Case Study: Definition, purpose and characteristics
কেস স্টাডি কী?
‘Case’ হলো কোনো ঘটনা এবং ‘Study’ হলো অনুসন্ধান। সমস্যার ভেতর থেকে কোন একক ঘটনার গভীরভাবে অনুসন্ধান হলো কেস স্টাডি। একজন ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ ও সামগ্রিকভাবে ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমের তথ্য, যেমন সামাজিক, শারীরিক, জীবণীমূলক,পরিবেশগত, বৃত্তিগত ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করাকেই কেস স্টাডি বলে বা ব্যক্তি অধ্যয়ন বলে ।
বিভিন্ন অভীক্ষা এবং কৌশলের সাহায্যে ব্যক্তি সম্পর্কীয় সামগ্রিক তথ্যসংগ্রহ করাই হল কেস স্টাডি। অন্যান্য গবেষণা থেকে কেস স্টাডি গবেষণা পদ্ধতি একটু ভিন্ন ও ব্যতিক্রম। কেস স্টাডি লেখার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে কেস স্টাডি লিখতে হয়।
কেস স্টাডির সংজ্ঞা
P.V. Young (1987) বলেন,
“কেস স্টাডি হলো সামাজিক এককের জীবনধারা উদঘাটন ও বিশ্লেণের একটি পদ্ধতি। সেই একক একজন ব্যক্তি, একটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক দল বা গোটা সমষ্টি হতে পারে।”
G.R. Adam (1987) এর মতে-
“কেস স্টাডি একটি কিংবা স্বল্পসংখ্যক ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ অনুসন্ধানরত চলকসমূহের ধরন ও পরিমাণের উপর আলোকপাত করে এবং এ পদ্ধতি সর্বাত্মক ও গভীরতর অনুসন্ধানমূখী।”
কেস স্টাডি ও কেস হিস্ট্রির মধ্যে অনেক সময় বিভ্রান্তি দেখা দেয় । কোনো ব্যক্তির শারীরিক,সামাজিক ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত ইতিহাসকে কেস হিস্ট্রি (CASE HISTORY) বলে । এক্ষেত্রেও ব্যক্তির বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্য সংগ্রহ করা এবং তা অধ্যয়ন করা হয় । কিন্ত এই সকল তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তির বিকাশ সম্পর্কীয় কোনো মন্তব্য করা হয় না ।
কেস স্টাডিতে সমগ্র ব্যক্তি সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করা হয়, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব কীভাবে গড়ে উঠেছে তার ব্যাখ্যা করা হয় এবং বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে পরামর্শদাতা তার উন্নত অভিযোজনে পরামর্শ দেন।
কেস স্টাডির উদ্দেশ্য:
১। কেস স্টাডির অন্যতম উদ্দেশ্য হল ব্যাক্তির/ শিক্ষাথীর উন্নত অভিযোজন।
২। ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশকে সার্থক করে তোলা।
৩। ব্যক্তির বা শিক্ষার্থীর সমস্যা কোন ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ প্রদান বা সমস্যা সমাধান।
৪। প্রত্যেকের সমস্যা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা এবং আলাদাভাবেন সমাধান করা। ৫| কেস স্টাডি করে শিক্ষাথীর ঝরে পড়া রোধ করা।
৬। সমস্যাগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য কেস স্টাডি করা ।
কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য:
- কেস স্টাডি সাধারণত একজন শিক্ষার্থী বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়,
- ব্যক্তিগত, সামাজিক, শারীরিক, জীবনীমূলক, পরিবেশগত, বৃত্তিগত তথ্য থাকবে।
- একজন ব্যক্তি বা শিক্ষাথীর যাবতীয় দিকগুলো থাকবে।
- সবল দিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ থাকবে।
- সম্ভাব্য সব রকম উৎস থেকে তথ্য সংগহ করা।
- নির্ভুল তথ্য থাকবে।
- নির্দিষ্ট কোন সমস্যা নির্ভর হবে।
- সমস্যা ও সমস্যার উৎস চিহ্নিত করা থাকবে।
- আদর্শমানের সাথে তুলনা করে তথ্য থাকবে।
- কোন একক ঘটনা গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করা
কেস স্টাাডর আদ্যোপান্ত (নমুনাসহ) জানতে নীচের ভিডিও লিংকটিকে প্রেস করুন