শিল্পকলা

এক্সপ্রেসিভ আর্ট কী? এর বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব

এক্সপ্রেসিভ আর্ট কী?  এর বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব 

শিল্পকলা কী?

আদিম মানুষের হাত ধরে শিল্পকলার সূচনা ঘটে। মানুষ তার নিকট পরিবেশ দেখে তা অনুকরণের দ্বারা শিল্পকলার চর্চা করে। মানব মনের সৃজনশীল কর্মকান্ডের সামগ্রিক রূপ হল শিল্পকলা। একজন শিল্পী তার মনের আনন্দে কল্পনা ও অনুভূতির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে শিল্প রচনা করেন।

প্রায়োগিক বা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে “শিল্প” ও “কলা” শব্দদ্বয় অভিন্ন অর্থ বহন করে থাকলেও আক্ষরিকভাবে শিল্প বলতে বোঝায় কৌশলময় সুণিপুন কর্ম। চারু ও কারু বা সংগীত কর্মই শিল্প। আর কলা বলতে বোঝায় বিদ্যা। শিল্প শব্দটি কর্ম হলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কখনও কখনও কলা, কৌশল, দক্ষতা, নৈপূন্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

সংস্কৃতির মধ্যে একটি জাতির যে চিন্তা শক্তি ও সৃজনশীল প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় সেগুলোকে শিল্পকলা বলে। শিল্পকলা হল অনুভূতি বহিঃপ্রকাশের কোন উপায় বা প্রণালী, যা সাধারণত সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত এবং কালের আবর্তনে এটি সংস্কৃতিকেই পরিবর্তন করতে সহায়তা করে। শিল্পকলার বিভিন্ন ধারা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দু’টি ধারা হলো চারুশিল্প ও কারুশিল্প।

এক্সপ্রেসিভ আর্ট বা প্রকাশধর্মী কলা কাকে বলে?

ইংরেজি ‘Express’ শব্দটির অর্থ হলো প্রকাশ করা। যে কলা বা শিল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি তার আবেগ ও অনুভূতিকে প্রকাশ করে থাকে, তাকে আমরা প্রকাশধর্মী কলা বা এক্সপ্রেসিভ আর্ট বলতে পারি। নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে এক্সপ্রেসিভ আর্ট এর গুরুত্ব অপরিসীম।

শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন চারু ও কারুকলা, সংগীত, নৃত্য,  অভিনয়, খেলাধুলা, সাহিত্য ইত্যাদি সবই প্রকাশধর্মী কলা। কেননা এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে শিশু তার বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা প্রকাশ করে যেমন- বুদ্ধিবৃত্তিক, শারীরিক, সামাজিক, মানসিক অবস্থার প্রকাশের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন রকমের বিকাশ ঘটে।

প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য ডিপিএড প্রোগ্রামে এক্সপ্রেসিভ আর্ট বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টিতে চারু ও কারুকলা, সঙ্গীত এবং শারীরিক শিক্ষা বিষয়সমূহ স্থান পেয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষকগণ এক্সপ্রেসিভ আর্ট বিষয়টিকে রপ্ত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেণিকক্ষে প্রয়োগ করতে সমর্থ হবেন।

এক্সপ্রেসিভ আর্ট এর বৈশিষ্ট্য লিখুন।

এক্সপ্রেসিভ আর্ট এর বৈশিষ্ট্যঃ

  • শিল্পকলার সাথে বাস্তবজীবনের সমন্বয় করতে সহায়তা করা;
  • শিশুর সৃজনীশক্তি ও কল্পনাশক্তি
  • আত্মপ্রকাশের দক্ষতা বৃদ্ধি করা;
  • শিশুর নান্দনিক, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়তে সহায়তা করা;
  • শিশুর মনের ইচ্ছাকে সহজভাবে প্রকাশ করতে আগ্রহী করা;
  • বিভিন্ন ধরণের জ্ঞানকে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ এর মাধ্যমে শিখনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করা;
  • শ্রেণিকক্ষে শিশুর আনন্দদায়ক অবস্থান, শিক্ষাগ্রহণের প্রতি আগ্রহ ও আনন্দদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা;
  • শিল্পকলাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োগমূখী করা।

মতামত দিন

নিউজলেটার

থাকার জন্য আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন।