বাংলা (পিকে) Archives - Proshikkhon

Category "বাংলা (পিকে)"

20May2021

How to write Bangla Lesson Plan-Sample-01

   শিক্ষক পরিচিতিপাঠ পরিচিতি
প রি চি তিনামঃ বিন্দিয়া পাল
পরিচিতি মানঃ ———–
ডিপিএড শিক্ষার্থী,
———————
শ্রেণিঃ প্রথম
বিষয়ঃ বাংলা পাঠঃ ৩২
পাঠ্যাংশঃ আ-কার চিহ্ন যুক্ত শব্দ ও বাক্য শোনা ও বলা
পৃষ্ঠা নং: ৪৪ সময়ঃ ৪০ মিনিট
তারিখঃ —————-
[…]
14Oct2020

পাঠ-৭.০: শেখানোর জন্য পরিকল্পনা

১. বাংলা বিষয়ের বেসলাইন ছক পূরণের নিয়মাবলী আলোচনা করুন।

বেসলাইন ছক পূরণের নিয়মাবলী: প্রথম শ্রেণির জন্য

সাবলীলভাবে পড়তে পারে :

‘কার’ চিহ্নবিহীন শব্দ (গম, বই, কলম, কলস, খই) নিজে নিজে পড়তে পারলে এ ঘরে টিকচিহ্ন ( √) দিতে হবে।

শিক্ষকের আংশিক সাহায্যে পড়তে পারে :

শিক্ষার্থী শিক্ষকের আংশিক সহায়তায় শব্দস্থিত বর্গগুলাে চিনতে ও তার ধ্বনি অনুযায়ী পড়তে পারলে শিক্ষক এ কলামে টিকচিহ্ন (√) দেবেন।

সম্পূর্ণ সাহায্যে পড়তে পারে :

শিক্ষার্থীনের কমপক্ষে দুই ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে নিম্নোক্ত কলামটি ব্যবহার করবেন:

১। কিছু বর্ণ পড়তে পারে : পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পঠিত বা বর্ণ চিনে উচ্চারণ করতে পারে।

২। শিক্ষার্থী কিছু বর্ণ চিনলেও কিছু বর্ণ শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়ে।

বেসলাইন ছক পূরণের নিয়মাবলী: দ্বিতীয় ও তদূর্ধ্ব শ্রেণির জন্য :

সাবলীলভাবে পড়তে পারে:

শিক্ষার্থী যে শ্রেণিতে পড়ে তার পূর্ববর্তী শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও পাঠসামগ্রী অথবা এর আলোকে শিক্ষক প্রণীত পঠন উপকরণ পড়তে পারলে এ কলামে টিকচিহ্ন (√) দিতে হবে। শিক্ষকের আংশিক সাহায্যে পড়তে পারে : শিক্ষার্থী যদি তার পূর্ববর্তী শ্রেণির উপযােগী পঠনসামগ্রী বানান করে, যুক্তবর্ণ ও দীর্ঘ শব্দ, বিরাম  চিহ্ন নিজে নিজে পড়তে না পারে, কিন্ত শিক্ষকের সামান্য সাহায্যে পড়তে পারে, তবে এ কলামে টিকচিহ্ন (√)দিতে হবে।

সম্পূর্ণ সাহায্যে পড়তে পারে :

শিক্ষার্থীর কমপক্ষে চার ধরনের সমস্যা চিহ্নিতকরণে কলামটি ব্যবহৃত হয়। যেমন-

১)  শিক্ষার্থী কিছু শব্দ পড়তে পারে : শিক্ষার্থী যুক্তবর্ণহীন কিংবা যুক্তবর্ণ বিশিষ্ট কোনাে কোনাে শব্দ পড়ার ক্ষেত্রে ঐ শব্দের ধ্বনিগত ধারণা প্রয়োগ করতে সক্ষম হয় না।

২) বানান করে পড়ে : এ পঠনে শিক্ষার্থীরা শব্দের বানান করে না পড়লে ধ্বনি বুঝতে পারে না।

৩) কিছু বর্ণ পড়তে পারে : এ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পূর্বে পঠিত বা চেনা শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় কতিপয় বহুল প্রচলিত শব্দ বা দেখা শব্দ যেমন : মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন ইত্যাদি শব্দ পড়তে পারে বা শনাক্ত করতে পারে।

