব্রেরির বর্ননা দিন।

৩) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন। এ বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরুন।

৪) গ্রন্থাগার কীভাবে শিক্ষার কাজে সহায়তা করে?

৫) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার সংগ্রহ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের উপর লক্ষ রাখা প্রয়োজন।

৬) গ্রন্থাগারের বিভিন্ন শিক্ষন-শিখন সামগ্রীর সংযোজন রেজিস্ট্রারের ব্যবহারবিধি আলোচনা করুন।

১) গ্রন্থাগার কী? গ্রন্থাগারের প্রকারভেদ লিখুন।

[…]
14May2020

পেশাগত শিক্ষা (৪র্থ খন্ড)

অধ্যায়: আইসিটি; সেকশন-১.৬>শিখন শেখানো কার্যক্রম ও পেশাগত উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয়

ক্লাস-০৮: ডিজিটাল কন্টেন্ট কী, ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব, বিবেচ্য বিষয় ও ব্যবহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইস্যু, সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

  • ডিজিটাল কন্টেন্ট কী? 
  • ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব ও ব্যবহারের বিবেচ্য বিষয় এবং এর সুবিধা উল্লেখ করুন।
  • পেশাগত উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণের যৌক্তিকতা কী?
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক ও ব্যবস্থাপনা ইস্যুসমুহ আলোচনা করুন।
  • সাইবার বুলিং কী? সাইবার বুলিং প্রতিরোধে করণীয় বিষয় লিখুন।
  • সাইবার ক্রাইম কী? সাইবার অপরাধের কয়েকটি উদাহরণ দিন।
  • সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম এর শাস্তি কী? এর প্রতিরোধে করণীয় উপায় লিখুন।

ডিজিটাল কন্টেন্ট কী? 

কনটেন্ট বলতে সাধারণভাবে কোন উপকরণ বা উপাদানকে বুঝায়। ডিজিটাল কনটেন্ট হলো সেই উপকরণ বা উপাদান যা ডিজিটাল ডিভাইসে সংরক্ষণ এবং এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব অনেক। নানা ধরণের ডিজিটাল কনেটেন্ট রয়েছে। সেগুলো হলো অডিও, ভিডিও, লিখিত, পাওয়ারপয়েন্ট, ছবি ইত্যাদি।

ডিজিটাল কন্টেন্ট দু’ধরণের হয়। যেমন-

১. ইন্টারঅ্যাকটিভ:  যেমন- ভিডিও, এ্যানিমেটেড ছবি ইত্যাদি এবং

২. ননইন্টারঅ্যাকটিভ: যেমন- টেক্সট, পাওয়ারপয়েন্ট, ছবি।

ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব ও ব্যবহারের বিবেচ্য বিষয় এবং এর সুবিধা উল্লেখ করুন।

ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব:

  • ডিজিটাল কনটেন্ট এর ফলে শিক্ষাদান পদ্ধতির যেমন উন্নতি ঘটেছে তেমনি শিখন আনন্দময় ও সহজ হয়েছে।
  • অন্যদিকে শিক্ষার নানা তথ্য ও উপাত্ত খুব সহজেই শ্রেণি কক্ষে বসেই শিক্ষার্থী পেতে পারছে আর এটা সম্ভব হয়েছে মূলত ডিজিটাল কনটেন্ট এর কারণে।
  • শুধু তাই নয় এখন শিক্ষার্থীকে শ্রেণি কক্ষে বসে না থেকেও ক্লাস করার সুযোগ হচ্ছে শুধু ডিজিটাল কনটেন্ট এর কারণে।
  • এছাড়াও শিক্ষার্থী যখন ইচ্ছা এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসেই শিখতে পারছে।
  • মোট কথা ঘরে বসেই পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে এই ডিজিটাল কনটেন্ট এর ফলে।

ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহারের বিবেচ্য বিষয়:

  • সঠিক তথ্য উপাত্ত সমৃদ্ধ কনটেন্ট কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে,
  • কনটেন্ট তৈরির সময় ভুল বা অসত্য তথ্য যাতে সেদিকে লক্ষ রাখা,
  • কন্টেন্ট তৈরির সময় অহেতুক চাকচিক্য ও অপ্রয়োজনীয় কোনকিছু পরিহার করা,
  •  লেখা, ছবি বা ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেতে দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখা,
  • কোন সম্প্রদায়, গোষ্ঠী বা ধর্মীয় অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে সেদিকে বিবেচনা রাখা,
  • ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহারের পূর্বে ডিভাইসগুলা ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করা,
  •  প্রয়োজনীয় বৈদূতিক সাপোর্ট ঠিক আছে কিনা তা কন্টেন্ট ব্যবহারে পূর্বেই নিশ্চিত হওয়া।

ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহারের সুবিধা:

  • সহজে বোধগম্য, আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন
  • সস্তা বা বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়,
  • সহজে বহন ও সংরক্ষণযোগ্য
  • স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায়,
  • ইচ্ছেমতো সম্পাদনা করা যায় এবং বারবার ব্যবহার করা যায়।

পেশাগত উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণের যৌক্তিকতা কী?

যেকোন পেশায় পেশাদারিত্ব অর্জনের কোন বিকল্প নেই। কারণ একজন পেশাজীবির দায়-দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকদের সেবা দান করাই মূল লক্ষ্য। শিক্ষকতা মহৎ পেশা কেননা এই পেশার মাধ্যমে একটি জাতির ভিত্তি গড়ে উঠে। এজন্য শিক্ষকদের হতে হবে সবচেয়ে আধুনিক। বর্তমান সময়টি তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর। সুতরাং শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণের যৌক্তিকতা রয়েছে। কী কী কারণে পেশাগত উন্নয়নে আইসিটির অন্তর্ভুক্তির যৌক্তিকতা রয়েছে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো:

  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জানা বা সাক্ষর ব্যক্তিগণই উপযুক্ত ও দক্ষ পেশাজীবী হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। একজন শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়নে আইসিটি জ্ঞান থাকা জরুরী। কেননা একজন প্রযুক্তি সাক্ষর শিক্ষকই তার ছাত্রের যুগোপযোগী চাহিদা এর মাধ্যমে জানতে ও নিশ্চিত করতে পারবেন।
  • নিত্যনতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে তথ্য ও প্রযুক্তি জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন।
  • ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারবেন।
  • ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ও ব্যবহার করতে পারবেন।
  • দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষকদের কার্যক্রম অনলাইনে দেখতে পারবেন ফলে নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখতে পারবেন।
  • কনেন্ট শেয়ার করা, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস ডাউনলোড করতে পারবেন।
  • ই-বুক, ই-লাইব্রেরি ইত্যাদি সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ছাত্র-অভিভাবকদের সাথে নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের খোঁজ-খবর রাখতে পারবেন। এমনকি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফিডব্যাক ও পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।

এছাড়াও আরও নানা ধরণের বিষয়াবলী রয়েছে যা স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তবে উপরোক্ত আলোচনা থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, পেশাগত উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক ও ব্যবস্থাপনা ইস্যুসমুহ আলোচনা করুন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা আইসিটি ব্যবহারের ইতিবাচক অনেক দিক থাকলেও এর নেতিবাচক দিকও কিন্তু কম নয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা তৈরি হয় যেগুলোকে ইস্যু বলা হয়। যেমন- ব্যক্তিগত ইস্যু, পারিবারিক ইস্যু, সামাজিক ইস্যু, অর্থনৈতিক ইস্যু, নৈতিক ইস্যু ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ইস্যু ইত্যাদি। নিম্নে ইস্যুগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো:

ব্যক্তিগত ইস্যু

১. স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হতে পারে।  যেমন- কম্পিউটার মনিটর বা স্ক্রীনের সামনে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করলে চোখের সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ঘাড়ে ও পেশিতে ব্যথা হতে পারে। স্ক্রীনের সামনে এমন ভাবে বসার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে অন্তত ৯০ ডিগ্রী বরাবর চোখের অবস্থান থাকে মনিটর বা স্ক্রীনের থেকে। একাধারে বেশিক্ষণ কাজ না করে অন্তত দুই ঘন্টা পর পনের (১৫) মিনিট বিরতি নেয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

২. রেডিয়েশন এর ফলে মানবদেহের ক্ষতি হতে পারে। যেমন-: আইসিটি ডিভাইসগুলো থেকে এক ধরণের Electromagnetic Radiation (EMR) এর উৎপত্তি হয় যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। ফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সমস্যার কথা মাথায় রেখে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। সেজন্য মনিটর বা স্ক্রীন থেকে যাতে অতিরিক্ত আলো বের হয়ে চোখে না লাগে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঘরে বা যেখানে বসে কাজ করা হয় সেখানে যেন যথেষ্ট আলো থাকে। সম্ভব হলে মনিটরের উপরে প্রটেকটর ব্যবহার করা যেতে পারে।

পারিবারিক ইস্যু

  • পরিবারের কোন কোন সদস্য অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যেতে পারে। যেমন- গেইম এ আসক্ত হওয়ার ফলে পরিবার এবং ব্যক্তি উভয়ই সংকটে পড়তে পারেন।
  • ইন্টারনেট মাধ্যমে ফেইসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে চ্যাটিং, মেসেজিং ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়ে পারিবারিক অশান্তি তৈরি হয়। সুতরাং প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবারের সকলকে সজাগ থাকা প্রয়োজন।
  • ব্যক্তিগত ও পারিবারিক গোপনীয়তা নষ্ট হতে পারে।
  • পর্ণগ্রাফির ফলে অনেক পরিবার সামাজিক সংকটে পড়ে। এমনকি বিবাহ-বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটছে। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতনতা খুব জরুরী।

সামাজিক ইস্যু

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইস্যুগুলোও সামাজিক ইস্যুর মধ্যে পড়ে। এর বাইরেও আর বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলোকে আমরা সামাজিক ইস্যু বলতে পারি। তবে সামাজিক ইস্যুর ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিকের পাশাপাশি বেশকিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। সেগুলো হলো:

  • শিল্প ও কল-কারখানায় প্রযুক্তি ব্যবহারে করে অধিক পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে ফলে উৎপাদন বাড়লেও প্রযুক্তিতে অদক্ষ কর্মীরা কর্ম হারাচ্ছে যা বর্তমানে সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
  • পরিবেশ রক্ষা বিশেষ করে বৃক্ষ নিধন কমাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহায়কের কাজ করছে। অনেক অফিস আছে যেখানে আর কাগজ ব্যবহার হচ্ছে না। তারা ঊউও সিস্টেম চালু করেছে। ফলে কাগজের জন্য যে গাছ কাটা হতো তা কমে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে। পৃথিবীকে জলবায়ু ঝুঁকির হাত থেকে মুক্ত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান আছে।
  • পরিবেশ দূষণ রোধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান অনেক। অনেক অফিস আছে যেখানে ঘরে বসেই অফিস করা যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। ফলে রাস্তায় কম গাড়ি চলছে ফলে ট্রাফিক জ্যাম যেমন কমছে অন্যদিকে কম জালানী পুড়ছে যা সব দিক দিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধে ভূমিকা রাখছে।

অর্থনৈতিক ইস্যু

অর্থনৈতিক ইস্যু বিচারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নেতিবাচক ইস্যুর তুলনায় ইতিবাচক ইস্যুই বেশি। বলতে গেলে পৃথিবীর অর্থনৈতিক চাকা আমূল বদলে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো নিম্নরূপ:

  • প্রযুক্তি ব্যাপক চাহিদার ফলে এই সেক্টরের ব্যবসায়ীর বর্তমান পৃথিবীতে চেয়ে ধনীর কাতারে চলে এসেছেন। যেমন- মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতাগণ মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করেছেন এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম ।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অর্থনৈতিক ইস্যু সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। কেউ যেমন চাকরী হারাচ্ছেন অন্যদিকে কারোর ভাগ্যেও চাকা ঘুরে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে।
  • ই-কমার্স বিসনেজ তৈরি হয়েছে ফলে ঘরে বসেই ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব হচ্ছে।
  •  হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ চুরিও করা হচ্ছে।

নৈতিক ইস্যু

  • প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ব্যক্তির গোপনীয়তা হারাচ্ছে।
  • হ্যাকিং করার মাধ্যমে ব্যক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও হয়রানি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও চুরিও করা হচ্ছে।
  •  একজনের তৈরি করা সফটওয়ার চুরি বা পাইরেট করে অন্যরা ব্যবহার করছে।
  • ভুল বা উসকানীমূলক তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে সামাজিক ও ধর্মীয় শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট এবং সম্প্রদায়গত সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে।
  • পর্ণগ্রাফির মাধ্যমে ব্যক্তির বা সমাজের নৈতিক অপুরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।

ব্যবস্থাপনা ইস্যু

আধুনিক জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তির ব্যবহার প্রায় সর্বত্র। ফলে শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানাবিধ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমান সময়ে জীবন পরিচালনা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে পরিনত হয়েছে। ব্যবস্থাপনা ইস্যুগুলো হলো:

  • পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সাধারণ ব্যক্তিরও জীবন গড়তে বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যেমন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পালন করছে।
  • মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক জটিল ডায়াগনসিস ও অস্ত্রপচার করায় অপরিহার্য।
  • শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ করা, শিক্ষক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, পরীক্ষার ফলাফল তৈরি এবং প্রকাশ করা।
  • ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশে পূর্বে ব্যাপক সময় ও লোকবল প্রয়োজন হতো প্রযুক্তি ব্যবহারে তা এখন মাত্র কয়েকদিনেই সম্ভব হচ্ছে।

সাইবার বুলিং কী? সাইবার বুলিং প্রতিরোধে করণীয় বিষয় লিখুন।

সাইবার বুলিং

সাইবার বুলিং এক ধরণের জটিল মনস্তাত্ত্বিক উপদ্রব। বুলিং বলতে আমরা বুঝি দুইজন ব্যক্তির মধ্যে তর্ক বা দোষারোপের মাধ্যমে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা। যেমন- একজনের ছবি বা ভিডিও বিকৃতি করে অনলাইনে তুলে ধরা একটি সাইবার বুলিংয়ের উদাহরণ। সুতরাং সাইবার বুলিং হচ্ছে অনলাইনে কোন ব্যক্তিকে (শিশু, নারী বা বয়স্ক ব্যক্তি) প্রলুব্ধ বা হেয় প্রতিপন্ন করা, ভয় দেখানো এবং মানসিক নির্যাতন করা।

সাইবার বুলিং প্রতিরোধে করণীয়:

  • সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হলে সাড়া না দেওয়া এবং পাল্টা আক্রমণ না করা।
  • নিজেকে প্রথমেই বুঝানো যে এটি আমার দোষ নয়।
  • বুলিংয়ের শিকার হলে এর সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা।
  • কাছের বন্ধু বা আত্মীয়কে যতটুকু সম্ভব শেয়ার করা ও সহায়তা চাওয়া।
  • প্রাথমিক বুলিং হলে বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসংলগ্ন কথা বললে তাকে ব্লক করে দেওয়া।
  • অভিভাবক হলে নিজের সন্তানদের প্রতি আস্থা না হারোনো।
  • সন্তানের প্রতি মনোযোগী হওয়া, তাদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
  • ঘটনা শুনেই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ইতিবাচক সমাধান, পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও আত্মসম্মান বজায় রাখা।
  • যেকোনো ধরনের বুলিংয়ের শিকার হলে বাংলাদেশ সরকারের জরুরি পুলিশ সেবার জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস বিনামূল্যের ৯৯৯–এ কল করা।

