পরিপত্র

নৈতিকতা ও শিষ্টাচার

নৈতিকতা ও শিষ্টাচার

Morality and Etiquette

মানব সমাজে নৈতিকতা ও শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলোর সহিত একজন ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা জড়িত থাকে অপরদিকে শিষ্টাচার না থাকলে সামাজিক অবস্থান ক্ষুন্ন হয়। আর চাকুরি ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও শিষ্টাচার মেনে চলতে হয় অন্যথায় চাকুরিগত জটিলতায় পড়তে হয়। নিম্নে ভদ্রতা, নৈতিকতা ও শিষ্টাচার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

ভদ্রতা

ভদ্রতা (Politeness, Courtesy, Goodness, Gentlemanliness) ভদ্রতা মানুষের কিছু আচরণের সমষ্টি বা আচার-ব্যবহারের এমন একটা রূপ বা এমন কোন কর্মপদ্ধতি, যা সমাজ সাধারণত স্বীকৃতি দেয়।

নৈতিকতা

ল্যাটিন শব্দ ‘মোরালিটাস’ থেকে নৈতিকতা (Morality) শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে যার অর্থ সঠিক আচরণ হল ভাল বা সঠিক এবং খারাপ বা ভুল বিষয়সমূহের মাঝে পার্থক্য ও পৃথকিকরণ। বাংলা ‘নীতি’ শব্দ হতে ‘নৈতিকতা’ শব্দটির উদ্ভব। ‘নীতি’ অর্থ কোন সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক নির্ধারিত আইন বা নিয়ম-কানুন। নৈতিকতার সাধারণ অর্থ সততা বা ন্যায়পরায়ণতা। নৈতিকতাকে একটি আদর্শিক মানদন্ড বলা যেতে পারে যা বিভিন্ন অঞ্চলের সামাজিকতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্ম প্রভৃতির মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।

অনেক ক্ষেত্রে, সামগ্রিকভাবে সমগ্র পৃথিবীর জন্য কল্যাণকর বিষয়সমূহকেও নৈতিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। অর্থাৎ সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নিষ্ঠা ও। শৃঙ্খলাবোধ-এর সমন্বিত গুণটির নাম হচ্ছে নৈতিকতা। নৈতিকতা অনুধাবনের বিষয় যাকে ধরা, ছোঁয়া কিংবা পরিমাপ করা যায় না।

নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা

  • ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে।
  • নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে।

শিষ্টাচার (Etiquette)

ইংরেজি ‘Etiquette’ শব্দটির বাংলা অর্থ করা হয় শিষ্টাচার। Oxford Advanced Learner’s Dictionary একে সংজ্ঞায়িত করেছে এভাবে ‘The formal standards or rules of correct and polite behavior in society or among members of profession.’  

প্রচলিত অর্থে শিষ্টাচার বলতে আদব কায়দা, নম্র আচরণকে বুঝায়। মূলত: ভদ্র ও মার্জিত আচরণই শিষ্টাচার। তবে এটি সময় ও স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। শিষ্টাচার মানুষকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠতে সাহায্য করে।

শিষ্টাচারের প্রকারভেদ

শিষ্টাচারকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. সামাজিক শিষ্টাচার এবং

২. দাপ্তরিক শিষ্টাচার।

শিষ্টাচারের ক্ষেত্রসমূহ

  • সামাজিক শিষ্টাচার
  • দাপ্তরিক শিষ্টাচার
  • মিটিং বা সভার শিষ্টাচার
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচার
  • সহকর্মীদের সাথে শিষ্টাচার
  • কথাবার্তায় শিষ্টাচার
  • পোশাক পরিচ্ছদে শিষ্টাচার
  • ভ্রমণকালীন শিষ্টাচার
  • টেলিফোনে শিষ্টাচার
  • পত্র লিখনে শিষ্টাচার
  • অনুষ্ঠানাদিতে শিষ্টাচার
  • খাবার টেবিলে শিষ্টাচার।

সামাজিক শিষ্টাচার

  • সময়মত যেকোন অনুষ্ঠানে যাওয়া।
  • অসময়ে কারও বাসায় ফোন না করা।
  • হুট করে কারও বাসায় না যাওয়া।
  • গুরুজন ও মুরব্বীদের সম্মান করা।
  • ছোটদের সাথে স্নেহাস্পদ আচরণ করা।
  • প্রতিবেশিদের সাথে ভাল আচরণ করা।
  • অভ্যাগতদের সাথে ভাল আচরণ করা।
  • মেহমানদের সাথে ভাল আচরণ করা।
  • কোন অনুষ্ঠানে গেলে শালীন ও শোভন পোশাক যাওয়া।
  • সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ প্রদান।
  • হোটেল-রেস্টুরেন্টে গেলে ভদ্র, নম্র ও শালীন ব্যবহার করা।
  • বাসে ট্রেনে ভ্রমণকালে নারী ও মুরব্বিদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচার :

  • বে-নামে ফেসবুক একাউন্ট না খোলা।
  • নিজের নাম পরিবর্তন করে আইডি না খোলা। যেমন - ভোরের পাখি, ভালো থেকো।
  • সরকারী কর্মচারী হিসাবে সরকার বিরোধী কোন মন্তব্য না করা।
  • অযাচিত মন্তব্য না করা।
  • অফিসিয়ালি কাউকে হেয় না করা।
  • ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোন পোস্ট না করা।
  • ব্যক্তিগত আক্রোশ বা অনাকাংখিত পোস্ট না দেয়া।
  • অহেতুক কাউকে ট্যাগ না করা।

দাপ্তরিক কাজে শিষ্টাচার :

সরকারি, বেসরকারি বা যেকোন দপ্তরে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে। পালনীয় আচরণসমূহকে দাপ্তরিক শিষ্টাচার বলে।

  • চাকুরীর বিধি-বিধান মেনে চলা
  • সময়মত অফিসে আসা ও নির্ধারিত সময়ের আগে
  • সময়ের কাজ সময়ে করা
  • কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ পালন করা
  • সিনিয়রদের প্রতি বিনয়ী আচরণ করা
  • মুদ্রাদোষ পরিহার করা
  • অতিরিক্ত কথা বলা হতে বিরত থাকা
  • অফিস ত্যাগ না করা।
  • অন্যের কক্ষে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ না করা
  • অফিসে অহেতুক গল্প-গুজব না করা
  • আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা পরিহার করা
  • নির্ধারিত স্থান ব্যতীত যেখানে সেখানে ধুমপান না করা
  • ঝগড়া বিবাদ হতে বিরত থাকা।
  • উধর্তন কর্মকর্তার সামনে আগ বাড়িয়ে কথা না বলা।
  • ব্যক্তিগত সমস্যা অফিসে না বলা
  • অন্য অফিসের কেউ আসলে তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা
  • হাত মিলানোর সময় সিনিয়র হাত না বাড়ালে
  • জুনিয়র আগে হাত না বাড়ানো।
  • নাক/কান খোঁচানো বা নখ না কাটা।
  • পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনদের অফিসে না আনা।
  • উধর্তন কর্মকর্তা আপনার দোষ ধরলে তাকে মেজাজ দেখাবেন না।
  • সিনিয়রদের সাথে কথা বলার সময় পকেটে হাত ঢুকিয়ে না রাখা।
  • কোন ব্যক্তিবিশেষ এর প্রতি অতিরিক্ত পছন্দ বা অপছন্দ প্রদর্শন না করা।
  • আত্ম প্রচারণা হতে বিরত থাকা।
  • তোষামোদি আচরণ পরিহার করা
  • স্বজনপ্রীতি দেখাবেন না
  • সবকিছুতেই দোষ ধরা হতে বিরত থাকা।
  • অযথা বকাবকি কিংবা চিকার চেঁচামেচি হতে বিরত থাকা
  • অধস্তন কর্মচারীদের অভিসম্পাত না করা
  • অধস্তনদের সাথে অতিমাত্রায় সহজ বা কঠোর না হওয়া
  • শান্তভাবে অথচ দৃঢ়তার সাথে আদেশ করা
  • নিজ অক্ষমতার কথা সকলকে না বলে বেড়াননা
  • না চাইতে কোথাও কখনও মতামত প্রকাশ না করা
  • বাইরের কারও সাথে আপনার অফিসের বিষয় আলোচনা হতে বিরত থাকুন।
  • চাকুরীর বিষয়ে বাড়িতে আলাপ-আলোচনা হতে বিরত থাকা
  • আইনতঃ প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা হতে কাউকে বঞ্চিত না করা।
  • চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা।
  • নিজের যোগ্যতা প্রমাণে বাড়াবাড়ি হতে বিরত থাকা।
  • অধস্তনদের তিক্ত বা বিদ্রুপাত্মক শব্দ বা গালি না দেওয়া।
  • মনোযোগ দিয়ে সকলের কথা শুনা।