৪) কিছু কার চিহ্ন চেনে : এ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ‘কার চিহ্ন চিনতে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে কারচিহ্ন যুক্ত করলে তার কী উচ্চারণ হবে তা বুঝতে ও বলতে পারে না। এ সম্পর্কিত বিষয়ে, কলামে চারটি সাব কলাম বয়েছে। এ সব সাব কলামের যে যে ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে সে সব সাব কলাম টিকচিহ্ন (√) দিতে হবে এবং অন্যসব কলামে ক্রস (×) চিহ্ন দিতে হবে।

২. পাক্ষিক পাঠ পরিকল্পনা কী? পাক্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য কী কী কার্যক্রম পরিচালিত হয়? আলােচনা করন ।

একটি শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর  মেধা যেমন এক নয় তেমনি তাদের শিখন দক্ষতা অর্জনেও তারতম্য রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্ণীত  শিখন চাহিদার স্তর অনুযায়ী শিখন-শেখানাে কাজ পরিচালনার জন্য শিক্ষক একটি নির্দিষ্ট মেয়াদী কাজের জন্য পরিকল্পনাগ্রহণ করে  থাকেন। শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ দিনের নির্ধারিত পাঠসমূহের ভিত্তিতে কাজ ও উপকরণ নির্ধারণ করে শিক্ষক যে পরিকল্পনা কর থাকেন  তাকেই পাক্ষিক পাঠ পরিকল্পনা বলা হয়।

পাক্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নে অনুসরণীয় কার্যক্রম :

১ । একটি পাক্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তকের একাধিক গল্প প্রবন্ধ/ছড়া/কবিতা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

২। শিক্ষার্থীদের সামর্থ্যের ভিত্তিতে দল গঠন করে তার সাপেক্ষে কী শিখবে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৩। এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলােকে শিখনফলের মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ণীত বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা কী শিখবে তা লিপিবদ্ধ করতে  হবে।

৪। শিক্ষার্থীদের সামর্থ্যের নিরিখে একটি বিশেষ শ্রেণির সাধারণ মানে তাদের উন্নত করতে যে যে কৌশল প্রয়োগ করে শিখন শিখানাে কাজ পরিকল্পনা করা হবে সেসব লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৫। সকল ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের অভীষ্ট যোগ্যতা শিখনফল অর্জনের জন্য প্রয়ােজন উপযুক্ত উপকরণ। শিখন শিখানাে সকল উপকরণের নাম লিতে হবে নির্ধারিত কলামে।

৬। প্রযুক্তি শিখন-শিখানাে কার্যাবলিতে শিক্ষার্থী যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে প্রত্যাশা করা হয় তা লিপিবদ্ধ করতে হবে

৭। যে যােগ্যতা বা শিখনফলের আলােকে শিখন শেখানাে কাজ পরিচালিত হয়েছে তা শিশুর শিখনে কতটুকুপ্রতিফলিত হয়েছে  মূল্যায়নের মাধ্যমে জানা সম্ভব। এ জন্য যে যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে তা সর্বশেষ কলামে লিখতে হবে।

৩. দৈনিক পাঠ পরিকল্পনা কী? এর মাধ্যমে একজন শিক্ষক কোন ধরনের সুফল লাভ করবে তা চিহ্নিত করুন।

যেকোনাে কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য কার্যকর পরিকল্পনার প্রয়ােজন হয়। পাঠদান মূলত একটি জটিল কাজ ।শ্রেণিকক্ষে শিখন-শিখানাে কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে ও ফলদায়কভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিদিনের জন্য পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নের গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।পরিকল্পনা করা হলে শিক্ষার্থীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিষয় ও শ্রণিঘণ্টা, শিক্ষার্থীদের কতটা সময় দেয়া হবে একটি দৈনিক কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে এসব বিবেচনায় রাখতে হয় ।পাঠদানের ফলে শিশুরা  কী দক্ষতা অর্জন করবে, পাঠ সংশ্লিষ্ট কী কী উপকরণ হবে, শিক্ষার্থীরা কী ধরনের প্রশ্ন করতে পারে ইত্যাদি বিষয় শিক্ষককে  পূর্বেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। পাঠ পরিকল্পনায় শিশুরা কী যোগ্যতা অর্জন করবে ঐ যােগ্যতা অর্জন করার জন্য শিক্ষক কী কী উপকরণ ব্যবহার করবেন, শিখনফল অর্জন করানাের জন্য কোন বিশেষ পদ্ধতি শিক্ষকগণ ব্যবহার করবেন তার উল্লেখ থাকতে হবেপাঠ পরিকল্পনায়। তাই বলা যায় শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানাে কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে ও সঠিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পাঠ পরিকল্পনা  প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর মাধ্যমে শিক্ষক