সাইবার ক্রাইম কী? সাইবার অপরাধের কয়েকটি উদাহরণ দিন।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠন করাকে সাইবার ক্রাইম বলা হয়। যদি কোন ব্যক্তি যেকোন ইলেক্ট্রনিক বা ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সংক্ষরিত সিস্টেমে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে, তথ্য চুরি, তথ্য বিকৃতি প্রতারণা, অর্থ চুরি, ব্যাংকিং ডাটাবেজে প্রবেশ অর্থ ট্রান্সফার ইত্যাদি অপরাধ করে ক্ষতি করে, ভাইরাস প্রবেশ করায়, কম্পিউটার তথ্য ভান্ডারের ক্ষতি সাধন করে, সোর্স কোড পরিবর্তন করে, সিস্টেমের হ্যাকিং করে, মিথ্যা, অশ্লীল তথ্য প্রকাশ করে, তবে তাকে সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ বলে।

সাইবার অপরাধের ধরণ:

  • সাইবার বুলিং
  • সাইবার পর্ণোগ্রাফী
  • হ্যাকিং
  • ডিফেমিং বা ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করা
  • ম্যালওয়্যার
  • এ্যাকশান গেম
  • স্নাইফার
  • ক্লিক ফ্রড ইত্যাদি।

সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম এর শাস্তি কী? এর প্রতিরোধে করণীয় উপায় লিখুন।

বাংলাদেশের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩)-এর ৫৭ (২) ধারায়’ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এর শাস্তি ৭ থেকে ১৪ বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

৫৭ ধারায় যা বলা হয়েছে, তা হলো:

৫৭ (এক) কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।

অপরাধ দমণে করণীয়:

কেউ যদি কাউকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত মুহূর্তের কোনো আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও গ্রহণ, ধারণ করে এবং কোনো ইলেক্ট্রনিক বা ইন্টারনেট মাধ্যমে বা সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তাহলে উপরিল্লিখ ৫৭ ধারায় মামল করতে পারবেন।

এছাড়াও যদি প্রমাণ থাকে যে, উক্ত ছবি বা ভিডিওতে থাকা আক্রান্ত ব্যক্তি ধর্ষণের শিকারও হয়েছেন, সেক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০-এর ৯ (১) ধারায়’ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে তবে এজন্য মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন পড়বে।

আইসিটি সম্পর্কিত অন্যান্য ক্লাস/সেশন দেখতে নীচের ক্লাস লিংকগুলোতে প্রেস করুন।

ক্লাস-০১: আইসিটি, ডিজিটাল লিটারেসী, আইসিটি-ইন-এডুকেশন ও এর ব্যবহার

ক্লাস-০২: কম্পিউটার কী এবং এর বিভিন্ন অংশ, সিপিইউ, আইসিটি ডিভাইস, হার্ডওয়্যার, সফট্‌ওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার, কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করা।

ক্লাস-০৩: কম্পিউটার পরিচিতি, ফোল্ডার ও ফাইল তৈরি, কপি, ডিলিট ও পুনরুদ্ধার পদ্ধতি

ক্লাস-০৫: মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল ও এর ব্যবহার, এক্সেলের বিভিন্ন সূত্রাবলী এবং ই-মনিটরিং

ক্লাস-০৬: ইন্টারনেট ও এর ব্যবহার, ইন্টারনেট সংযোগ, সার্চ ইঞ্জিন, ব্রাউজার, ইমেইল, ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল পাঠানো

ক্লাস-০৭: পাওয়ারপয়েন্ট কী ও এর সুবিধা, পাওয়ারপয়েন্ট ওপেন, সেভ, লেখা ছোট-বড় ও রংপরিবর্তন, স্লাইডে ছবি, শেপ, টেবিল, ভিডিও ইনশার্ট এবং অ্যানিমেশন

ক্লাস-০৮: ডিজিটাল কন্টেন্ট কী, ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব, বিবেচ্য বিষয় ও ব্যবহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইস্যু, সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম

ক্লাস-০৯: গ্রন্থাগার ও এর প্রকারভেদ, গ্রন্থাগারের গুরুত্ব, গ্রন্থাগার এবং সংযোজন রেজিস্ট্রার ব্যবহারবিধি

ক্লাস-১০: গ্রন্থাগার স্টক টেকিং, ক্যাটালগ, আদর্শ গ্রন্থাগারের বিধিবিধান, ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি

14May2020

পেশাগত শিক্ষা (৪র্থ খন্ড)

অধ্যায়: আইসিটি; সেকশন-১.৫> পাওয়ারপয়েন্ট

ক্লাস-০৭: পাওয়ারপয়েন্ট কী ও এর সুবিধা, পাওয়ারপয়েন্ট ওপেন, সেভ, লেখা ছোট-বড় ও রংপরিবর্তন, স্লাইডে ছবি, শেপ, টেবিল, ভিডিও ইনশার্ট এবং অ্যানিমেশন

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

  • মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট কী?
  • শিক্ষাক্ষেত্রে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ব্যবহারের সুবিধা লিখুন।
  • মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট ফাইল ওপেন ও সেভ করার পদ্ধতি লিখুন।
  • মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন স্লাইড যোগ করার নিয়ম লিখুন।
  • মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ লেখা (Text) ছোট-বড় করার নিয়ম লিখুন।
  • মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ লেখার রং পরিবর্তন করার নিয়ম লিখুন।
  • মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন ছবি/শেপ/টেবিল ইনসার্ট করার পদ্ধতি লিখুন।
  • স্লাইডে ভিডিও ইনসার্ট করার পদ্ধতি লিখুন।
  • অ্যানিমেশন কয় প্রকার? অ্যানিমেশন করার নিয়ম লিখুন।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট কী?

MS Office এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ  প্রোগ্রাম হলো Microsoft PowerPoint Presentation। এটি একটি প্রেজেন্টেশন সফ্‌টওয়্যার যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার উপস্থাপন, কনফারেন্স ইত্যাদি পরিচালনা করা যায় বলে একে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বলা হয়। প্রেজেন্টেশন কথার অর্থ হল উপস্থাপন করা। দর্শক ও শ্রোতারদের মনোযোগ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বক্তা তার বিষয় বস্তুতে বিভিন্ন লেখা, ছবি, সাউন্ড, গ্রাফ ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তারপর Projector এর মাধ্যমে সেগুলি দর্শকের সামনে তুলে ধরেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ব্যবহারের সুবিধা লিখুন।

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা:

  • একটি সম্পূর্ণ উপস্থাপনা (Presentation ) করা যায়।
  • বিষয়গুলি আলাদা আলাদা স্লাইড ( Slide )  এ লেখা যায়।
  • স্লাইড এর প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন Design (ডিজাইন) দেওয়া যায়।
  • স্লাইডে চ্যাট, গ্রাফ, ছবি, সাউন্ড ব্যবহার করা যায়।
  • স্লাইড গুলি একত্রে একটি ফাইলে (File) এ store করা যায়।
  • স্লাইড গুলি প্রয়োজনে প্রিন্ট দেওয়া যায়।
  • Presentation টিকে Internet এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো যায়।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট ফাইল ওপেন ও সেভ করার পদ্ধতি লিখুন।

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ওপেন করার নিয়ম:

১. স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে All Programs সিলেক্ট করতে হবে,

২. All Programs থেকে Microsoft PowerPoint ক্লিক করলে মাইক্রোসফট অফিস এর প্রোগ্রামগুলোর তালিকা দেখা যাবে,

৩. তালিকায় থাকা Microsoft PowerPoint -এ ক্লিক করলে মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড খুলে যাবে।

ফাইল Save করার নিয়ম:

  • প্রথমে File মেনুতে গিয়ে Save এ ক্লিক করলে অথবা শর্টকাট কীবোর্ড কমান্ড (ctrl+s) একসাথে চাপ দিলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে,
  • তারপর ফাইলটির লোকেশন (ডেস্কটপ/নির্দিষ্ট ড্রাইভ) সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর File Name টাইপ করে Save এ ক্লিক করতে হবে।

আর ফাইলটি যদি পুরানো হয়ে তবে শুধুমাত্র কীবোর্ডের ctrl+s একত্রে চাপলেই তা সংরক্ষণ হয়ে যায়।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন স্লাইড যোগ করার নিয়ম লিখুন।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন স্লাইড যোগ করার নিয়ম:

  • ‘Home tab’-এ থাকা অবস্থায় না থাকলে ‘Home tab’ -এ ক্লিক করতে হবে,
  •  স্লাইড কমান্ড গ্রুপ থেকে ‘Slides’ বাটনে ক্লিক করতে হবে,
  • ৯ ধরণের স্লাইড লে-আউট (Title and content, Blank ইত্যাদি) দেখা যাবে সেখান হতে স্লাইড পছন্দের লে-আউটটি নির্বাচন করতে হবে।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ লেখা (Text) ছোট-বড় করার নিয়ম লিখুন।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ Text  ছোট-বড় করার নিয়ম:

  • প্রথমে যতটুকু লেখা ছোট বা বড় করতে ইচ্ছুক ততটুকু সিলেক্ট করতে হবে,
  • Home tab-এ না থাকলে ‘Home tab’-এ ক্লিক করতে হবে,
  •  ‘Font’ কমান্ড গ্রুপ থেকে ‘Font size’ বক্সে ফন্ট সাইজ লিখে দিতে হবে; কিংবা ‘A’ চিহ্নিত টুলসের উপর মাউস পয়েন্টার রাখলে  ‘Increase Font Size’ অথবা ‘Increase Font Size’ দেখাবে তখন ‘A’ চিহ্নিত বাটনে মাউসের বাম বাটন ক্লিক করে ইচ্ছেমতো ফন্ট ছোট বা বড় করা যাবে।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ লেখার রং পরিবর্তন করার নিয়ম লিখুন।

Text-এর রং পরিবর্তন করার নিয়ম:

  • প্রথমে যতটুকু লেখার রং পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক ততটুকু সিলেক্ট করতে হবে,
  • Home tab-এ না থাকলে ‘Home tab’-এ ক্লিক করতে হবে,
  •  ‘Font’ কমান্ড গ্রুপ থেকে ‘A’ চিহ্নিত টুলসের ডান পাশে থাকা ড্রপ ডাইন বাটনে ক্লিক করতে হবে,
  •  অনেক রং দেখা যাবে সেখান থেকে ইচ্ছেমতো রংয়ের উপর মাউস পয়েন্টার ক্লিক করলেই রং পরিবর্তন হয়ে যাবে।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন ছবি/শেপ/টেবিল ইনসার্ট করার পদ্ধতি লিখুন।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ Picture ইনসার্ট করার পদ্ধতি:

  • প্রথমে একটি Blank স্লাইড নিতে হবে,
  • ‘Insert tab’-এ ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Images’ কমান্ড গ্রুপ থেকে ‘Pictures’ বাটনে ক্লিক করতে হবে,
  • ড্রাইভে সেভ করে রাখা ছবি ব্রাউজ করে সিলেক্ট করতে হবে,
  •  ‘Insert’ বাটনে ক্লিক করলেই স্লাইডে ছবি ঢুকে যাবে।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ Shape ইনসার্ট করার পদ্ধতি:

  • প্রথমে একটি Blank স্লাইড নিতে হবে,
  •  ‘Insert tab’-এ ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Illustrations’ কমান্ড গ্রুপ থেকে ‘Shapes’ বাটনে ক্লিক বিভিন্ন ধরণের শেপ আইকন দেখা যাবে,
  • পছন্দমতো (Triangle, Oval, star ইত্যাদি) সিলেক্ট করে স্লাইডের উপর মাউস পয়েন্টার আনলে (+) চিহ্ন দেখাবে,
  • এরপর স্লাইডে মাউস ক্লিক অথবা মাউস ড্র্যাগ (Drag) করলে শেপটি দেখা যাবে।

মাইক্রোসফ্‌ট পাওয়ারপয়েন্ট-এ Table ইনসার্ট করার পদ্ধতি:

  • প্রথমে একটি Blank স্লাইড নিতে হবে,
  •  ‘Insert tab’-এ ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Tables’ কমান্ড গ্রুপ থেকে ‘Table’ বাটনে ক্লিক টেবিলের ঘর দেখাবে,
  • ইচ্ছেমতো Column ও Row রো সিলেক্ট করার জন্য মাউস পয়েন্টার নড়াচড়া করালে ঘরগুলো রং পরিবর্তন হয়ে কমলা রং দেখাবে, সেই অবস্থায় মাউসের বাম বাটন ক্লিক করলেই স্লাইডে টেবিল ইনসার্ট হয়ে যাবে।

প্রিয় ডিপিএড শিক্ষার্থীবৃন্দ,

মনে রাখবেন মাইক্রোসফ্‌ট অফিসের প্রোগ্রামগুলোতে (যেমন- এম.এস ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি) ফাইল ওপেন করা, সেভ করা, লেখালেখি করা, ছবি, শেপ, টেবিল ইত্যাদি কার্যসম্পাদনের নিয়ম প্রায় একই। এমনকি শর্টকাট কীবোর্ড কমান্ডগুলোও প্রায় একই। সুতরাং ব্যবহারিক ক্লাসে যখন কাজ করবেন তখন এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন ফলে অনেক কাজেই সহজ মনে হবে।

স্লাইডে ভিডিও ইনসার্ট করার পদ্ধতি লিখুন।

যে ভিডিও ক্লিপটি স্লাইডে ইনসার্ট করতে ইচ্ছুক সেটি কোন ড্রাইভের কোন ফোল্ডারে আছে আগেই নিশ্চিত হতে হবে অথবা কাজের সুবিধার্থে ভিডিও ফাইলটি ডেস্কটপে কপি করে রাখা যেতে পারে।

ভিডিও ইনসার্ট পদ্ধতি:

  • প্রথমে একটি Blank স্লাইড নিতে হবে,
  • ‘Insert tab’-এ ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Object’ টুলের উপর ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Create from file’ অপশনটিতে ক্লিক করে সিলেক্ট করতে হবে,
  • ‘Browse’-এ ক্লিক করে ডেস্কটপ অথবা যে ড্রাইভে ভিডিও ফাইলটি রয়েছে সেটি সিলেক্ট করে ‘Ok’ বাটনে  ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Display as icon’ অপশনের পাশের চেক বস্কটিতে ক্লিক করে সিলেক্ট করতে হবে,
  • পুনরায় ‘Ok’ বাটনে  ক্লিক করলেই ভিডিও ফাইলটি স্লাইডে আইকন আকারে দেখা যাবে,
  • এরপর ভিডিও ফাইলটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় পুনরায় ‘Insert tab’-এর ‘Action’ টুলের উপর ক্লিক করলে নতুন ডায়ালগ বক্স আসবে,
  • ডায়ালগ বক্সে ‘Object action (Activate Contents)’ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে,
  •  সবশেষে ‘Ok’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