মিটিং বা সভার শিষ্টাচার

  • সময়মত সভায় উপস্থিত হওয়া
  • সভার বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে আসা
  • শারীরিক ও মানসিকভাবে সভায় উপস্থিত থাকা
  • মুক্তমনে সভার আলোচনা শ্রবণ করা
  • সভাপতির অনুমতি নিয়ে কথা বলা
  • সময়ের দিকে খেয়াল রেখে আলোচনা করা
  • আলোচনায় অংশগ্রহণ করা
  • যুক্তি সহকারে বক্তব্য উপস্থাপন করা।
  • কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন না করা
  • আলোচনার নোট নেয়া
  • মিটিংয়ে চা নাস্তা পরিবেশিত হলে সাথে সাথেই খাওয়া শুরু না করা।
  • ভেবে-চিন্তে কথা বলা
  • শুধুমাত্র সমস্যা নয় সমাধানের কথাও বলা
  • মিটিং-এ যথাসম্ভব মোবাইল কথা না বলা
  • বসা অবস্থায় কলম, চাবির রিং নাড়াচাড়া না করা
  • সভা চলাকালীন সময়ে যেকোন পানাহার থেকে বিরত থাকা

সহকর্মীদের সাথে শিষ্টাচার

  • সিনিয়রদের সম্মান প্রদর্শন
  • জুনিয়রদের প্রতি স্নেহাস্পদ আচরণ করা
  • নারী সহকর্মীদের সাথে শালীন আচরণ করা
  • সমপর্যায়ের সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা পোষণ করা
  • কোন সাহায্যের জন্য ‘প্লিজ’ বলে অনুরোধ করা
  • একে অপরকে সম্মান করা
  • কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ধন্যবাদ জানানো
  • অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা না রটানো
  • পরস্পরকে সহায়তা করা
  • কাউকে মন্দ নামে না ডাকা
  • অতিরিক্ত ঠাট্টা-মশকরা হতে বিরত থাকা।

কথাবার্তায় শিষ্টাচার

  • উর্দ্ধতন কর্মকর্তা/কর্মচারীর কথায় ভুল না ধরা।
  • অধঃ স্তন কর্মচারীদের কথায় কথায় ক্রটি আবিষ্কার না করা।
  • উচ্চারণ পরিষ্কার, বাচনভঙ্গি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হওয়া।
  • ত্রুটিপূর্ণ তথ্য পরিবেশন না করা।
  • অপ্রয়োজনীয় কথা বর্জন করা।
  • অধঃস্তন কর্মচারীদের সাথে সহানুভূতির সঙ্গে কথা বলা।
  • পরনিন্দা পরিহার করা।
  • প্রথম পরিচয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি আগন্তকের পরিচয় জিজ্ঞাসা না করা।
  • প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়ে আগন্তকের পরিচয় জানতে চাওয়া।
  • নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলা পরিহার করা।

পোশাক পরিচ্ছদে শিষ্টাচার

  • ড্রেসকোড মেনে কীভাবে পোশাক পরিচ্ছদ পরিধান করা।
  • পোশাক-পরিচ্ছেদ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
  • পুরুষদের টাইসহ স্যুট, মোজাসহ জুতা
  • মহিলাদের শাড়ী (রুচিশীল, মার্জিত ও ব্যক্তিত্ব যাতে বজায় থাকে)
  • হালকা বা মার্জিত রঙের কাপড় পরিধান করা।
  • শেভ করা বা দাড়ি রাখলে তা পরিপাটি রাখা
  • মুখের দুর্গত হতে মুক্ত থাকা
  • উৎকট গন্ধযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা
  • জুতার ফিতা থাকলে তা ঠিকমত বাঁধতে হবে

পোশাক সম্পর্কে যা বর্জনীয়

  • অপরিচ্ছন্ন বা দুমড়ানো-মুচড়ানো পোশাক পরা।
  • চপ্পল, স্যান্ডেল বা মোজা ছাড়া জুতা পরা।
  • পায়জামা-পাঞ্জাবী পরে/পরিধান করে অফিসে আসা (পায়জামা-পাঞ্জাবী পরলে আচকান পরতে হবে)।
  • খেয়াল খুশি মত রং চং এর পোশাক পরা।
  • ফুলহাতা শার্টের আস্তিন গুটানো ।
  • শার্টের বুকের উপরের দিকের বেতাম এমনভাবে খোলা রাখা যাতে গেঞ্জি বা বুকের অংশ বিশেষ দেখা যায়।

ভ্রমণকালীন শিষ্টাচার

  • ভ্রমণকালে অন্যের বিরক্তি উদ্রেককারী আচরণ থেকে বিরত থাকা
  • ভ্রমণকালে কাউকে আসন থেকে তুলে দিয়ে নিজে আসন গ্রহণ না করা
  • উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সম্মানে আসন ছেড়ে দেয়া ।
  • উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে হাটলে কখনও অগ্রবর্তী না হয়ে পেছনে বা পাশাপাশি হাটা। এ সময় হাত যাতে অত্যধিক না দোলে সেদিকে খেয়াল রাখা।