১. প্রতিটি শিশুর পাঠগত অবস্থান জানতে পারেন।

২. প্রতিটি শিশুর পাঠগত অবস্থানের ভিত্তিতে পাঠ পরিচালনা করতে পারেন

 ৩, শ্রেণীকক্ষে Activity Based Learning (ABL) পরিচালনা করতে পারেন।

8. প্রতিদিন সরাসরি শিশুর পঠন (are to are) শুনতে পারেন।

৫. প্রতিটি শিশুকে তার নিজস্ব গতিতে দক্ষতা অনুযায়ী নানা উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন।

৬. ছােট দলে শিক্ষার্থীর পাঠগত অবস্থান অনুযায়ী নানা উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন।

৭. নির্ধারিত কাজের শেষে শিশুদের সামনে গল্পের বই পড়ার সুযােগ দিতে পারেন ।

৮. শিশুদের শ্রেণিভিত্তিক যােগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করার সুযোগ লাভ করবেন।

৪. দৈনিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুদের শিখন-শিখানাে কার্যাবলিতে আপনি একজন শিক্ষক  হিসেবে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ?

একজন শিক্ষক হিসেবে শিশুদের শিখন-শিখানাে কার্যাবলি পরিচালনায় আমি নিম্নলিখিত কার্যাবলী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো:

১. পাঠ সংশ্লিষ্ট ছবিটি শ্রেণির এমন স্থানে টাঙিয়ে দেবো যে সকল শিক্ষার্থী তা দেখতে পায়। ছবির বিষয় নিয়ে পাশে জনের সাথে আলােচনা করে ছবির বিষয়বস্তু বলতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করব। প্রসঙ্গ টেনে আজকের পাঠ ঘোষণা করব।

২. শিক্ষার্থীদের মনােযােগ আকর্ষণ করে পাঠ্যাংশটুকু ২/৩ বার পড়ে শােনাব। পড়ার সময় পাঠের অন্তর্গত বিশেষ শব্দের  (পােহাচ্ছেন, মিষ্টি) উচ্চারণ অনুশীলনী করানােসহ বানান ভেঙে দেখাবাে ও অর্থ সম্পর্কে ধারণা দেব।

 ৩. শিক্ষার্থীদের আঙ্গুল দিয়ে শব্দ ধরে ধরে ২/৩ বার আমার সাথে সমস্বরে পড়তে সহায়তা করব।

৪. পড়ার সময় চরিত্র অনুযায়ী গলার স্বর পরিবর্তন করে পড়তে সহায়তা করব।

৫. এরপর নীল দলকে শব্দের অর্থ জেনে শব্দটির পাঠে প্রদত্ত বাক্য পড়তে ও লিখতে দেব। সবুজ দলকে পাঠ্যাংশটি পড়তে দিব। নতুন শব্দের অর্থ নিজে পড়তে ও লিখতে দেব এবং শব্দ দিয়ে একাধিক বাক্য পড়তে দেব। আর হলুদ দলকে বর্ণ চেনানো, বর্ণ লেখা, শব্দ পড়তে সহায়তা করব।

৬. শ্রেণির অগ্রবর্তী দুজন শিক্ষার্থীকে শ্রেণির সামনে এনে একজনকে শরিফা ও অন্যজনকে নানার  ভূমিকায় অভিনয় করানোর ব্যবস্থাকরব।

৭. এ পর্যায়ে চরিত্র অনুযায়ী সংলাপ সঠিক করে দেব এবং কার পরে কে কীভাবে সংলাপ বলবে তা বুঝিয়ে দেব ।দুজনকে সামনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দেব যেন সকলে দেখতে ও শুনতে পায় ।