অ্যানিমেশন কয় প্রকার? অ্যানিমেশন করার নিয়ম লিখুন।

MS PowerPoint-এ অ্যনিমেশন ৪ ভাবে অ্যানিমেশন করা যায়। যথা:

১. এন্ট্রান্স (Entrance)

২. এমফেসিস (Emphasis)

৩. এক্সিট (Exit)

৪. কাস্টম অ্যানিমেশন (Custom Animation)

অ্যানিমেশন করার নিয়ম:

  • প্রথমে স্লাইডের লেখা/টেবিল/শেপ সিলেক্ট করতে হবে,
  • ‘Animations tab’ -এ ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Add Animation’ টুলসে ক্লিক করতে হবে,
  • ‘Entrance’ অপশনে বিভিন্ন অ্যানিশেশন (Fly in, Swivel, Bounce ইত্যাদি) দেখা যাবে তার মধ্যে থেকে যে কোন একটিতে ক্লিক দিলেই অ্যানিমেশন যোগ হয়ে যাবে,
  • উল্লেখ্য যে, অ্যানিমেশন দেখার জন্য অবশ্যই স্লাইড শো করতে হবে। স্লাইড শো করতে ফাংশন কী F5 চাপতে হবে।

আইসিটি সম্পর্কিত অন্যান্য ক্লাস/সেশন দেখতে নীচের ক্লাস লিংকগুলোতে প্রেস করুন।

ক্লাস-০১: আইসিটি, ডিজিটাল লিটারেসী, আইসিটি-ইন-এডুকেশন ও এর ব্যবহার

ক্লাস-০২: কম্পিউটার কী এবং এর বিভিন্ন অংশ, সিপিইউ, আইসিটি ডিভাইস, হার্ডওয়্যার, সফট্‌ওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার, কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করা।

ক্লাস-০৩: কম্পিউটার পরিচিতি, ফোল্ডার ও ফাইল তৈরি, কপি, ডিলিট ও পুনরুদ্ধার পদ্ধতি

ক্লাস-০৪: মাইক্রোসফ্‌ট ওয়ার্ড ও এর ব্যবহার, ফাইল ওপেন ও সেভ, লেখা কপি, কাট ও পেস্ট করা, হাইপারলিংক, পেইজ সেট আপ এবং প্রিন্ট করার নিয়ম

ক্লাস-০৫: মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল ও এর ব্যবহার, এক্সেলের বিভিন্ন সূত্রাবলী এবং ই-মনিটরিং

ক্লাস-০৬: ইন্টারনেট ও এর ব্যবহার, ইন্টারনেট সংযোগ, সার্চ ইঞ্জিন, ব্রাউজার, ইমেইল, ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল পাঠানো

ক্লাস-০৭: পাওয়ারপয়েন্ট কী ও এর সুবিধা, পাওয়ারপয়েন্ট ওপেন, সেভ, লেখা ছোট-বড় ও রংপরিবর্তন, স্লাইডে ছবি, শেপ, টেবিল, ভিডিও ইনশার্ট এবং অ্যানিমেশন

ক্লাস-০৮: ডিজিটাল কন্টেন্ট কী, ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব, বিবেচ্য বিষয় ও ব্যবহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইস্যু, সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম

ক্লাস-০৯: গ্রন্থাগার ও এর প্রকারভেদ, গ্রন্থাগারের গুরুত্ব, গ্রন্থাগার এবং সংযোজন রেজিস্ট্রার ব্যবহারবিধি

ক্লাস-১০: গ্রন্থাগার স্টক টেকিং, ক্যাটালগ, আদর্শ গ্রন্থাগারের বিধিবিধান, ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি

13May2020

পেশাগত শিক্ষা (৪র্থ খন্ড)

অধ্যায়-০১: আইসিটি; সেকশন-১.৪> ইন্টারনেট ও শিক্ষায় ও ব্যবহার

ক্লাস-০৬: ইন্টারনেট ও এর ব্যবহার, ইন্টারনেট সংযোগ, সার্চ ইঞ্জিন, ব্রাউজার, ইমেইল, ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল পাঠানো

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

  • ইন্টারনেট কী?
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করার উপায় লিখুন।
  • কোন কোন মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া যায়?
  • মডেমের সাহায্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার পদ্ধতি বর্ণনা করুন।
  • সার্চ ইঞ্জিন কী? কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম লিখুন।
  • গুগলের মাধ্যমে সার্চ করার পদ্ধতি লিখুন।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে? কয়েকটি সামাজিক মাধ্যমের নাম লিখুন।
  • ব্রাউজার কী? কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাউজারের নাম লিখুন।
  • ইমেইল কী?
  • ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার ধাপ বর্ণনা করুন।
  • ইমেইল পাঠানোর ধাপ বর্ণনা করুন।

ইন্টারনেট কী?

ইন্টারনেট (Internet) হলো আধুনিক টেলিযোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক যা স্যাটেলাইট, ক্যাবল বা ওয়্যারলেস সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা অন্য ডিভাইস গুলিকে World Wide Web (www) এর সাথে আমাদের সংযুক্ত (connect) করে। www হলো ইন্টারনেটে তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, হাইপারলিংক (https) এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্ট একে একের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে। সহজ কথায়, ইন্টারনেট হল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তথ্য প্রাপ্তি ও যোগাযোগের এক বিষ্ময়কর মাধ্যম।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার উপায় লিখুন।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অনেক। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নেওয়া হয় যে সকল ক্ষেত্রে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ হলো:

[…]
12May2020

পেশাগত শিক্ষা (৪র্থ খন্ড)

অধ্যায়-০১: আইসিটি; সেকশন-১.৩>মাইক্রোসফট এক্সেল

ক্লাস-০৫: মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল ও এর ব্যবহার, এক্সেলের বিভিন্ন সূত্রাবলী এবং ই-মনিটরিং

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

  • এম.এস এক্সেল কী? মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল দিয়ে কী কী কাজ করা যায়?
  • এক্সেল (Excel) এর Spreadsheet কি ?
  • এক্সেল (Excel) এর Worksheet কি ?
  • ওয়ার্কশীট ও ওয়ার্ডবুকের মধ্যে পার্থক্য কি?
  • Cell কি? ইহা কত প্রকার ও কি কি?
  • ফর্মুলা কাকে বলে? ফর্মুলা কত প্রকার ও কি কি? ফর্মুলা লেখার নিয়ম বর্ণনা করুন।
  • মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেলের কিছু উল্লেখযোগ্য সূত্রাবলী জেনে রাখুন।
  • Worksheet-এ Range বলতে কি বুঝ?
  • ফিল হ্যান্ডল (Fill Handle) কি?
  • মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শটকার্ট কীবোর্ড কমান্ড।
  • ই-মনিটরিং কী?

এম.এস এক্সেল কী? মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল দিয়ে কী কী কাজ করা যায়?