টেলিফোনে শিষ্টাচার

  • সালাম দিয়ে কথা শুরু করা।
  • টেলিফোনে শুরুতেই নিজের পরিচয় দেওয়া
  • ভুল নম্বরে ফোন গেলে বা ভুল নম্বর থেকে ফোন আসলে Sorry বলা
  • টেলিফোন রাখা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ফোন এলে বা তাঁর নিকট ফোন করলে তিনি যতক্ষণ লাইন বিচ্ছিন্ন না করেন ততক্ষণ ফোন না রাখা
  • আলাপ সংক্ষিপ্ত করা
  • ধৈর্য সহকারে বক্তব্য শ্রবণ এবং বিরক্ত প্রকাশ করে কথা না বলা
  • ফোনে কথা বলা অবস্থায় খাবার না খাওয়া
  • মিসড কল বা মেসেজের প্রতিউত্তর দেওয়া
  • উত্তেজিত হয়ে কথা না বলা।

পত্র লিখনে শিষ্টাচার

  • ঊর্ধ্বতনদের কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র লিখার ক্ষেত্রে যথাযথ সম্মান ও বিনয় প্রকাশ করা।
  • বক্তব্য সুস্পষ্ট ও স্ব-ব্যাখ্যায়িত হওয়া।
  • অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য, তোষামোদ কিংবা ভুল তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকা।

অনুষ্ঠানাদিতে শিষ্টাচার

  • সরকারি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কথাবার্তা, ব্যবহার ও বেশভূষায় মার্জিত রুচি ও শালীনতাবোধের পরিচয় দেওয়া।
  • এগিয়ে গিয়ে সবার সঙ্গে নিজের পদবীসহ নাম বলে সৌজন্য বিনিময়, পরিচয় ও আলাপ করা।
  • স্ব-স্ব পদমর্যাদা সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকা।
  • মহিলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।
  • উর্দ্ধতন, অধঃস্তন বা সহকর্মীগণের স্ত্রীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।
  • প্রয়োজন নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে বসার সুযোগ করে দেওয়া।
  • কোনো দম্পতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে প্রথমে স্ত্রীকে এবং পরে স্বামীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
  • প্রধান অতিথি আসন গ্রহণের পর আসন গ্রহণ এবং খাবার শুরু করার পর খাবার শুরু করা প্রধান অতিথি খাবার শেষ করলে অভুক্ত থাকলেও খাওয়া শেষ করা
  • প্রধান অতিথি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালে সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ানো খাবার টেবিলে হাঁচি বা কাশি আসলে যতদুর সম্ভব মাথা নিচু করে ও মুখে রুমাল বা ন্যাপকিন দিয়ে হাঁচি বা কাশি দিতে হবে। কথার মাঝে এ রকম হলে ক্ষমা করবেন বলা।
  • উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমন্ত্রিত না হয়ে কোন অনুষ্ঠানে (বিশেষ করে খাবার টেবিলে) গমন করা থেকে বিরত থাকা।
  • আনুষ্ঠানিক ভোজে শিশু বা চাকর সাথে না নেয়া।
  • ভোজ শেষে হোস্ট এর নিকট থেকে বিদায় নেওয়া ও ধন্যবাদ জানানো।

খাবার টেবিলের শিষ্টাচার

  • খাবার টেবিলে পরিস্কারভাবে আসা
  • হাত সাবান দিয়ে পরিস্কার করা
  • মুরব্বিদের আগে খাবার গ্রহণ করার সুযোগ প্রদান
  • প্রত্যেক খাবার পাওয়ার পর খাওয়া শুরু করা
  • প্রত্যক আইটেমের অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করা
  • ফলমূলের খোসা বা কোন খাবার বা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস মেঝেতে না ফেলা
  • খাবার টেবিলে বা চা-এর পার্টিতে অন্যকে প্রথমে সুযোগ দেওয়া
  • খাওয়ার পরে প্রকাশ্য খিলাল করা থেকে বিরত থাকা খাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর না তোলা
  • পরিবেশিত খাবারের গুণাগুণ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য না করা
  • একত্রে অধিক খাবার প্লেটে না নেয়া
  • মুখ বন্ধ করে খাবার চিবানো
  • শব্দ করে খাবার গ্রহণ না করা
  • অতি দ্রুত খাবার গ্রহণ না করা
  • সবার সাথে একত্রে খাবার শেষ করা।

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।