৮. অন্য শিক্ষার্থীদের অভিনয় শুনতে ও দেখতে আহ্বান জানিয়ে পাঠ্যাংশটুকু অভিনয় করে দেখাতে ঐ। দুজন নির্ধারিত শিক্ষার্থীকে সহায়তা করব। প্রয়ােজনে অভিনয় পুনরাবৃত্তি করাবো।

 ৯. এবার সবুজ দলের শিক্ষার্থীদের জোড়ায় ভাগ করব। প্রত্যেক দলের শিক্ষার্থীদের একজনকে শরিফা  ও অন্যজনকে নানার ভুমিকায় নির্বাচন করে দেন।

১০. পূর্বে প্রদর্শিত উপস্থাপনার ন্যায় অনুশীলন করতে বলব। পরে চরিত্রগুলাে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করে অনুশীলন করতে বলব ।

১১. শ্রেণিতে সকলের অভিনয়মূলক পড়া পরিদর্শন করব। প্রয়ােজনে সহায়তা দেব।

১২. এবার কয়েকটি দলকে শ্রেণির সামনে অভিনয় করে প্রদর্শন করতে বলব।

১৩. কার অভিনয় কেমন হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করব।

১৪. শিক্ষার্থীদের অভিনয়ের অনুশীলনীর সময় ছােট দলে শিক্ষার্থীদের এক মিনিট কাজ করাব।

১৫. এরপর ছােট দলের কাজ হিসেবে, শীতের সকাল’ এর পাঠ্যাংশ হতে সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ দেব। যেমন: সবুজ দলকে যুক্তবর্ণ বিশিষ্ট নতুন শব্দ তৈরি ও বাক্য গঠন বলা ও লেখার কাজ, নীল দলকে পাঠ থেকে বিশেষ শব্দ খুঁজে বের করা ও ঐ শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে দেয়ার কাজ এবং হলুদ দলের জন্য একই পাঠ থেকে বর্ণ চেনানো, বর্ণ লেখা, বানান করে পড়ার অনুশীলন করার কাজ দেব।

১৬. সকলের খাতা ও সম্পাদিত কাজের মূল্যায়ন করব।

৫. পাক্ষিক মূল্যায়ন কী? পাক্ষিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।

পাক্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিটি শিশুকে তার শিখন সামর্থ্য অনুযায়ী শিখন-শিখানাে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানো হয়।  এর ওপর ভিত্তি করে ১২টি ক্লাসের পর শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হয়। একেই বলা হয় পাক্ষিক মূল্যায়ন।  শিক্ষার্থীদের শনাক্তকৃত নতুন অবস্থান অনুযায়ী আবার  পরবর্তী পাক্ষিক পাঠ-পরিকল্পনা করা হয়।

পাক্ষিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া :

১। পাক্ষিক মূল্যায়নের সময় একজন শিক্ষক নির্ধারিত শিক্ষার বেসাইন মূল্যায়ন তথ্য সঙ্গে রাখবেন। শিক্ষার্থীদের যে সকল ক্ষেত্রে  শিখন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তার অগ্রগতির পরিমাণ সম্পর্কে নােট পড়াবেন।

২। পাক্ষিক মূল্যায়ন হবে শিখনফলের ওপর ভিন্তি করে। শিক্ষার্থীকে প্রথম ১/২ মাসের মধ্যেই নির্ধারিত শ্রেণীর সাধারণ মানে উন্নীত  করতে হবে।

৩ । প্রত্যেক পাক্ষিক পাঠ-পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২টি (বা ততােধিক ১৩টি) ক্লাসের পর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে।

৪। নির্ধারিত পুরাে সময় ধরেই (৪০ মিনিট) মূল্যায়ন কাজ চলমান রাখতে হবে ।

৫। শিক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন কাজ একাধিক দিন চলতে পারে।

৬। মূল্যায়নের সব শিক্ষক সুবিধা অনুযায়ী একজনকে/জুটিতে/ দলে ডেকে নিয়ে মূল্যায়ন করবেন।

৭। যে সকল শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকবে ক্লাস চলাকালীন যেদিন সে আসবে তার মূল্যায়ন করে নিতে হবে।

৮। সময় বিভাজন অনুযায়ী প্রথমেই শিক্ষক প্রত্যেক দলের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত কাজের নির্দেশনা দিয়ে দেবেন। ঐ দিন কোনো পড়া দিবেন না।