Excel শব্দের আভিধানিক অর্থ শ্রেষ্ঠতর হওয়া। গুণ, কৃতিত্ব প্রভৃতি বিবেচনায় শ্রেষ্ঠতর বা উৎকৃষ্টতর হওয়া। মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল একটি স্প্রেডশীট এনালাইসিস সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হিসাব-নিকাশ নির্ভুলভাবে করতে পারি।

এক্সেল (EXCEL) এর কাজসমূহ:

  • খাতা-কলমে এবং ক্যালকুলেটর মেশিন দিয়ে যে যে কাজ করা যায় এক্সেলের বিরাট পৃষ্টায় আমরা তার চেয়েও অনেক বেশী এবং জটিল কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নির্ভূলভাবে করা,
  • দৈনন্দিন হিসাব সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা,
  • সাধারণ হিসাব -নিকাশ: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি,
  • আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ: জমা খরচ, বিল-ভাউচার, হিসাব ব্যয় বিবরণী ইত্যাদি,
  • স্ট্যাটিস্টিক্যাল হিসাব-নিকাশ: চার্ট  বা গ্রাফ, গড়, মধ্যক, প্রচুরক ইত্যাদি,
  • ফলাফল শীট ইত্যাদি
  • বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করা,
  • বাজেট প্রণয়ন করা,
  • ব্যাংক ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ করা,
  • উৎপাদন ব্যবস্থাপনার কাজ করা,
  • আয়কর ও অন্যান্য হিসাব নিকাশ তৈরী করা,
  • বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেশন করা,
  • বেতন হিসাব তৈরির পাশাপাশি আরোও অনেক কাজ করা যায়।

প্রিয় ডিপিএড শিক্ষার্থীবৃন্দ, Microsoft Excel প্রোগ্রামটি মূলত সূত্রভিত্তিক। অর্থাৎ কাজের ধরণ অনুসারে ডাটা এন্ট্রি করে সূত্র প্রয়োগ করলেই মূহুর্তেই নির্ভূলভাবে ফলাফল পাওয়া যায়। যেমন-আপনি যদি একজন ছাত্রের ফলাফলের উপর সূত্র প্রয়োগ করতে পারেন তবে আপনাকে প্রতিটি ছাত্রের ফলাফল পেতে বারবার সূত্র প্রয়োগ করতে হবে না। ফিল হ্যান্ডেল নামে একটি অপশন আছে যার মাধ্যমে একবার মাউস ড্রাগ করে শত শত ছাত্রের ফলাফল তৈরি করতে পারবেন সেকেন্ডের মধ্যে। এটাই MS Excel -এর মজা। এটি খুব বেশি ব্যবহারিক যা কম্পিউটার ল্যাবে অনুশীলনযোগ্য। তবুও এর সম্পর্কে কিছু তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক যার ফলে আপনি সহজেই প্রোগ্রামটি আয়ত্ব করতে পারবেন।

এ কারণেই নিচের তাত্ত্বিক বিষয়গুলো অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

এক্সেল (Excel) এর Spreadsheet কি ?

স্প্রেডশীট শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা। এখানে Spread শব্দের অর্থ ছড়ানো আর sheet শব্দের অর্থ পাতা। একসঙ্গে Spreadsheet অর্থ ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর খোপ খোপ ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সম্বলিত বড় শীটকে স্প্রেডশীড বলে।

এক্সেল (Excel) এর Worksheet কি ?

এক্সেল এর সুবিশাল পাতার যে অংশে কাজ করা হয় তাকে Worksheet বলে। মূলত: স্প্রেডশীটই হলো Worksheet একটি খাতায় যেমন অনেকগুলো পাতায় লেখা যায়, এক্সেলেও তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্কশীট খুলে তাতে কাজ করা যায়।

ওয়ার্কশীট ও ওয়ার্ডবুকের মধ্যে পার্থক্য কি?

ওয়ার্কশীট ওয়ার্কবুক
এক্সেল এর সুবিশাল পাতার যে অংশে কাজ করা হয় তাকে Worksheet বলে। মূলত: স্প্রেডশীটই হলো Worksheet একটি খাতায় যেমন অনেকগুলো পাতায় লেখা যায়, এক্সেলেও তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্কশীট খুলে তাতে কাজ করা যায়। এক্সেলের স্প্রেডশীটে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশ করে তা বিশ্লেষণ বা পরিগণনার করা হয়। কাজ করার পর ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য কোন নামে সংরক্ষণ করা যায়। সংরক্ষিত স্প্রেডশীটকে ফাইল বা ওয়ার্কবুক বলে। একটি ওয়ার্কবুকে বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশীট থাকতে পারে।

Cell কি? ইহা কত প্রকার ও কি কি?

এক্সেলের ওয়ার্কশীটটি সারি ও কলাম ভিত্তিক। উপরে A, B, C, D……….. ইত্যাদি হলো বিভিন্ন কলামের নাম এবং বাম পাশের 1,2,3,4,5………..ইত্যাদি হলো সারি সংখ্যা। সারি ও কলামের পরষ্পর ছেদে তৈরীকৃত ছোট ছোট আয়তকার ঘরকে সেল বলা হয়। অর্থাৎ Worksheet এর বর্গাকৃতি একেকটি ঘরই হল Cell। মাইক্রোসফট এক্সেলে মোট ২৫৬টি কলাম এবং ৬৫৫৩৬ টি রো থাকে। এতে ১৬,৭৭৭,২১৬টি ঘর বা সেল রয়েছে। সেল দুই প্রকার। যথা:

১. অ্যাকটিভ সেল (Active Cell): সক্রিয় সেল হলো সেইগুলো যেগুলোতে সেই মুহুর্তে কাজ করা হচ্ছে।

২. ইন্যাকটিভ সেল (Inactive Cell): নিষ্ক্রিয় সেল হলো সেইগুলো যেগুলো সক্রিয় নয়। অর্থাৎ ঐ মূহুর্তে কাজ করা হচ্ছে না।

ফর্মুলা কাকে বলে? ফর্মুলা কত প্রকার ও কি কি? ফর্মুলা লেখার নিয়ম বর্ণনা করুন।

ফর্মুলা হলো একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। যে পদ্ধতির ব্যবহার করে স্প্রেডশীট প্রোগ্রামে হিসাব-নিকাশ (যোগ-বিয়োগ,গুণ, ভাগ, শতকরা) সমতুল্যতা ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা হয়, তাকে বলা Formula হয়।

ফর্মুলা প্রধানত: তিন প্রকার। যথা-

১) গাণিতিক ফর্মূলা (Arithmetical Formula):

গাণিতিক ফর্মুলার সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা ইত্যাদি হিসাব নিকাশের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

২) যুক্তিমূলক বা লজিক্যাল ফর্মূলা (Logical Formula):

যুক্তিমূলক ফর্মূলার সাহায্যে শর্ত নির্ভর কাজ সম্পন্ন করা হয়। যেমন- মূলবেতন যদি ৯০০ টাকা বা তার বেশী ৪০% ভাগ যোগ করতে হবে। হিসেবে এই নির্দেশ প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত ফর্মূলাকে বলা হয় লজিক্যাল বা যুক্তিমূলক ফর্মূলা।

৩) টেক্সট ফর্মূলা (Text Formula):

অনেক সময় ফর্মূলায় সরাসরি শব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন- বিভিন্ন বয়সী মানুষের একটি ওয়ার্কশীটের বয়সের ভিত্তিতে সবার নামের বরাবর মন্তব্যের ঘরে ৪০-৬০ বছর বয়সীদের যুবক, ১০-১৫ বছর বয়সীদের কিশোর লিখতে হবে। এজন্য শব্দগুলো টেক্সট ফর্মূলা হিসেবে সরাসরি ফর্মূলায় ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ শুধুমাত্র লেখার ভিত্তিতে যে ব্যবহৃত হয়, তাকে বলা হয় Text Formula।