৯। রিডিং পড়ানাের মূল্যায়ন আলাদাভাবে করতে হবে না। কারণ শিক্ষক প্রতিদিন যে ১০ জন শিক্ষার্থীর ১ মিনিট রিডিং পড়ানোর  কাজ পরিচালনা করেন, সে সময় শিক্ষার্থীর রিডিং রেকর্ড খাতায় প্রত্যেক পাঠের পরিবর্তন, মান ও অগ্রগতি সম্পর্কে লিখে রাখেন।এর ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের দলেরও পরিবর্তন করে থাকেন। রিডিং পড়ানাের সময় পাক্ষিক মূল্যায়নে তিনি সেটিই ব্যাবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাই পাক্ষিক মূল্যায়নে রিডিং পড়ানোর জন্য আলাদা মূল্যায়নের প্রয়োজন থাকে না। 

১০। শিখনফল অর্জিত হলে টিক (√) এবং না হলে ক্রস (×) চিহ্ন দিতে হবে।

7Oct2020

পাঠ-৬.০: প্রাথমিক স্তরে বাংলা বিষয়ে যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়ন

১. ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন কি? এ ধরনের মূল্যায়নের জন্য সাধারণ নির্দেশনা বর্ণনা করুন।

শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির জন্য মূল্যায়ন অপরিহার্য। মূল্যায়ন হল শিক্ষাক্রম এবং শিখন শেখানোর প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা উপাদান। যা শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি বা অবস্থা নিরূপণের জন্য ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য বিষয়ের জন্য ও ভাষা দক্ষতার এবং নির্ধারিত শ্রেণীভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা আলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য শিখনফল তৈরি করা হয়েছে। এনসিটিবি প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সামষ্টিক মূল্যায়ন এর পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ মূল্যায়ন কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি সাধারণ নির্দেশনা ও প্রদান করা হয়েছে। এগুলো হলো-

১) ধারাবাহিক ও সামষ্টিক উভয় প্রকার মূল্যায়নে ভাষার চারটি দক্ষতা যেমন-শোনা, বলা, পড়া ও লেখা যাচাই করতে হবে।

২) পাঠ চলাকালে এই মূল্যায়ন চলবে।শিখন দুর্বলতা চিহ্নিত করে নিরাময়মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩) সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ মূল্যায়ন অব্যাহত থাকবে।

৪) নম্বর প্রদান মূল্যায়ন এর মূল উদ্দেশ্য নয়।

৫) ধারাবাহিক মূল্যায়ন এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুর পাঠের দুর্বল দিক চিহ্নিত করে নিরাময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬) পাঠের প্রকৃতি অনুযায়ী একই সঙ্গে শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে মনে করলে পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করব।

৭) সামষ্টিক মূল্যায়ন অবশ্যই আনুষ্ঠানিক হবে।

৮) সামষ্টিক মূল্যায়নের সময় পরীক্ষা চলাকালীন প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে শিক্ষক শোনাও বলার দক্ষতা মূল্যায়ন করবেন।

৯) সামষ্টিক মূল্যায়নের এনসিটিবির নির্দেশনা মোতাবেক শোনা,বলা ,পড়া ও লেখা দক্ষতার বিপরীতে পৃথক করে নম্বর বন্টন করতে হবে।

১০) প্রতি মাসে একবার করে প্রতি প্রান্তিকে অন্তত তিনবার ধারাবাহিক মূল্যায়ন ফলাফল সংরক্ষণ করতে হবে।

১১) ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন টুলস ও উদাহরণগুলো নমুনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

১২) মূল্যায়ন টুলস অবশ্যই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপযোগী হতে হবে।

১৩) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নমনীয় ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

১৪) একই সাথে একজন শিক্ষার্থীর বলা এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের শোনা মূল্যায়ন করলে সময় সাশ্রয় হবে।

২. প্রশ্ন প্রণয়ন করতে কোন কোন দিক বিবেচনা করতে হয়?

প্রশ্ন প্রণয়ন করার সময় নিম্নলিখিত দিক বিবেচনা করতে হয়:

* পঠিতব্য বিষয় এর ভিতর থেকে প্রশ্ন করতে হবে।

* শ্রেনিতে যে আলোকে পড়াবেন সেই আলোতেই প্রশ্ন করতে হবে।

* প্রশ্নের ধরণ এর সঙ্গে মান বন্টন এর সামঞ্জস্য থাকতে হবে।

* প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে সময় বন্টনের সামঞ্জস্য থাকতে হবে।

* প্রশ্নপত্রে বেশিরভাগ প্রশ্নই রচনাধর্মী হবে।

* প্রতিটি উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট মানবন্টন থাকবে।

* প্রশ্নমালা থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দানের সুযোগ থাকতে হবে।

৩) যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে আপনি কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?

যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়নে যেসব সমস্যা পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

* সব শিশুর কাছ থেকে একই রকম সফলতা পাওয়া যায় না।

* সোনা ও বলার দক্ষতা ক্ষেত্রে সবাই একইরকম সফলতা দেখায় না।

* পাঠ চলাকালে কালে কিংবা পাঠ শেষে মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর মনে ভীতির সঞ্চার হয়।

* লেখার চেয়ে মৌলিক মূল্যায়নে আউটপুট কম হয়।

৪. ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন কি?

ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া পাঠদানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ধারাবাহিক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ ব্যবধানে মূল্যায়ন না করে পাঠদানের সঙ্গে সঙ্গে এবং পাঠ শেষে মূল্যায়ন এর ব্যবস্থা করা হয়। সামষ্টিক মূল্যায়ন চলাকালীন প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে শিক্ষক শোনাও বলার দক্ষতা মূল্যায়ন করেন। অন্য কোন সময়ে এই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। এই মূল্যায়ন আনুষ্ঠানিক। এই মূল্যায়নে এই মূল্যায়নে এনসিটিবি’র নির্দেশনা মোতাবেক শোনা, বলা ,পড়া ও লেখা দক্ষতার বিপরীতে পৃথক করে নম্বর বন্টন করতে হয়।

৫. ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য কি ধরনের টুলস ব্যবহার করা যায়?

ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন সাধারণত ৩ ধরণের টুলস ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হলো:

১) মৌখিক: বর্ণ, শব্দ, বাক্য, তালিকা, শব্দ তালিকা।

২) পর্যবেক্ষণ: ছড়া আবৃতি।

৩) লিখিত: প্রশ্নপত্র বা চিত্র।

এমসিকিউ: সঠিক উত্তরটি খাতায় লিখুন

১. প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম-

ক) মূল্যায়ন ভিত্তিক

খ) যোগ্যতাভিত্তিক

গ) শ্রেণীভিত্তিক

ঘ) ফলাবর্তন ভিত্তিক

উত্তর: খ) যোগ্যতাভিত্তিক

২. শ্রেণীভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা গুলো অর্জনের জন্য রয়েছে-

ক) বিষয়বস্তু

খ) সারাংশ

গ) শিখনফল

ঘ) পাঠ পরিচিতি

উত্তর: গ) শিখনফল

৩. বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম হলো-

ক) যোগ্যতাভিত্তিক

খ) শ্রেণীভিত্তিক

গ) সৃজনশীল

ঘ) সংশ্লেষণ

উত্তর: ক) যোগ্যতাভিত্তিক

৪. জাতীয়ভাবে মূল্যায়নের ভিত্তি হওয়া উচিত-

ক) শ্রেণীভিত্তিক

খ) বিশ্লেষক

গ) সংশ্লেষক

ঘ) যোগ্যতাভিত্তিক

উত্তর: ঘ) যোগ্যতাভিত্তিক

৫.”বোর্ডের মাঝে মাঝে লেখ “এটি কোন ধরনের বাক্য?

ক) প্রশ্নবোধক

খ) অনুরোধ মুলক

গ) নিদের্শক

ঘ) আদেশ মূলক

উত্তর: গ) নির্দেশক

৬. ছড়া, কবিতা, রূপকথা, গল্প, কথোপকথন ,বর্ণনা কোন ধরনের প্রান্তিক যোগ্যতা?

ক) শোনা

খ) বলা

গ) পড়া

ঘ) লেখা

উত্তর: খ) বলা

৭. শিক্ষার্থীর শিখনের অগ্রগতি যাচাইয়ের জন্য কোনটি অপরিহার্য?

ক) পরীক্ষা

খ) অভীক্ষা

গ) মূল্যায়ন

ঘ) আবেগ সৃষ্টি

উত্তর: গ) মূল্যায়ন

৮. কোনটি মূল্যায়ন এর মূল উদ্দেশ্য নয়?