ফর্মুলা বলতে বোঝানো হয় গাণিতিক প্রক্রিয়া, যা সেল রেফারেন্স এবং আসল মূল্য (অ্যাকচুয়াল ভ্যালু) যে কোনও ধরনের কম্বিনেশন বা মিশ্রণ ব্যবহার করে। সাধারণ ভাবে একটি অঙ্ক করতে চাইলে একটি ফর্মুলা বা নিয়ম ব্যবহার করা যায়। যেমন- ১০৬*৩ লিখে এই হিসেবের উত্তর দেখতে পারা যায়। তবে ফর্মুলা বা নিয়মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল অন্য সেলের সঙ্গে সম্পর্ক যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো:

  • প্রত্যেকটি ফর্মুলা বা নিয়ম অবশ্যই যোগ অথবা সমান চিহ্ন (=) দিয়ে শুরু করতে হবে। যেমন, A2 সেলের সংখ্যা থেকে A1 সেলের সংখ্যা বাদ দিতে হবে ফর্মুলা বা নিয়ম হবে =A2-A।; যখন এই এন্ট্রি বা বিষয় স্বীকার করে নেওয়া হবে, এক্সেল হিসাব করে এবং সেলে ফলাফল প্রদর্শন করে। যদি পরে A1 অথবা A2 সেলে কোনও সংখ্যা পরিবর্তন করা হয়, এক্সেল আবার হিসাব করে এবং নতুন ফলাফল প্রদর্শন করে।
  • ফর্মুলা প্যালেট দেখাতে ফর্মুলা বারে সমান চিহ্ন ক্লিক করে কোনও ফর্মুলা শুরু করা যেতে পারে।
  • কোনও নিয়ম বা ফর্মুলা লেখার বা স্বীকার করার সময় এক্সেল কিছু ধরনের ভুল দেখাতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি কোনও সংশোধনের ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি সংশোধন করতে হয়, তবে মেসেজ বক্সে ‘ইয়েস’ বা ইতিবাচক শব্দে ক্লিক করতে হবে, তা না হলে ‘নো’ বা নেতিবাচক শব্দে ক্লিক করতে হবে।
  • তারিখ ব্যবহার করেও নিয়ম তৈরি করা যেতে পারে। যেমন, সেল F10 এবং H23 তারিখের আধার হলে দু’টি সেলের মধ্যবর্তী দিনের হিসেব = H23 – F10 নিয়মে করা যায়। এক্সেল মাস/দিন/বছর, এই ফরম্যাটে উত্তর বা ফলাফল প্রদর্শন করে। তারিখের মধ্যে মাস (mm), দিন (dd) এবং বছর (yy) দেখায়।

মাইক্রোসফ্ট এক্সেলের কিছু উল্লেখযোগ্য সূত্রাবলী জেনে রাখুন।

১. যোগ করার সূত্র: =SUM(A1:A2)

২. বিয়োগ করার সূত্র: =SUM(A1-A2)

৩. গুন করার সূত্র:  =SUM(A1*A2)

৪. ভাগফল করার সূত্র: = SUM(A1/A2)

৫. গড় বের করার সূত্র: =AVERAGE(A1:A2)

৬. সবোর্চ্চ মান বের করার সূত্র: =MAX(A1:A2)

৭. সর্বনিম্ন মান বের করার সূত্র: =MIN(A1:A2)

৮. গ্রেড নির্ণয়ের সূত্র:

=IF(B17>=80,”A+”,IF(B17>=70,”A”,IF(B17>=60,”A”,IF(B17>=50,”B”,IF(B17>=40,”C”,IF(B17>=33,”D”,”F”))))))

৯. জিপিএ নির্ণয়ের সূত্র:

=IF(B18>=80,5,IF(B18>=70,4,IF(B18>=60,3.5,IF(B18>=50,3,IF(B18>=40,2,IF(B18>=33,1,0))))))

১০. সিজিপিএ নির্ণয়ের সূত্র:

=IF(V5=”A+”,5,IF(V5=”A”,4,IF(V5=”A”,3.5,IF(V5=”B”,3,IF(V5=”C”,2,IF(V5=”D”,1,0))))))

Worksheet-এ Range বলতে কি বুঝ?

Range: স্প্রেডশীট নিয়ে কাজ করার সময় প্রায়ই একাধিক সেলকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে একাধিক ঘরকে সিলেক্ট করে সম্পাদনা, ফর্মেটিং, ফর্মুলা প্রয়োগ ইত্যাদি কাজ করতে হয়। এমন কাজের আওতায় থাকা সেলসমূহ বা একসংগে সিলেক্ট করা সেলসমূহ অথবা যতটুকু এলাকা জুড়ে কাজের আওতা থাকে, সেই এলাকাকে একসঙ্গে Range বলা হয়। যেমন: A1:A7

ফিল হ্যান্ডল (Fill Handle) কি?

ওয়ার্কশীট (Work-Sheet)-এর পাশাপাশি সেলে বা পরপর সেলে একই জাতীয় লেখা বা তথ্য এন্ট্রি করতে হয়। এভাবে প্রত্যেক এন্ট্রি করা অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ। কিন্তু এক্সেলের ফিল হ্যান্ডল কমান্ড দিয়ে সহজেই একই ধরণের তথ্য দ্বারা পূরণ করা যায়। মাউস পয়েন্টারের ডানপার্শ্বের Black Cross বা যোগ চিহ্ন (+) টিকে Fill Handle বলা হয়।

মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শটকার্ট কীবোর্ড কমান্ড জেনে রাখুন।

কীবোর্ডের মাধ্যমে ব্যবহৃত কিছু শর্টকাট কমান্ড:

Ctrl+1 : ফন্ট, বর্ডার, নম্বর ইত্যাদির পরিবর্তন করা।

Ctrl+2 : ফন্ট বোল্ড করা।

Ctrl+3 : লেখাকে ইটালিক করা।

Ctrl+4 : লেখা আন্ডারলাইন করা।

Ctrl+5 : লেখার মাঝখান বরাবর কাটা দাগ (Srike through)।

Ctrl+7 : স্ট্যান্ডার্ড টুলবার সরিয়ে দেওয়া।

Ctrl+9 : কারসর যে ফিল্ডে আছে, তা মুছে ফেলা (Row delete)।

Ctrl+0 : কলাম ডিলিট।

Ctrl+Arrow : ডানে, বামে, ওপরে এবং নিচে লেখার শেষে কারসর যাবে।

Ctrl+Home : ফিল্ড বা লেখার শুরুতে কারসর।

Ctrl+End : ফিল্ড বা লেখার শেষে কারসর।

Ctrl+Page Up : আগের পৃষ্ঠা বা ওয়ার্কশিটে যাওয়া।

Ctrl+Page Down : পরের পৃষ্ঠা বা ওয়ার্কশিটে যাওয়া।

Atl+Page Up : ডকুমেন্টের প্রথম কলামে অবস্থান করা।

Atl+Page Down : ডকুমেন্টের শেষ কলামে অবস্থান করা।

Atl+Enter : ফিল্ডে কারসর রেখে দুই ক্লিকের মাধ্যমে পরের লাইন তৈরি করা।

Shift+TAB : পেছনের ফিল্ড থেকে প্রথম ফিল্ডে একেক করে যাওয়া।

Atl+F1 : ওয়ার্কশিটের সঙ্গে চার্টশিট যুক্ত করা।

Atl+F2 : সেভ অ্যাজ।

Ctrl+F3 : ডিফাইন ডায়ালগ বক্স খোলা।

Ctrl+F4 : ফাইল বন্ধ করা।

Ctrl+F5 : ফাইল নামসহ আদালা উইন্ডো।

Ctrl+F8 : ম্যাক্রো তৈরির জন্য ডায়লগ বক্স খোলা।

Ctrl+F9 : ফাইল মিনিমাইজ করা।

Ctrl+F10 : ফাইল নামসহ আলাদা ইউন্ডো।

Ctrl+F11: ওয়ার্কশিটের সঙ্গে ম্যাকরো শিট যুক্ত করা।

Ctrl+F12 : ওপেন ডায়ালগ বক্স।

ই-মনিটরিং কী?