ক) পরীক্ষা

খ) নম্বর প্রদান

গ) প্রশ্ন করা

ঘ) গল্প বলা

উত্তর: খ) নম্বর প্রদান

৯. সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে অবশ্যই-

ক) আনুষ্ঠানিক

খ) অনানুষ্ঠানিক

গ) ধারাবাহিক

ঘ) যোগ্যতাভিত্তিক

উত্তর: ক) আনুষ্ঠানিক

১০. ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে অবশ্যই-

ক) শিখনফল ভিত্তিক

খ) শ্রেণীভিত্তিক

গ) যোগ্যতাভিত্তিক

ঘ) নম্বর ভিত্তিক

উত্তর: ক) শিখনফল ভিত্তিক

১১. শ্রেণীতে শিশু শিক্ষার্থী মনোযোগ ও ধৈর্য ধরে শুনছে কিনা-এটি মূল্যায়নে কোন ধরনের পদ্ধতি?

ক) মৌখিক

খ) লিখিত

গ) পর্যবেক্ষণ

ঘ) গতানুগতিক

উত্তর: গ) পর্যবেক্ষণ

১২. ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য কয়টি কৌশল অবলম্বন করা হয়?

ক) ২

খ) ৩

গ) ৪

ঘ) ৫

উত্তর: খ)৩

১৩. প্রমিত উচ্চারণে ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করা কোন শ্রেণীর প্রান্তিক যোগ্যতা?

ক) দ্বিতীয়

খ) তৃতীয়

গ) চতুর্থ

ঘ) পঞ্চম

উত্তর: খ) তৃতীয়

১৪. ছড়া ,কবিতা, গল্প ,কথোপকথন, বক্তৃতা ,বর্ণনা পড়ে ভুল বুঝতে পারা দক্ষতার কত নম্বর প্রান্তিক যোগ্যতা?

ক) ১

খ) ২

গ) ৩

ঘ) ৪

উত্তর: খ) ২

1Oct2020

অধ্যায়-০৫: শিখন-শেখানো কৌশল

আলোচ্য বিষয়:

১) ছবির গল্প পাঠে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানোর ক্ষেত্রে কোন কোন কৌশল অবলম্বন করবেন তা সম্পর্কে আলোচনা।

২) শিশুদের বর্ণ শেখাতে আপনি কোন কোন কৌশল অবলম্বন করবেন?

৩) ছড়া ও কবিতা শিখন- শেখানোর কৌশল বর্ণনা করুন।

৪) শিশুদের ই,ঈ বর্ণ শেখানোর কৌশল গুলো লিখুন।

৫) শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন কৌশল বর্ণনা করুন।

৬) শিশুদের মধ্যে ভাষা অর্জনের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় কেন?

৭) কীভাবে ছড়ার পাঠ মূল্যায়ন করবেন?

৮) শোনা ও বলার ক্ষেত্রে শিশুরা কিভাবে বাধার সম্মুখীন হয় তা বলুন।

১) ছবির গল্প পাঠে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানোর ক্ষেত্রে কোন কোন কৌশল অবলম্বন করবেন তা সম্পর্কে আলোচনা।

ছবিতে গল্প পাঠে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানোর ক্ষেত্রে করণীয়ঃ

প্রস্তুতি পর্যায়:

১. শ্রেণীতে প্রবেশ করে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করতে হবে।

২. এমন স্থানে বসতে বা দাঁড়াতে হবে যেন সকল শিক্ষার্থী দেখতে পায়।

৩. প্রথমে  শিক্ষককে আজকে গল্প শোনার আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে। প্রশ্ন হবে, যেমন-

[…]
1Oct2020

অধ্যায়-০৪: ভাষা দক্ষতার ধারণা ও বিকাশ

সেশন-৪.১: ভাষাদক্ষতা: শোনা

১. শিশুর ভাষা দক্ষতা বিকাশের স্তর কয়টি ও কি কি তা বর্ণনা করুন?

ভাষা একটি আচরণ ।জন্মের পর থেকে শিশুর নানা ধরনের আচরণের প্রকাশ ঘটতে থাকে। শিশুর জীবন বিকাশে কল্পনা, চিন্তন ও ভাষা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ।আর ভাষাই শিশুর কল্পনা ও চিন্তনকে সুস্পষ্ট করে। কেননা শিশু তার কল্পনা ও চিন্তাগুলোকে ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে। শিশুরা সাধারণত নানা বিষয় নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ ,আলোচনা ,বর্ণনা, যুক্তিতর্ক  ভাষার সাহায্যে করে থাকে।  ভাষা বিকাশের ক্ষেত্রে শিশু এক স্তর থেকে অন্য স্তরের দিকে ধাবিত হয়। শিশুর ভাষা দক্ষতা বিকাশের স্তর সাতটি নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো:

প্রথম স্তর: শিশুরা প্রথমত স্বরধ্বনি (আ,উ)ও পরে  ব্যঞ্জনধ্বনি  (দি, দা, মা)উচ্চারণ করে।এই নিছক অর্থহীন শব্দ বা আওয়াজগুলো শিশু পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে আয়ত্ত করে থাকে।

[…]
28Sep2020

অধ্যায়-০৩: প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা

১. বাংলা কোর্সে সন্নিবেশিত সাহিত্যধর্ম বিষয়বস্তুগুলো পড়ে কিভাবে আমরা সাহিত্যরস শিঞ্চন করবো এবং ভাষা দক্ষতার উন্নয়ন করতে পারি তা ব্যাখ্যা করুন।

বাংলা বিষয়ের বিষয়বস্তু মূলত কতগুলো সুনির্দিষ্ট বস্তুর উপর রচিত। এখন আমাদের জানা দরকার ভাববস্তু বলতে কি বুঝায়? ভাববস্তু হচ্ছে কোন লেখার মূল ধারণা। মূলত এ ধারণাকে কেন্দ্র করেই লেখাটির পরিকল্পনা করা হয়। ধরা যাক দেশপ্রেম একটি ভাববস্তু।

[…]
28Sep2020

অধ্যায়-০২: প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের শিক্ষাক্রমে বাংলা বিষয়

আজকের পাঠের আলোচ্যবিষয়:

  • বাংলা শিখন শেখানোর উদ্দেশ্য,
  • বাংলা বিষয়ের প্রান্তিক যোগ্যতা,
  • আবশ্যকীয় শিখনক্রম,
  • বিষয়বস্তুতে শিখনফলের প্রতিফলন

১. প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের বাংলা শিখন শেখানোর উদ্দেশ্য বর্ণনা করুন।

শিশু তার মাতৃভাষা অর্জন করা সহজাতভাবে।পারিবারিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে তা পরিপুষ্ট হয়। শিশুর শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা, স্বাচ্ছন্দ্য ও সাবলীলভাবে পড়া, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ভাবে লেখায় সাহায্য করা,শব্দ সম্ভার সমৃদ্ধ করা, বাক্য গঠনে তাকে দক্ষ করে তোলা- এ সবই ভাষা শিখন- শেখানোর সাথে সম্পর্কযুক্ত। শিক্ষাক্রমভিত্তিক ভাষা- শিক্ষা শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে আত্মপ্রকাশে এবং জীবন ও পরিবেশ উপলব্ধিতে সহায়তা করে। আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয় শেখার মাধ্যমে বাংলা। তাই বাংলা ভাষায় দক্ষতা অর্জন তার জীবনে ব্যবহারিক বিদ্যা সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের অনুকূল ভিত্তি প্রস্তুত করে দেয় একই সঙ্গে ভাষিক দক্ষতা শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যৎ জীবন গঠনে এবং স্বদেশ ও বিশ্ব, সমাজ ও সংস্কৃতি, সাহিত্য শিল্প ইত্যাদি সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে।

[…]
28Sep2020

আজকের পাঠের আলোচ্যবিষয়:

  • শিশুর ভাষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রের বিকাশ
  • শিক্ষণ ক্ষেত্র, ভাষা ও যোগাযোগ
  • সহায়ক শিখন সামগ্রী
  • শিখন-শেখানো প্রক্রিয়া
  • ভাষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রের উন্নয়ন
  • ভাষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রের উন্নয়নে শিক্ষকের করণীয়
  • শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন কৌশল

১. শিশুর ভাষা দক্ষতা বিকাশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

[…]

Ad

error: Content is protected !!