ই-মনিটরিং হলো কাগজ-কলমহীন (Paperless) প্রক্রিয়ায় অনলাইন মনিটরিং কার্যক্রম। প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের বিদ্যালয়সমূহকে সুপারভিশন ও মনিটরিং কার্যক্রমকে সহজীকরণ এবং শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারদের কাজের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে ই-মনিটরিং চালু করা বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো, নিবন্ধিত সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তথ্য একটি একক ডাটাবেজে সংগ্রহ করার বিশাল কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সহায়তায় এই সিস্টেম তৈরির কাজটি করছে। তথ্য লিপিবদ্ধ করার জন্য www.dpe.gov.bd ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করে এই সিস্টেমের অধীনে তিনটি মডিউলের উপর কাজ হচ্ছে। সেগুলো হলো:

১. ভৌত অবকাঠামো,

২. শিক্ষক ও

৩. শিক্ষার্থী।

আইসিটি সম্পর্কিত অন্যান্য ক্লাস/সেশন দেখতে নীচের ক্লাস লিংকগুলোতে প্রেস করুন।

ক্লাস-০১: আইসিটি, ডিজিটাল লিটারেসী, আইসিটি-ইন-এডুকেশন ও এর ব্যবহার

ক্লাস-০২: কম্পিউটার কী এবং এর বিভিন্ন অংশ, সিপিইউ, আইসিটি ডিভাইস, হার্ডওয়্যার, সফট্‌ওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার, কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করা।

ক্লাস-০৪: মাইক্রোসফ্‌ট ওয়ার্ড ও এর ব্যবহার, ফাইল ওপেন ও সেভ, লেখা কপি, কাট ও পেস্ট করা, হাইপারলিংক, পেইজ সেট আপ এবং প্রিন্ট করার নিয়ম

ক্লাস-০৫: মাইক্রোসফ্‌ট এক্সেল ও এর ব্যবহার, এক্সেলের বিভিন্ন সূত্রাবলী এবং ই-মনিটরিং

ক্লাস-০৬: ইন্টারনেট ও এর ব্যবহার, ইন্টারনেট সংযোগ, সার্চ ইঞ্জিন, ব্রাউজার, ইমেইল, ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল পাঠানো

ক্লাস-০৭: পাওয়ারপয়েন্ট কী ও এর সুবিধা, পাওয়ারপয়েন্ট ওপেন, সেভ, লেখা ছোট-বড় ও রংপরিবর্তন, স্লাইডে ছবি, শেপ, টেবিল, ভিডিও ইনশার্ট এবং অ্যানিমেশন

ক্লাস-০৮: ডিজিটাল কন্টেন্ট কী, ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব, বিবেচ্য বিষয় ও ব্যবহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইস্যু, সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম

ক্লাস-০৯: গ্রন্থাগার ও এর প্রকারভেদ, গ্রন্থাগারের গুরুত্ব, গ্রন্থাগার এবং সংযোজন রেজিস্ট্রার ব্যবহারবিধি

ক্লাস-১০: গ্রন্থাগার স্টক টেকিং, ক্যাটালগ, আদর্শ গ্রন্থাগারের বিধিবিধান, ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি


11May2020

অধ্যায়-০১; সেকশন: ১.২> তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে মৌলিক দক্ষতা: ওয়ার্ড প্রসেসিং

ক্লাস-০৪: মাইক্রোসফ্‌ট ওয়ার্ড ও এর ব্যবহার, ফাইল ওপেন ও সেভ, লেখা কপি, কাট ও পেস্ট করা, হাইপারলিংক, পেইজ সেট আপ এবং প্রিন্ট করার নিয়ম

ক্লাসের আলোচিত বিষয়:

  • মাইক্রোসফ্‌ট ওয়ার্ড অফিস কী? মাইক্রোসফ্‌ট অফিসের ৪টি অ্যাপ্লিকেশনের নাম লিখুন।
  • এম.এস ওয়ার্ড দিয়ে কী কী ওয়ার্ড প্রসেস করা যায় তা লিখুন। অথবা, মাইক্রোসফ্‌ট ওয়ার্ড ব্যবহারের সুবিধা লিখুন।
  • MS word প্রোগ্রাম খোলার নিয়ম বর্ণনা করুন।
  • Save, Cut, Copy, Paste Hyperlink কী?
  • মাইক্রোসফ্‌ট ওয়ার্ড বা পাওয়ারপয়েন্ট প্রোগ্রামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে শর্টকাট কী-বোর্ড কমান্ড লিখুন।
  • MS Word এ পেইজ সেট আপ এর প্রক্রিয়াগত কার্যাবলীর বর্ননা দিন। অথবা, কম্পিউটার কার্যক্রমে কিভাবে page setup করতে হয়।
  • কম্পিউটারে প্রিন্ট করার প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করুন।
[…]
10May2020

অধ্যায়-০১:আইসিটি; সেকশন: ১.১> তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) পরিচিতি, তথ্য প্রযুক্তি সাক্ষরতা

ক্লাস-০৩: কম্পিউটার পরিচিতি, ফোল্ডার ও ফাইল তৈরি, কপি, ডিলিট ও পুনরুদ্ধার পদ্ধতি

ক্লাসের  আলোচিত বিষয়:

  • ফোল্ডার কী?
  • ডেস্কটপে বা যেকোন ড্রাইভে নতুন ফোল্ডার তৈরির ধাপ লিখুন।
  • ফাইল কী?
  • ডেস্কটপে একটি নতুন ফাইল তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করুন।
  • এক ফোল্ডার থেকে অন্য ফোল্ডারে ফাইল বা ফোল্ডার কপি করার নিয়ম লিখুন।
  • ডেস্কটপ থেকে ফোল্ডার বা ফাইল মুছে ফেলার নিয়ম লিখুন।
  • ফাইল বা ফোল্ডার স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা পদ্ধতি লিখুন।
  • ফাইল বা ফোল্ডার স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা পদ্ধতি লিখুন।
  • মুছে ফেলা ফাইল বা ফোল্ডার পুনরুদ্ধার করার পদ্ধতি লিখুন।
  • পেন ড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভে বা পোর্টেবল হার্ড ডিস্কে তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি লিখুন।
  • ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস কী?  এই সার্ভিসে কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়?
  • ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস ব্যবহারের সুবিধা লিখুন।
[…]
9May2020

অধ্যায়-০১: আইসিটি; সেকশন: ১.১> তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) পরিচিতি, তথ্য প্রযুক্তি সাক্ষরতা

ক্লাস-০২: কম্পিউটার কী এবং এর বিভিন্ন অংশ, সিপিইউ, আইসিটি ডিভাইস, হার্ডওয়্যার, সফট্‌ওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার, কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করা।

ক্লাসের  আলোচিত বিষয়:

  • কম্পিউটার কী? একটি কম্পিউটারের কয়টি অংশ ও কী কী?
  • সিপিইও কী? মাইক্রেপ্রসেসর কয় ভাগে বিভক্ত ও কী কী?
  • ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের নাম লিখুন।
  • হার্ডওয়্যার কী? গুরুত্বপূর্ণ কতকগুলো হার্ডওয়্যারের নাম লিখুন।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডিভাইসসমূহের নাম লিখুন।
  • সফটওয়্যার কী? সফট্‌ওয়্যার কয় প্রকার ও কী কী?
  • অপারেটিং সিস্টেম কী?
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কী?
  • কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করার পদ্ধতি লিখুন।
[…]

Ad

error: Content is protected !!